যৌগিক যুক্তি | একাদশ শ্রেণীর দর্শন

একাদশ শ্রেণীর দর্শন দ্বিতীয় সেমিস্টার, দর্শনশাস্ত্রের  unit-1: Introduction of logic ,Topic No-7 ; Compound Argument : hypothetical and disjunctive ;  এই বিষয় নিয়ে  আজকের আমাদের আলোচনা ।

 WBCHSE Class 11 Philosophy- এর ছাত্রছাত্রীদের একেবারে নুতন সিলেবাস অনুযায়ী , একাদশ শ্রেনী দর্শন | যৌগিক যুক্তির সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর আজকের উপস্থাপনার  বিষয়বস্তু । এই আলোচনার মাধ্যমে Compound Argument : hypothetical and disjunctive ; আলোচনা করব । ছাত্রছাত্রীরা মনোযোগের সহিত,  আমাদের এই উপস্থাপনাগুলি লক্ষ্য করলে, আশা করি খুবই উপকৃত হবে ।

সুতরাং একাদশ শ্রেণীর দর্শন দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে, তাদের পরীক্ষার পস্তুতির সহায়তায়,  আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয়-একাদশ শ্রেনী – যৌগিক যুক্তিঃপ্রাকল্পিক ও বৈকল্পিক  |

যৌগিক যুক্তিঃপ্রাকল্পিক ও বৈকল্পিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর আলোচনা |  
যৌগিক যুক্তিঃপ্রাকল্পিক ও বৈকল্পিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর আলোচনা |

  

একাদশ শ্রেণীর দর্শন | দ্বিতীয় সেমিস্টার

যৌগিক যুক্তিঃপ্রাকল্পিক ও বৈকল্পিক 

 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তরঃ 

Marks – 2

1. যৌগিক যুক্তি (Compound Argument) কাকে বলে ? 

 Ans:  যে অবরোহ যুক্তির কোন অঙ্গবাক্য যৌগিক তাকে যৌগিকযুক্তি বলে। যেমন – প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় (Hypothetical categorical syllogism), বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় (Disjunctive Categorical syllogism) ।

যদি পর্বতে ধূম থাকে তাহলে সেখানে বহ্নি থাকে।

পর্বতটি হয় ধূমবান।

অতএব, পর্বতটি হয় বহ্নিমান।

এটি একটি যৌগিক যুক্তি, কারণ প্রথম আশ্রয় বাক্যটি যৌগিক বাক্য।

2. যৌগিক বচন (Compound Proposition) কাকে বলে ?

 Ans:  যে বাক্যকে বিশ্লেষণ করলে অঙ্গবাক্য পাওয়া যায় তাকে যৌগিক বচন বলে। যৌগিক বচনটির সত্যমূল্য নির্ভর করে তার অঙ্গবাক্যের সত্যমূল্যের উপর, অর্থাৎ অঙ্গবাক্যের সত্যমূল্য দেওয়া থাকলে তাদের দ্বারাই যৌগিক বাক্যটির সত্যমূল্য নির্ণয় করা যায়।

যেমন – রামবুদ্ধিমান এবং রাম পরিশ্রমী। এটি একটি যৌগিক বাক্য বা বচন, কারণ ‘রাম বুদ্ধিমান’ ও ‘রাম পরিশ্রমী’ – এই দুটি হল অঙ্গবাক্য।

3.   বৈকল্পিক বচন কখন মিথ্যা হয়?

 Ans:  একটি বৈকল্পিক বচনের সবগুলি বিকল্প মিথ্যা হলে তবেই বৈকল্পিক বচনটি মিথ্যা হয়।

4. একটি বৈকল্পিক বচনের নিষেধ কী বচন হয়?

 Ans:   ‘pVq’ হল একটি বৈকল্পিক বচন। এর নিষেধ করলে হবে ~ (pVq) = ~p. ~q। সুতরাং একটি বৈকল্পিক বচনের নিষেদ হবে ‘সংযৌগিক বচন।’

5. পূর্বগ অস্বীকারজনিত দোষ কখন ঘটে?

 Ans:  M.T এর নিয়ম ভঙ্গ করলে অর্থাৎ প্রধান আশ্রয়বাক্যের পূর্বগকে অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে অস্বীকার করে সিদ্ধান্ত অনুগকে অস্বীকার করলে পূর্বগ অস্বীকারজনিত দোষ ঘটে।

6.  গঠনমূলক প্রাকল্পিক ন্যায়ের MP আকারের একটি দৃষ্টান্ত দাও।

 Ans:  যদি বৃষ্টি হয় তাহলে মাটি ভিজবে।

           এমন হয় যে, বৃষ্টি হয়েছে।

          ஃ এমন হয় যে, মাটি ভিজেছে।

7. প্রাকল্পিক ন্যায়ের Modus Tollens (M.T) আকারের একটি দৃষ্টান্ত দাও।

 Ans:  যদি সে আসে তাহলে আমি যাব।                       যদি P তাহলে q

এমন নয় যে, আমি যাব।                             নয় q

ஃ এমন নয় যে, সে এসেছে।                        ஃ নয় p]

8. ‘বিকল্প পরিগ্রহণজনিত দোষ’ -এর একটি দৃষ্টান্ত দাও।

 Ans:   হয় সে অধ্যাপক অথবা সে রাজনীতিবিদ।

এমন হয় যে, সে অধ্যাপক

ஃ এমন নয় যে, সে রাজনীতিবিদ।

9.  ‘অনুগ স্বীকার জনিত দোষ’ কখন ঘটে?

 Ans:  M.P এর নিয়ম লঙ্ঘন করলে অর্থাৎ প্রমাণ আশ্রয়বাক্যের অনুগকে অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে স্বীকার করে সিদ্ধান্তে পূর্বগকে স্বীকার করলে যুক্তিতে অনুগ স্বীকার জনিত দোষ ঘটে।

10. একটি মিশ্র বৈকল্পিক ন্যায় অবৈধ হলে কী দোষ হয় ?

 Ans:  একটি মিশ্র বৈকল্পিক ন্যায় অবৈধ হলে বিকল্প স্বীকারজনিত দোষ হয়।

11. বৈকল্পিক বচনে কমপক্ষে কয়টি বিকল্প থাকে ?

 Ans:  একটি বৈকল্পিক বচনে কমপক্ষে দুইটি বিকল্প থাকে।

12. ‘বিকল্প পরিগ্রহণ দোষ’ কখন ঘটে ?

 Ans:  কোনো বৈকল্পিক ন্যায়ে প্রধান আশ্রয়বাক্যের বিকল্প দুটি যদি অবিসংবাদী হয়, সেক্ষেত্রে একটি বিকল্পকে অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে স্বীকার করে অন্য বিকল্পটি সিদ্ধান্তে অস্বীকার করলে যুক্তিতে বিকল্প পরিগ্রহণ দোষ ঘটবে।

13. যৌগিক বচন (Compound Proposition) ও অযৌগিক বচন বা নিরপেক্ষ বচন (Atomic or categorical proposition) এর মধ্যে পার্থক্য কী ?

 Ans:  বচন নানা প্রকারের হয়ে থাকে। একদিক থেকে বচনের দুটি ভাগে ভাগ করা যায় – যৌগিক বাক্য ও অযৌগিক বচন।

যে বচনের কোন অংশ স্বতন্ত্র ভাবে বচন বলে গণ্য হতে পারে তাকে যৌগিক বচন বলে। যথা – রাম আসবে অথবা শ্যাম আসবে এটি একটি যৌগিক বচন। কারণ এর দুটি অংশ স্বতন্ত্রভাবে বচন হতে পারে।

আর যে, বচনের কোন অংশ স্বতন্ত্রভাবে বচন বলে গণ্য হতে পারে না তাকে অযৌগিক বা আনবিক বা নিরপেক্ষ বচন বলে। যথা রাম বুদ্ধিমান এটি অযৌগিক বচন। কারণ এর একটি অংশ স্বতন্ত্রভাবে বচন হতে পারে না।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, অযৌগিক বাক্যের দ্বারা যৌগিক বাক্য গঠিত হয়। অর্থাৎ একাধিক অযৌগিক বাক্যকে বিভিন্ন যোজক দিয়ে যুক্ত করলে যৌগিক বাক্য পাওয়া যায়।

14.  প্রাকল্পিক বচন কাকে বলে ?

 Ans:  যে বচনের আকার “যদি তাহলে” থাকে সেই বচনকে প্রাকল্পিক বচন বলে। প্রাকল্পিক বচন দুটি নিরপেক্ষ বচন দ্বারা গঠিত হয় যদির পর যে নিরপেক্ষ বচনটি থাকে তাকে বলে পূবর্গ বা পূর্বকল্প (antecedent) এবং তাহলে এর পরে যে নিরপেক্ষ বচনটি থাকে তাকে বলে অনুগ বা অনুকল্প (Consequent)। যেমন – যদি রাম আসে তাহলে শ্যাম আসবে। এখানে ‘রাম আসে’ পূর্বগ এবং ‘শ্যাম আসবে’- অনুগ। সুতরাং বচনটি প্রাকল্পিক।

 

Marks – 3

1. প্রাকল্পিক ন্যায় (Hypothetical Syllogism) কাকে বলে ? প্রাকল্পিক ন্যায় কয়প্রকার ও কী কী ?

 Ans:  যে ন্যায়ের তিনটি বচনের মধ্যে অন্তত একটি বচন প্রাকল্পিক যদি তাহলে থাকে তাকে প্রাকল্পিক ন্যায় বলে।

যেমন – যদি রাম আসে তাহলে শ্যাম আসবে।

রাম এসেছে।

অতএব,  শ্যাম আসবে।

এটি একটি প্রাকল্পিক ন্যায়। কারণ এর প্রথম আশ্রয় বাক্যটি একটি প্রাকল্পিক বচন।

প্রাকল্পিক ন্যায় দুপ্রকার –

i) মিশ্র প্রাকল্পিক ন্যায় (Mixed Hypothetical syllogism) বা প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় (Hypothetical categorical syllogism)।

ii) অমিশ্র প্রাকল্পিক ন্যায় (Pure hypothetical syllogism)

 

i) প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় – যে প্রাকল্পিক ন্যায়ের অন্তর্গত একটি আশ্রয়বাক্য প্রাকল্পিক বচন, অপর আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তে নিরপেক্ষ বচন তাকে বলে প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়।

যেমন – যদি সূর্য ওঠে, তাহলে অন্ধকার দূর হয়।

সূর্য উঠেছে ।

অতএব, অন্ধকার দূর হয়েছে।

ii) অমিশ্র প্রাকল্পিক ন্যায় – যে প্রাকল্পিক ন্যায়ের অন্তর্গত তিনটি বচনই প্রাকল্পিক বচন তাকে অমিশ্র প্রাকল্পিক ন্যায় বলে।

যেমন – যদি রাম আসে, তাহলে শ্যাম আসবে।

যদি শ্যাম আসে, তাহলে যদু আসবে।

অতএব, যদি রাম আসে, তাহলে যদু আসবে।

 

2. প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়ের নিয়মগুলি লেখ (Rules of Hypothetical syllogism) এবং নিয়ম ভঙ্গননিয় দোষ গুলি লেখ ?

 Ans:  প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়ের দুটি বৈধ আকারের কথা বলা হয়।

প্রথম আকারটি হল –

যদি p তাহলে q    m.p (Modus ponens) স্বীকৃতিমূলক

p

অতএব, q

এই আকারের বৈধ প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়কে গঠনমূলক প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় বলে বা Modus ponens বলে। এক্ষেত্রে নিয়মটি হল – প্রাকল্পিক আশ্রয় বাক্যের পূর্বগটিকে নিরপেক্ষ আশ্রয়বাক্যে স্বীকার প্রাকল্পিক আশ্রয় বাক্যের অনুগকে সিদ্ধান্তে স্বীকার করা হয়। যদি নিরপেক্ষ আশ্রয় বাক্যে প্রাকল্পিক বাক্যের পূর্বগটি স্বীকার না করে অনুগটিকে স্বীকার করে সিদ্ধান্তে টানা হয় তাহলে ন্যায়টি অবৈধ হবে এবং সেক্ষেত্রে অহগ স্বীকার জনিত দোষ (Fallacy of attiring the consequent) ঘটবে। যথা –

যদি সূর্য ওঠে তাহলে অন্ধকার দূর হয়।

সূর্য উঠেছে।

অতএব ,অন্ধকার দূর হয়েছে।

এটি বৈধ প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়। কিন্তু –

যদি সূর্য ওঠে তাহলে অন্ধকার দূর হবে।

অন্ধকার দূর হয়েছে।

অতএব,  সূর্য উঠেছে।

এটি অবৈধ। কারণ এখানে অনুগ স্বীকার জনিত দোষ ঘটেছে।

দ্বিতীয় আকারটি হল –

যদি p তাহলে q

এমন নয় যে, q              M.T (Modus Toller) অস্বীকৃতিমূলক ।

অতএব , এমন নয় যে, p

এই আকারের বৈধ প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়কে ধ্বংসমূল বা অস্বীকৃতি মূলক ন্যায় বলে বা Modus Toller বলে। এক্ষেত্রে নিয়মটি হল – নিরপেক্ষ আশ্রয়বাক্যে প্রাকল্পিক আশ্রয় বাক্যটির অনুগকে অস্বীকার করে সিদ্ধান্তে প্রাকল্পিক আশ্রয় বাক্যের পূর্বগক অস্বীকার করা হয়। কিন্তু যদি নিরপেক্ষ আশ্রয়বাক্যে প্রাকল্পিক বাক্যের অনুগটিকে অস্বীকার না করে পূর্বগকে অস্বীকার করে সিদ্ধান্ত টানা হয় তাহলে তা অবৈধ হবে এবং সেক্ষেত্রে পূর্বগ অস্বীকার জনিত দোষ (Fallacy of denning antecedent) ঘটবে। যথা –

যদি সূর্য ওঠে তাহলে অন্ধকার দূর হয়।

এমন নয় যে, অন্ধকার দূর হয়েছে।

অতএব, এমন নয় যে, সূর্য উঠেছে।

এটি বৈধ ন্যায়। কারণ M.T নিয়ম অনুসরণ করছে। কিন্তু –

যদি সূর্য ওঠে তাহলে অন্ধকার দূর হয়।

এমন নয় যে সূর্য উঠেছে।

অতএব,  এমন নয় যে, অন্ধকার দূর হয়েছে।

এটি অবৈধ। কারণ এখানে পূর্বগ অস্বীকার জনিত দোষ ঘটেছে।

3. বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় কাকে বলে ? এই প্রকার ন্যায়ের বৈধতার নিয়ম কী ? নিয়মগুলো লঙ্গন করলে যে দোষ ঘটে তা উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

 Ans:  যে ন্যায় এমন যার প্রথম আশ্রয়বাক্য বৈকল্পিক বাক্য, দ্বিতীয় আশ্রয়বাক্য একটি নিরপেক্ষ বাক্য যা প্রথম হেতুবাক্যের কোন অঙ্গবাক্য বা কোন অঙ্গবাক্যের নিষেধ বাক্যে এবং সিদ্ধান্তটি একটি নিরপেক্ষ বাক্য যা প্রথম হেতুবাক্যের কোন বিকল্প বা বিকল্পের নিষেধ বাক্য। তাকে বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় বা বৈকল্পিক নিষেধ বাক্য, তাকে বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় বা বৈকল্পিক ন্যায় বলে।

যেমন – রাম বোকা অথবা রাম বদমাশ।

এমন নয় যে, রাম বোকা।

অতএব, রাম বদমাশ।

বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়ের দুটি বৈধ আকার আছে।

প্রথম বৈধ আকারটি হল –

P অথবা q

এমন নয় যে, p      . D.S

অতএব,  q

দ্বিতীয় বৈধ আকারটি হল –

P অথবা q

এমন নয় যে, p     D.S

এই প্রকারের বৈধ বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়ের নাম হল Disjunction syllogism বা D.S এক্ষেত্রে নিয়মটি হল – বৈকল্পিক আশ্রয়বাক্যের একটি বিকল্প দ্বিতীয় আশ্রয়বাক্যে অস্বীকার করে সিদ্ধান্তে অপর বিকল্পকে স্বীকার করতে হবে।

কোন বৈকল্পিক ন্যায়ের দ্বিতীয় আশ্রয়বাক্যে প্রথম আশ্রয় বাক্যের কোন বিকল্পকে অস্বীকার করার পরিবর্তে স্বীকার করে সিদ্ধান্তে অপর বিকল্পকে অস্বীকার করলে যে দোষ দেখা দেবে তাকে বিকল্প স্বীকার বা পরিগ্রহন জনিত দোষ বলে। [ Fallacy of affirming a disjunet ]

যেমন – রাম এসেছে অথবা শ্যাম এসেছে।

রাম এসেছে ।

অতএব, এমন নয় যে শ্যাম এসেছে।

এই বৈকল্পিক ন্যায়টিতে দ্বিতীয় আশ্রয়বাক্যে প্রথম আশ্রয় বাক্যের একটি বিকল্পকে অস্বীকার করে সিদ্ধান্তে অপর বিকল্পকে স্বীকার করা হয়। তাই ন্যায়টি বিকল্প পরিগ্রহণ জনিত দোষে দুষ্ট।

4. বিসংবাদী (Exclusive ‘or’) ও অবিসংবাদী (Non-exclusive) বৈকল্পিক কাকে বলে ? 

 Ans:  বিসংবাদী বৈকল্পিক বাক্য হল সেই বাক্য যার দুটি বিকল্প পরস্পর বিরুদ্ধ। দুটি বিকল্প একই সঙ্গে সত্য হতে পারে না, অর্থাৎ একটি বিকল্প সত্য হলে অন্য বিকল্পটি মিথ্যা হবে। যেমন – ‘যে জীবিত অথবা সে মৃত’। – এই দুটি বিকল্পের একটি সত্য হলে অপরটি মিথ্যা হবে। কারণ কোন মানুষ একই সঙ্গে জীবিত এবং মৃত হতে পারে না।

অবিসংবাদী বৈকল্পিক বাক্য হল সেই সেই বাক্য যার দুটি বিকল্প পরস্পর বিরুদ্ধ নয়, একটি বিকল্প সত্য হয় এবং দুটি বিকল্প একই সঙ্গে সত্য হতে পারে। যেমন – ‘সে শিক্ষিত অথবা যে ধনী’ – এই দুটি বিকল্পটি একই সঙ্গে সত্য হতে পারে। কারণ কোন ব্যক্তি একই সঙ্গে শিক্ষিত এবং ধনী হতে পারে ।


 আরো পড়ুনঃ 


 

Leave a comment