মাধ্যমিক-ভূগোল, পঞ্চম অধ্যায়-(ভারত) , ভারতের শিল্প , এই অধ্যায় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার উপযোগী কিছু রচনাধর্মী প্রশ্ন-উত্তর আলোচনা করব।এই অধ্যায় থেকে তোমাদের আরও বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর থাকছে । আজকের আলোচনায় আমাদের বিষয় হল- পূর্ব ও মধ্যভারতের লৌহ ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার কারণ, বা পূর্ব ও মধ্য ভারতে লৌহ ইস্পাত শিল্পের কেন্দ্রীভবনের কারণগুলি কি কি |
আশা রাখি , আমাদের এই উপস্থাপনা WBBSE class 10 –এর ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে খুবই উপযোগী হতে চলেছে।এছাড়াও যে সব ছাত্রছাত্রীরা class 10 geography chapter 5 খুঁজে চলেছে তাদের জন্য খুবই উপকারী হতে চলেছে আমাদের এই আর্টিকেলটি-class 10 geography chapter 5 question-answers.
পূর্ব ও মধ্যভারতে লৌহ ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার কারণগুলি আলোচনা করো |
Discuss the reasons for the development of iron and steel industry in East and Central India |
পূর্ব ও মধ্যভারতের লৌহ ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার কারণ:
ভারতের অধিকাংশ বৃহত্তর লৌহ ইস্পাত কারখানাগুলি বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ফলে পূর্ব ও মধ্য ভারতে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। এই কারখানাগুলি হল পশ্চিমবঙ্গের দূর্গাপুর , ঝাড়খন্ডের বোকারো, জামশেদপুর , ওড়িষ্যার রৌকেল্লা , ছত্তিশগড়ের ভিলাই। এইসব শিল্পকেন্দ্রগুলির কেন্দ্রীভবনের কারনগুলি হল –
(i) আকরিক লোহা:
ভারতের এই কারখানাগুলি আকরিক লোহা উৎপাদক অঞ্চল, যেমন – উড়িষ্যার ময়ূরভঞ্চ, ঝাড়খন্ডের নোয়ামুন্ডি , চিরিয়া প্রভৃতি জায়গায় গড়ে উঠেছে।
(ii) কয়লা :
দামোদর আববাহিকার ঝরিয়া , বোকারো , উড়িষ্যার তালচের, পশ্চিমবঙ্গের রানিগজ্ঞ প্রভৃতি জায়গা থেকে প্রাপ্ত বিটুমিনাস জাতীয় কয়লা এই শিল্পের কয়লার জোগান দেয়।
(iii) অন্যান্য কাঁচামাল:
ওড়িষ্যার সুন্দরগর , ঝাড়খন্ডের পালামৌ জেলার চুনাপাথর , ওড়িষ্যার হাতিবাড়ি ,বীরমিত্রপুরের ডলোমাইট এই শিল্পের অন্যান্য কাঁচামালের চাহিদা মেটায়।
(iv) জলের প্রাচুর্য:
পশ্চিমবঙ্গের দামোদার, ওড়িষ্যার ব্রাহ্মনী প্রভৃতি নদীর জল এই শিল্পের প্রয়োজনীয় জলের চাহিদার পূরণ করে।
(v) বিদ্যুৎ শক্তি:
লৌহ ইস্পাত কেন্দ্র গুলিতে পশ্চিমবঙ্গের দূর্গাপুর, ঝাড়খন্ডের বোকারো ও ওড়িষ্যার হিরাকুঁদ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের জোগান পাওয়া যায়।
(vi) পরিবহন:
সমগ্র অঞ্চলটি পূর্ব ও দক্ষিন-পূর্ব রেলপথ ও কয়েকটি সড়ক পথের মাধ্যমে কাঁচামাল নিয়ে আসা এবং উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সুবিধা হয়েছে।
(vii) শ্রমিক:
পূর্ব ও মধ্য ভারতের ঘন জনবসতি থেকে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের জোগান পাওয়া যায়।
(viii) বন্দরের নৈকট্য:
এই অঞ্চলের নিকটে রয়েছে কলকাতা , হলদিয়া , পারাদ্বীপ , বিশাখাপত্তনম প্রভৃতি বন্দর।
(x) চাহিদা:
নিকটেই হাওড়া , হুগলী শিল্পাঞ্চলের ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প অবস্থিত হওয়ায় ইস্পাতের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
প্রশ্ন উত্তরঃ
১. লৌহ ইস্পাত শিল্প কোন ধরনের শিল্প ?
উত্তরঃ লৌহ ইস্পাত শিল্প খনিজ-ভিত্তিক, একটি মৌলিক শিল্প ।
২. লৌহ ইস্পাত শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কি ?
উত্তরঃ লৌহ ইস্পাত শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল হল – আকরিক লোহা, কয়লা , ও চুনাপাথর ।
৩. কোন শহর “পূর্ব ভারতের ইস্পাতের রাজধানী ” নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গের দূর্গাপুর শহর “পূর্ব ভারতের ইস্পাতের রাজধানী ” নামে পরিচিত ।
৪. ভারতের বৃহত্তম লৌহ-ইস্পাত কেন্দ্র কোনটি ?
৫. সকল শিল্পের মেরুদন্ড কাকে বলে ?
উত্তরঃ সকল শিল্পের মেরুদন্ড বলা হয় লৌহ-ইস্পাত শিল্পকে ।
৬. লৌহ ইস্পাত শিল্পকে সকল শিল্পের মূল বলা হয় কেন ?
উত্তরঃ লৌহ ইস্পাত শিল্প অন্য সকল শিল্পের ভিত্তি , এই শিল্পের মাধ্যমে অনান্য শিল্পের কাঁচামাল ও মেশিনপত্র প্রস্তুতীকরণ করা হয়। তাই লৌহ ইস্পাত শিল্পকে সকল শিল্পের মূল বলা হয় ।