রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সেমিস্টার II- এর Unit -1: Key Concept Of Political Theory-এর  অন্তর্ভুক্ত  Law, Liberty , Equality , Justice, Separation Of Powers . একাদশ শ্রেণীর Political Science এই অধ্যায়ঃরাজনৈতিক তত্ত্বের মূল ধারণাসমূহ থেকে ২ নম্বরের SAQ প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে । তাই আজ আমরা Class 11 Political Science 1st Chapter থেকে ২ নম্বরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর আলোচনা করবো। একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের  ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

WBCHSE Class 11 Political Science ,-এর এই পর্বে আমাদের আলোচ্য বিষয়ঃ একাদশ শ্রেণী | রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর |  

আমরা সহজ ও সংশ্লিষ্ট ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্বরূপ বিষয়গুলি উপস্থাপন করে থাকি । যা তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে খুবই সহায়ক হবে ,বলেই আশা রাখি ।পরবর্তীতে একাদশ শ্রেণীর আরও অন্যান্য বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ সব NOTES পেতে darsanshika.com পেজটিতে অবশ্যই Visit করুন।

রাজনৈতিক তত্ত্বের মূল ধারণাসমূহ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর
রাজনৈতিক তত্ত্বের মূল ধারণাসমূহ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর

 

একাদশ শ্রেণী | সেমিস্টার II

রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম অধ্যায়ঃ রাজনৈতিক তত্ত্বের মূল ধারণাসমূহ |

 

রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় ২ নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তরঃ    

১. আইনের সংজ্ঞা দাও ?  

উত্তরঃ  সাধারণ অর্থে আইন বলতে বোঝায় রাষ্ট্রের নিয়মকানুনকে। ঊনবিংশ শতাব্দীর ইংরেজ আইনবিদ জন আস্টিন আইনের শ্রেষ্ঠ সংজ্ঞা দিয়েছেন। তার মতে আইন হল সার্বভৌমের নির্দেশ। ইংরেজ দার্শনিক T.H green আইনের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন আইন হল অধিকার ও কর্তব্যের এমন এক ব্যবস্থা যা রাষ্ট্র কার্যকর করে।

২. আইনের বৈশিষ্ট্য গুলি কী কী ?

উত্তরঃ  আইনের বৈশিষ্ট্য গুলি হল –

(i) আইন নিয়মের সমষ্টি। এর লক্ষ্য হল ব্যক্তির বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা।

(ii) আইন সার্বভৌম্য শক্তির দ্বারা গঠিত হয়।

(iii) আইন মানুষকে অধিকার দেয়।

৩. আইনের অনুশাসন কাকে বলে ?

উত্তরঃ  আইনের অনুশাসন ব্যক্তি স্বাধীনতাকে রক্ষা করে । এর অর্থ হল আইনের চোখে সবাই সমান। আইনের অনুশাসনের রূপকার অধ্যাপক ডাইসির মতে, কোনো অবস্থাতেই আইনের প্রয়োগে জাত –পাত, ধর্ম- বর্ণ, লিঙ্গভেদে ও ব্যক্তি বিশেষে পার্থক্য করা যাবে না, সকলকে সমান চোখে দেখতে হবে।

৪. আইনের চারটি উৎস লেখো ।

উত্তরঃ  আইনের চারটি উৎস হল –

(i) প্রথা

(ii) ধর্ম

(iii) আইনসভা

(iv) বিচারকের রায়।

৫. আইন সম্পর্কে দুটি উল্লেখযোগ্য মতবাদের নাম লেখো।

উত্তরঃ  আইন সম্পর্কে দুটি উল্লেখযোগ্য মতবাদ হলঃ-

  1. বিশ্লেষণমূলক মতবাদ ।
  2. ঐতিহাসিক মতবাদ ।

৬. স্বাভাবিক আইন বলতে কী বোঝো।

উত্তরঃ  স্বাভাবিক আইনের ধারণা সু – প্রাচীন। এটি প্রাকৃতিক আইন, মানুষের দ্বারা সৃষ্টি নয়। এই আইন কোনো সার্বভৌম ক্ষমতার দ্বারা সমর্থিত নয়। এর উৎস মানুষের যুক্তি ও ন্যায় – অন্যায় বোধ। স্বাভাবিক আইনের সমর্থকরা হলেন লক, রুশো ও হবস।

৭. আইনের ঐতিহাসিক তত্ত্ব বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ  আইনের ঐতিহাসিক মতবাদের মূল বক্তব্য হল আইনের উৎস সর্বভৌম ক্ষমতা নয়, আইনের উৎস সামাজিক রীতিনীতি -প্রথা ও লোকাচার। সমাজ থেকেই আইনের উদ্ভব, সমাজ গতিশীল বলেই আইন ও গতিশীল।

৮. স্বাধীনতার সংজ্ঞা দাও।  

উত্তরঃ  স্বাধীনতা হল এমন একটি পরিবেশ যেখানে মানুষ নিজেকে বিকশিত করে। অধ্যাপক ল্যাসকি বলেছেন, স্বাধীনতার অর্থ প্রতিটি ব্যক্তি যাতে আত্মবিকাশের সুযোগ পায় এমন পরিবেশকে রক্ষা করা । স্বাধীনতাকে বলা হয় ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য আবশ্যকীয় সুযোগ সুবিধা।

৯. স্বাধীনতার দুটি রূপের উল্লেখ করো।

উত্তরঃ  স্বাধীনতার দুটি রূপ হল –

  1. ব্যক্তিগত স্বাধীনতা
  2. রাজনৈতিক স্বাধীনতা ।

 ১০. স্বাধীনতার দুটি রক্ষাকবচ কী ?

উত্তরঃ  মৌলিক অধিকার প্রত্যেক রাষ্ট্রের সংবিধানে নাগরিকদের কয়েকটি মৌলিক অধিকার লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে। ভারতের সংবিধানে 6 টি মৌলিক অধিকারের কথা উল্লেখ আছে। এর মধ্যে ব্যাক্তির অধিকার হল স্বাধীনতার অধিকার।

(i) বিচার ব্যবস্থা –  স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা ব্যক্তি স্বাধীনতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ।

১১. “স্বাধীনতা স্বেচ্ছাচারীতা নয়“ কথাটির অর্থ কী ? 

উত্তরঃ  স্বাধীনতা স্বেচ্ছাচারীতা নয় কথাটির অর্থ হল স্বাধীনতা কখনই অবাধ বা সীমাহীন নয়। রাষ্ট্র তার আইনের মাধ্যমে স্বাধীনতার উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। রাষ্ট্রীয় কতৃত্বের সঙ্গে ব্যক্তির স্বাধীনতার কোনো বিরোধ নেই।

 ১২. স্বাধীনতার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো। 

উত্তরঃ  স্বাধীনতার দুটি বৈশিষ্ট্য-

  1. স্বাধীনতা হল ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য সুযোগ – সুবিধার পরিবেশ।
  2. মনস্তাত্ত্বিকদের মতে স্বাধীনতা ব্যক্তির আশা – আকাঙ্ক্ষা, পরিতৃপ্তি ঘটায়।

১৩. সাম্যের সংজ্ঞা / বলতে কী বোঝো।

উত্তরঃ  সাম্য কথার অর্থ হল সমাজের সমস্ত বৈষম্যের অবসান। সাম্যের অর্থ সমান অধিকার, বিশেষ সুবিধার অপসারণ এবং সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা।

১৪.  অর্থনৈতিক সাম্য কাকে বলে ?

উত্তরঃ  ধন সম্পদ বন্টনের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সুবিধাকে অর্থনৈতিক সাম্য বলে। এই সাম্যের ফলে সমাজে বিশেষ সুবিধাভোগী শ্রেণী বিলুপ্ত হয়। কাল মার্কস এর মতে, সমান কাজের জন্যে সমান মজুরী অর্থনৈতিক সাম্যের মূল কথা ।

১৫. আইনের দৃষ্টিতে সাম্য বলতে কী বোঝো।  

উত্তরঃ  আইনের দৃষ্টিতে সাম্য বলতে বোঝায় আইনের চোখে সকলেই সমান এবং আইনের মাধ্যমে সকলে সমান সুরক্ষা পাবে।

১৬. সামাজিক সাম্য বলতে কী বোঝো।

উত্তরঃ  সামাজিক ক্ষেত্রে স্ত্রী- পুরুষ, বর্ণ, জাত – পাত, শিক্ষাগত ভেদাভেদ দূর করে যে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয় তাকে সামাজিক সাম্য বলে। অধ্যাপক বার্কাল সামাজিক সাম্য বলতে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক, সাম্যের কথা বলেছে।

১৭. ন্যায় কাকে বলে ?

উত্তরঃ  ন্যায় মানুষকে বিচার বুদ্ধির দ্বারা পরিচালিত করে। সমাজের প্রতিটা ব্যক্তি যদি নিজ, নিজ কাজ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করে তবে ন্যায় বিচার বিকশিত হয়। এক কথায় ন্যায়ের সংজ্ঞা হল প্রতিটি ব্যক্তির যা প্রাপ্য তাকে তা দেবার নাম ন্যায়।

 ১৮. ন্যায়ের উৎসগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ  ন্যায়ের উৎসগুলি হল –

(i) অর্থনৈতিক প্রভাব

(ii) নীতি শাস্ত্র

(iii) ধর্ম

(iv) প্রকৃতি ।


 একাদশ শ্রেণীর আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পড়ুনঃ


 

 

Leave a comment