মনুসংহিতা অনুসারে দন্ডের উৎপত্তি  ও বৈশিষ্ট্য 

সংস্কৃত সাহিত্যের আজকের আলোচনার বিষয় –মনুসংহিতা অনুসারে দন্ডের উৎপত্তি  ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো | বা , মনুসংহিতা অনুসারে দন্ডের স্বরূপ আলোচনা করো |

একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত সকল ছাত্রছাত্রীরা আজকের পর্বের  আলোচনায়, আশা করি খুবই উপকৃত হবে । class 11 WBHSE | class 11 Sanskrit –এর ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে আজকের এই  উপস্থাপনা।

মনুসংহিতা অনুসারে দন্ডের উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো |
মনুসংহিতা অনুসারে দন্ডের উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো |

 

মনুসংহিতা অনুসারে দন্ডের উৎপত্তি  ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো |

দন্ডের উৎপত্তি  ও বৈশিষ্ট্যঃ 

আচার্য মনু তাঁর বিখ্যাত স্মৃতিগ্রন্থ মনুসংহিতার সপ্তম অধ্যায় রাজধর্মের বর্ণনা প্রসঙ্গে দন্ডের উৎপত্তি ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছেন।

মাৎস্যন্যায় দূর করে জগৎকে পালনের জন্য ইন্দ্রাদি আটজন দেবতার সার অংশ নিয়ে ঈশ্বর স্বয়ং রাজা সৃষ্টি করেছেন। রাজা যাতে সৎ পথে শাসনকার্য পরিচালিত করতে পারেন, সেই কারণে সকল জীবের রক্ষক, ধর্ম স্বরূপ এবং ব্রহ্ম তেজময় রাজদন্ড সৃষ্টি করেছেন। ‘ঈশ্বর ব্রহ্ম তেজময়ম্‌ দন্ডম সৃজৎ পূর্বমীস্বর’ অর্থাৎ ঈশ্বর রাজা সৃষ্টির পূর্বে দন্ড সৃষ্টির পূর্বে দন্ড সৃষ্টি করেছেন।

এই দন্ডই রাজা, নেতা, পুরুষ প্রকৃত শাসক ধর্মের প্রতিভূ, ব্রহ্মনাদি চর্তুবর্ণ, ব্রহ্মচর্যাদি চতুরাশ্রমের রক্ষক। তাই আচার্য মনু বলেছেন – ‘স রাজা পুরুষ দন্ডঃ স নেতা শাসিতা চ সঃ’ অর্থাৎ দন্ডের ভয়ে সকল প্রজা সৎ পথে থাকে। সদা জাগ্রত, প্রহরীর মতো দন্ড সর্বদা প্রজাদের রক্ষা করে। এই দন্ড স্বধর্মে নিযুক্ত থাকার পক্ষে পর্যাপ্ত। তাই পন্ডিতেরা দন্ডকে ধর্ম স্বরূপ বলেছেন।

এই দন্ডে প্রয়োগের ব্যাপারে রাজাকে সর্বদা জাগ্রত থাকতে হয়। উপযুক্ত দন্ড প্রয়োগ করা হলে প্রজা তথা সমগ্র রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই রাজার কর্তব্য হল – অপরাধীর অপরাধ গুরুত্ব সহকারে বিচার করে দন্ড প্রদান করা। কিন্তু দন্ডের যদি অপপ্রয়োগ হয় তাহলে রাজ্যে বিপর্যয় দেখা যায়। যেমন – কাক যজ্ঞীয় পিষ্ঠক ভক্ষন করে, কুকুর যজ্ঞের হবি লেহন করে।

কোনো বিষয়ে কারো মালিকানা থাকে না, এবং ব্রাহ্মনাদি বর্ণ ইতর বর্ণে স্ত্রী গমন দ্বারা বর্ণ শঙ্করের পথ প্রশস্ত করে। এককথায় সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। দন্ড কেবল মানুষ নয় দেবতা, দানব, গন্ধব, রাক্ষস, পক্ষী, সর্প প্রভৃতিদেরও নিয়ন্ত্রণ করে।

মুরো অসহায় , বিসয়ালিপ্ত রাজা দন্ড দানের অযোগ্য। কেবল শাস্ত্রবিদ বিশুদ্ধ চিত্ত, সত্যবাদী, দূরদর্শী, বুদ্ধিমান, ধর্মবীর রাজাই দন্ড প্রয়োগের উপযুক্ত অধিকারী। দন্ডের যথাযথ প্রয়োগের দ্বারা রাজা ধর্ম, অর্থ, কাম এই ত্রিবর্গ লাভ করেন।  কিন্তু দন্ডের অপপ্রয়োগ হলে রাজার সমূলে বিনাশে ঘটে। সুতরাং দন্ড প্রয়োগে রাজার সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত কর্তব্য।


        আরো পড়ুন – 


প্রশ্ন উত্তরঃ

১.মনুসংহিতা রচয়িতা কে ?

উত্তরঃ মনুসংহিতা রচয়িতা আচার্য মনু ।

২. মনুস্মৃতিতে কয়টি পঙক্তি  শ্লোক আছে ?  

উত্তরঃ  মনুস্মৃতিতে ২৬৮৩ পঙ্‌ক্তি বা শ্লোক আছে ।

৩. মনুসংহিতায় কটি অধ্যায় আছে ?

উত্তরঃ  মনুসংহিতায় ১২ টি অধ্যায় আছে ।

৪. মনুস্মৃতির সাতটি উপাদান কি কি ? 

উত্তরঃ মনুস্মৃতির সাতটি উপাদান হল – রাজা, মন্ত্রী, রাজধানী, রাজ্য, ধন, সেনাবাহিনী এবং মিত্র ।


 

 

Leave a comment