একাদশশ্রেনী দর্শন | বচন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর

একাদশ শ্রেণীর দর্শন দ্বিতীয় সেমিস্টার, দর্শনশাস্ত্রের  unit-1: Introduction of logic ,Topic No : 2 ; propositions এই বিষয় নিয়ে  আজকের আমাদের আলোচনা ।

 WBCHSE Class 11 Philosophy- এর ছাত্রছাত্রীদের একেবারে নুতন সিলেবাস অনুযায়ী , একাদশ শ্রেনী দর্শন | বচন (Propositions) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর  আজকের  উপস্থাপনার  বিষয়বস্তু । এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা বচনের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করব । ছাত্রছাত্রীরা মনোযোগের সহিত,  আমাদের এই উপস্থাপনাগুলি লক্ষ্য করলে, আশা করি খুবই উপকৃত হবে ।

সুতরাং একাদশ শ্রেণীর দর্শন দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে, তাদের পরীক্ষার পস্তুতির সহায়তায়,  আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয়-একাদশ শ্রেণী দর্শন | বচন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর |    

একাদশ শ্রেণী দর্শন | বচন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর |
একাদশ শ্রেণী দর্শন | বচন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর |

একাদশ শ্রেনীর দর্শন | দ্বিতীয় সিমেস্টার     

বচন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর

 

১. বচন (Proposition) কাকে বলে ?

Ans – যে বাক্য সত্য বা মিথ্যা হতে পারে তাকে বচন বলে। যেমন – ‘ সকল মানুষ হয় মরণশীল ’ – এই বাক্যটিতে সত্য বলে এটি বচন। আবার ‘কুকুর হয় বিড়াল’ – এই বাক্যটি বাস্তব সম্মত নয় বলে বাক্যটি মিথ্যা। মিথ্যা হলেও বাক্যটি বচন।

২. বাক্য (sentence) ও বচন (Proposition) এর মধ্যে পার্থক্য কী ?

Ans: ১. বাক্যে মানক, উদ্দেশ্য, গুণ ও পরিমান – এই চারটির সবগুলিই স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে না। কিন্তু বচনে এই বিষয়গুলি খুব স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ থাকে।

২. বিভিন্ন ব্যাকারণসম্মত বাক্যে বিভিন্ন ক্রিয়ার ব্যবহার দেখা যায়। যেমন, করা, খেলা, যাওয়া, আসা ইত্যাদি। কিন্তু বচনের প্রধান ক্রিয়াটি অর্থাৎ, সংযোজকটি সবসময়ই ভূ – ধাতুর বর্তমান কালের রূপ হবে।

৩. বাক্য মাত্রই কী বচন ?

Ans: যেসব বাক্য সত্য বা মিথ্যা হতে পারে তাকে বচন বলে। কিন্তু এমন এমন অনেক বাক্য আছে যাকে সত্য বা মিথ্যা কিছুই বলা যায় না। অতএব,  বাক্য মাত্রই বচন নয়, বচন মাত্রই বাক্য।

যেমন – ‘তোমার নাম কী ?’– এটি বাক্য হলেও বচন নয়। কারণ বাক্যটি সম্পর্কে সত্য মিথ্যা কিছুই বলা যায় না।

৪. সম্বন্ধ অনুযায়ী বচন কয় প্রকার ও কী কী ? 

Ans:  সম্বন্ধ অনুযায়ী বচন দুই প্রকার – I. নিরপেক্ষ বচন ও  II. সাপেক্ষ বচন।

৫. সাপেক্ষ বচন বলতে কী বোঝ ?

Ans:  যে বচনের দুটি অংশ হিসাবে দুটি নিরপেক্ষ বচন থাকে এবং সমগ্রবচনটির সত্যমূল্য নিরপেক্ষ বচন দুটির পারস্পরিক সম্পর্কের উপরশীল, সেই বচনকে সাপেক্ষ বচন বলে।

যেমন –

যদি রাম আসে, তাহলে আমি যাব।

রাম আসে।

অতএব , আমি যাব।

৬. নিরপেক্ষ বচন কাকে বলে ?

Ans:  যে বচনের দুটি অংশ হিসাবে দুটি পদ থাকে এবং সমগ্র বচনটির সত্যমূল্য অন্যকোন বচনের উপর নির্ভরশীল নয়, তাকে নিরপেক্ষ বচন বলে। যেমন – A সকল মানুষ হয় মরণশীল।

৭. পরিমাণ (quantifier) অনুসারে নিরপেক্ষ বচন কয় প্রকার ? 

Ans: পরিমান অনুসারে নিরপেক্ষ বচন দুই প্রকার 1. সার্বিক বা সামান্য   2. বিশেষ।

৮. গুণ অনুসারে নিরপেক্ষ বচন কয়প্রকার ও কী কী ? 

Ans:  গুণ অনুসারে বচন দুই প্রকার – 1. সদ্‌র্থক বা হ্যাঁ বাচক   2. নঞর্থক বা না বাচক।

৯. পরিমাণ ও গুণ অনুসারে নিরপেক্ষ বচন কয়প্রকার ও কী কী ?

Ans:  পরিমাণ ও গুণ অনুসারে নিরপেক্ষ বচন চার প্রকার – 1. সামান্য নঞর্থক  2. বিশেষ সদর্থক  3. বিশেষ সদর্থক  4. বিশেষ নঞর্থক।

 ১০. একটি নিরপেক্ষ বচনের কটি অংশ ও কী কী ?

Ans:  একটি নিরপেক্ষ বচনের চারটি অংশ – 1. পরিমাণ বা মানক,  2. উদ্দেশ্যপদ, 3. গুণ বা সংযোজক, 4. বিধেয়পদ।

১১. পদ কাকে বলে ?

Ans:  যে শব্দ বা শব্দবদ্ধ বাক্যের উদ্দেশ্য বা বিধেয় হতে পারে বা বাক্যের বিশেষ্য বা বিশেষণ হতে পারে তাকে পদ বলে।

১২. উদ্দেশ্যপদ কাকে বলে ?

Ans:  বচনের ব্যবহৃত যে পদে অন্যপদটিকে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় তাকে উদ্দেশ্যপদ বলে। যেমন – ‘সকল ফুল হয় সাদা’ – এই বচনটিতে ‘ফুল’ পদে ‘সাদা’ পদটিকে স্বীকার করা হয়েছে। তাই ‘ফুল’ পদটি উদ্দেশ্য পদ।

১৩. বিধেয় পদ কাকে বলে ?

Ans:  বচনে ব্যবহৃত যে পদটিকে অন্যপদে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় তাকে বিধেয়পদ বলে। যেমন – ‘সকল ফুল হয় সাদা’ – এই বচনটিতে ‘সাদা’ পদটিকে ফুল পদে স্বীকার করা হয়েছে বলে ‘ফুল’ পদটি বিধেয়পদ।

১৪. মানক কাকে বলে ?

Ans:  বচনের যে অংশ বচনের পরিমাণকে বোঝায় তাকে মানক বলে। যেমন – ‘সকল’, ‘কোন’ , ‘কোন কোন’। ‘সকল’, ‘কোন’ হল – সামান্য পরিমাণ। এবং কোন কোন হল – বিশেষ পরিমাণ।

১৫. সংযোজক বা গুণ (Copula) কাকে বলে ?

Ans: কোন নিরপেক্ষ বচনের উদ্দেশ্যপদ ও বিধেয় পদের মধ্যবর্তী সমূহসূচক চিহ্নকে সংযোজক বা গুণ বলে।

১৬. সংযোজকের কাজ কী ?

Ans:  i.  বচনের অন্তর্গত উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যে সম্পর্ক সমাপন করা।বাক্য ও বচনের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করা।

১৭.পদের ব্যাপ্যতা (Distribution of terms) বলতে কী বোঝ ?

Ans:  নিরপেক্ষ বচনের অন্তর্গত কোন পদ যদি তার নির্দেশিত শ্রেণীর সকল সদস্যকে বোঝায়, তাহলে সেই পদকে ব্যাপ্য বলতে হবে। অন্য ভাষায় বলা যায়, একটি বচনে কোনো পদ যখন তার সম্পূর্ণ ব্যক্ত্যর্থকে (Denotation) বোঝায়, তখন বুঝতে হবে যে পদটি ব্যাপ্য (Distributed) হয়েছে।

যেমন – সকল মানুষ হয় মরণশীল – এই বচনটির অন্তর্গত মানুষ পদটি তার নির্দেশিত শ্রেণীর সকল সদস্যকে ইঙ্গিত করছে তাই মানুষ পদটি ব্যাপ্য।

১৮. পদের অব্যাপ্যতা বলতে কী বোঝ ?

Ans:  নিরপেক্ষ বচনের অন্তর্গত কোন পদ যদি তার নির্দেশিত শ্রেণীর সকল সদস্যকে না বুঝিয়ে, অংশত সদস্যকে বোঝায়, তাহলে সেই পদকে অব্যাপ্য বলে। অন্য ভাষায় বলা যায়, একটি বচনে কোনো পদ যখন তার আংশিক ব্যক্ত্যর্থকে বোঝায়, তখন বুজতে হবে সে সেই পদটি অব্যাপ্য হয়েছে।

যেমন – সকল মানুষ হয় মরণশীল – এই বচনটির অন্তর্গত মরণশীল পদটি তার নির্দেশিত শ্রেণীর আংশিক সদস্যকে ইঙ্গিত করছে তাই মরণশীল পদটি অব্যাপ্য।

১৯. বিশিষ্ট বচন কাকে বলে (Singular Proposition) ?

Ans:  যে নিরপেক্ষ বচনের উদ্দেশ্য পদটি একটি নির্দিষ্ট নামপদ বা সর্বনাম পদ তাকে বিশিষ্ট বচন বলে। যেমন – রবীন্দ্রনাথ হন গীতাঞ্জলী লেখক – এই বচনটির উদ্দেশ্য পদটি একটি বিশিষ্ট নাম পদ বলে বচনটি বিশিষ্ট বচন। বিশিষ্ট বচনের উদ্দেশ্য যদি নির্দিষ্টভাবে বলে দেওয়া থাকে তাহলে সেটি সামান্য বচন হবে।

২০. A বচনে কোন পদ ব্যাপ্য ?

Ans:  A বচনে উদ্দেশ্যপদ ব্যাপ্য।


 আরো পড়ুনঃ 


 

Leave a comment