দানবীর কর্ণ | 2নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর

একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টারের  সিলেবাস অনুযায়ী  সংস্কৃতের গুরুত্বপূর্ণ  অংশগুলির একটি হল- দানবীর কর্ণ  নাট্যংশ পূর্বেই এই পেজে, আমরা একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে, অত্যন্ত সহজ সরল্ভাবে বাংলা হরফে ও বাংলা ভাষায়,দানবীর কর্ণ নাট্যংশের বিষয়বস্তু ব্যাখা করা হয়েছে । শব্দার্থ, ও বঙ্গানুবাদ সহ সমস্ত বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি , ছাত্রছাত্রীরা খুব উপকৃত হয়েছ ।

একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত সকল ছাত্রছাত্রীদের জন্য আজকের এই পর্বে  দানবীর কর্ণ পাঠ্যাংশের 2 নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর আলোচনা করতে চলেছি | আগত পরীক্ষার জন্য আলোচ্য এই সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর গুলি তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।  danbir karna  2 marks  short question, class 11 WBHSE। 

  class 11 Sanskrit –এর ছাত্রছাত্রীদের  সুবিধার্থে  আজকের এই  উপস্থাপনার আলোচ্য বিষয়- দানবীর কর্ণ | 2 নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর | একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত | 

দানবীর কর্ণ পাঠ্যাংশের 2 নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর |
দানবীর কর্ণ পাঠ্যাংশের 2 নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর |

  

দানবীর কর্ণ পাঠ্যাংশের 

 2 নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর |

  • Short question marks 2:-    

১. “দানবীর কর্ণঃ” – পাঠ্যাংশটির উৎস কী ? 

উত্তরঃ মহাকবি ভাস রচিত ‘কর্ণভারম’ নাটক থেকে ‘দানবীরঃ কর্ণ’ নামক পাঠ্যাংশটি গৃহীত হয়েছে।

২. ইন্দ্র কর্ণকে কী আর্শীবাদ দিয়েছিলেন ? 

উত্তরঃ ইন্দ্র কর্ণকে এই বলে আর্শীবাদ করেছিলেন, যে সূর্যের ন্যায়, চন্দ্রের ন্যায়, হিমালয়ের ন্যায় এবং সাগরের ন্যায় কর্ণের যশ হোক। – “সূর্যঃ ইব, চন্দ্রঃ ইব, হিমবান্‌ ইব, সাগরঃ ইব তিষ্ঠতু তে যশঃ।”

৩. কর্ণের কবজ কুন্ডলের বৈশিষ্ট্য কী ? 

উত্তরঃ কর্ণ ছিলেন কুন্তীর গর্ভে জাত সূর্যপুত্র। জন্মের সঙ্গে প্রাপ্ত দেহলগ্ন, কবচ কুন্ডল দুটি ছিল তাঁর দেহের রক্ষাকবচ। পৃথিবীতে দেবতা , অসুর, মানুষ, রাক্ষস কারও ক্ষমতা ছিল না এই রক্ষাকবচ ছিন্ন করে। এই অভেদ্য, অচ্ছেদ্য কবচ কুন্ডলের প্রাসাদে কর্ণ ছিল চির অপরাজেয়।

৪. ‘বিমলা’ নামক অস্ত্রটির গুণ বর্ণনা কর।

উত্তরঃ অনুতপ্ত ইন্দ্র দেবদূতের মাধ্যমে বিমলা নামক এক দিব্যাস্ত্র কর্ণকে দান করেছিলেন। এটি একটি অমোঘ শক্তি বিশিষ্ট অস্ত্র। এই অস্ত্র কাজের সময় স্মরণ করলে সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায়।

৫. ‘বিমলা’ নামক অস্ত্রটি কে প্রত্যাখান করেছিলেন এবং কেন ? 

উত্তরঃ অনুতপ্ত ইন্দ্র দেবদূতের মাধ্যমে বিমলা নামক এক দিব্যাস্ত্র কর্ণকে দানের প্রতিদান হিসাবে পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু কর্ণ তা প্রত্যাখান করেছিলেন। কারণ কর্ণ দাতা, দানের প্রতিদান তিনি গ্রহণ করেন না।

৬. “কিংন বক্তব্যং দীর্ঘযুভবেতি। ” – কে, কখন একথা বলেছিলেন ? 

উত্তরঃ আলোচ্য উদ্ধৃতটি ভাসের ‘কর্ণভারম্‌’ নাটকের অন্তর্গত ‘দানবীরঃ কর্ণঃ’ নাট্যাংশ থেকে গৃহিত হয়েছে।

দেবরাজ ইন্দ্র ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে কর্ণের সামনে উপস্থিত হয়ে ‘মহত্তর ভিক্ষা’ প্রার্থনা করেন। কর্ণ সানন্দে ভক্তি ভরে তাঁকে প্রণাম করলে ইন্দ্র তখন এই বলে তাকে আর্শীবাদ করলেন – সূর্যের মতো, চন্দ্রের মতো, হিমালয়ের মতো ও সাগরের মত তোমার যশ লাভ হোক। তখন কর্ণ আলোচ্য উদ্ধৃতি বলেছিলেন।

৭. শত্রু কে ? তাঁর অপর নাম কী ? 

উত্তরঃ শত্রু হলেন দেবরাজ ইন্দ্র। পাঠ্যাংশে উল্লেখিত তাঁর অপর নাম ‘পাক শাসন’।

৮. ‘বীর্যবান্‌ শব্দ’ – এটি কে বলেছিলেন ? এখানে শব্দ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?

উত্তরঃ ‘বীর্যবান্‌ শব্দ’ – এটি মহাবীর ও যোদ্ধা কর্ণের উক্তি যখন দেবরাজ ইন্দ্র ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে কর্ণের দ্বারে মহত্তর ভিক্ষা প্রার্থনা করেছিলেন তখন কর্ণ উক্ত উক্তিটি করেছিলেন। এখানে ‘শব্দ’ বলতে ‘আহবান’ বা ‘ডাক’ কে বোঝানো হয়েছে।

৯. “কিং নু খলু ময়া বক্তব্যম্‌” – কে কী ভেবেছিলেন শেষে তিনি কী বলেছিলেন ?

উত্তরঃ ভাসের লেখা ‘কর্ণভারম্‌’ নাটকের ‘দানবীর কর্ণ’ নামক পাঠ্যাংশে ছদ্মবেশী ভিক্ষাপ্রার্থী ইন্দ্র একথা বলেছিলেন। মহত্তর ভিক্ষা প্রার্থী ছদ্মবেশী ইন্দ্রকে যখন কর্ণ সাদরে সম্মান সূচক প্রণাম জানিয়েছিলেন, তখন ইন্দ্র কী আর্শীবাদ তাঁকে করেছিলেন। তখন ইন্দ্র উক্তি বক্তব্যটি করেছিলেন। তিনি এই আর্শীবাদ করেছিলেন যে সূর্যের ন্যায়, চন্দ্রের ন্যায়, হিমালয়ের ন্যায়, সমুদ্রের ন্যায় তোমার যশ হোক।

১০. কর্ণ কী ধরণের গাভি দান করতে চেয়েছিলেন ? 

উত্তরঃ কর্ণ ব্রাহ্মণবেশী ইন্দ্রকে অমৃতসম দুগ্ধ দানকারী , সুকান্তিমুক্ত, তরুণ, বলিষ্ঠ, স্বর্ণ শৃঙ্গে মন্ডিত, প্রার্থীদের বহু আকাঙ্খিত দুগ্ধপান তৃপ্ত, সবৎস একহাজার গাভী দান করতে চেয়েছিলেন।

 

 


আরো পড়ুন – 


 

Leave a comment