মাধ্যমিক ইতিহাস –(সিধান্ত ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট ও পরীক্ষা ) তৃতীয় অধ্যায় থেকে আজকের এই পর্বের বিষয়-শ্রী রামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয়ে আদর্শ ব্যাখ্যা কর | যেসব ছাত্র ছাত্রী WBBSE class 10 history notes in Bengali | ইতিহাস class 10 chapter 3 খুঁজে চলেছ তাদের আশা করছি খুবই উপকারে লাগবে।
শ্রী রামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ ব্যাখ্যা কর |
Sri Ramakrishna’s philosophy of harmonizing Sarvadharma
শ্রী রামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শঃ
উনিশ শতকে বাংলায় যখন হিন্দু ধর্ম কুসংস্কারের বেড়া জালে আবদ্ধ এবং ব্রাহ্ম সমাজ খ্রীষ্টান মিশনারি ও ইয়ং বেঙ্গল দলের ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনগুলির চাপে, ভারতে সনাতন ধর্মের যখন অগ্রগতি প্রায় রুদ্ধ ঠিক সেই পটভূমিতে সহজ সরল ভাষায় ও উপমার সাহায্যে শ্রীরামকৃষ্ণ এক নতুন ধর্মীয় মতবাদ প্রচার করেন। এই মতাদর্শের মূল কথা হল সর্বধর্ম সমন্বয় সাধন করা।
শ্রীরামকৃষ্ণের মতে ঈশ্বর এক, কিন্তু বিভিন্ন মানুষ তাকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকে, হিন্দু ধর্মের কেউ ঈশ্বর, কেউ রাম, কেউ ব্রহ্মা আবার মুসলিম ধর্মে তাকে আল্লাহ বলে ডাকা হয়। প্রত্যেক ধর্মের পথ ভিন্ন হলেও সেই একই ঈশ্বরেরই আরাধনা করা হয়। এই কারনেই তিনি ’ যত মত তত পথ ’ এর কথা বলেন। তিনি মনে করতেন ঈশ্বরের সেবা করার জন্য কোনও যাগযজ্ঞ বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রয়োজন নেই। কেবলমাত্র ভক্তির দ্বারাই ঈশ্বরকে লাভ করা যায়। ঈশ্বর অন্য কোথাও নেই, ঈশ্বর রয়েছে সকল মানুষের মধ্যে তাই তিনি শিব জ্ঞানে জীব সেবার কথা বলেছেন।
শ্রী রামকৃষ্ণের এই সর্বধর্ম সমন্বয়ের প্রচারের ফলে বাংলায় জাতিভেদের কঠোরতা শিথিল হয় এবং ধর্মীয় সমন্বয়ের আদর্শ শক্তিশালী হয়।
আরো পড়ুন –
- দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর |
- নীল বিদ্রোহের কারণ গুলি আলোচনা করো |
- ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে কি ছিল | মাধ্যমিক ইতিহাস |
- উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণের চরিত্র ও সীমাবদ্ধতা আলোচনা করো |
- সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও প্রকৃতি আলোচনা করো |
প্রশ্ন উত্তরঃ
১. সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ প্রচার করেন কে ?
উত্তরঃ শ্রী রামকৃষ্ণদেব সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ প্রচার করেন ।
২. সর্বধর্ম সমন্বয় বলতে কি বোঝায় ?
উত্তরঃ শ্রী রামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয় মতানুসারে,- ঈশ্বর এক, কিন্তু বিভিন্ন মানুষ তাকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকে, হিন্দু ধর্মের কেউ ঈশ্বর, কেউ রাম, কেউ ব্রহ্মা আবার মুসলিম ধর্মে তাকে আল্লাহ বলে ডাকা হয়। প্রত্যেক ধর্মের পথ ভিন্ন হলেও একই ঈশ্বরেরই আরাধনা করা হয়।
৩.যত মত তত পথ কথাটি কে বলেছেন ?
উত্তরঃ যত মত তত পথ কথাটি বলেছেন -শ্রী রামকৃষ্ণদেব ।
৪. যত মত তত পথ কথাটির অর্থ কি ?
উত্তরঃ শ্রী রামকৃষ্ণের দেবের মতে ঈশ্বর এক, কিন্তু বিভিন্ন মানুষ তাকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকে, হিন্দু ধর্মের কেউ ঈশ্বর, কেউ রাম, কেউ ব্রহ্মা আবার মুসলিম ধর্মে তাকে আল্লাহ বলে ডাকা হয়। প্রত্যেক ধর্মের পথ ভিন্ন হলেও সেই একই ঈশ্বরেরই আরাধনা করা হয়। এই কারনেই তিনি ’ যত মত তত পথ ’ এর কথা বলেন।
৫. জীব সেবাই শিব সেবা কার উক্তি ?
উত্তরঃ জীব সেবাই শিব সেবা উক্তিটি – শ্রীরামকৃষ্ণের দেবের ।
৬. শিব জ্ঞানে জীব সেবা কথাটির অর্থ কি ?
উত্তরঃ শ্রীরামকৃষ্ণের দেব মনে করতেন ঈশ্বরের সেবা করার জন্য কোনও যাগযজ্ঞ বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রয়োজন নেই। কেবলমাত্র ভক্তির দ্বারাই ঈশ্বরকে লাভ করা যায়। ঈশ্বর অন্য কোথাও নেই, ঈশ্বর রয়েছে সকল মানুষের মধ্যে তাই তিনি শিব জ্ঞানে জীব সেবার কথা বলেছেন।