নুন কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টারের বাংলা নতুন সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ জয় গোস্বামীর নুন কবিতা।

আজ  WBCHSE Class 11-এর যে কবিতাটি নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চলেছি তা হলঃ জয় গোস্বামী- নুন কবিতা।এই  কবিতাটি থেকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু ২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্নউত্তর আলোচনা করবো । আমরা সহজ ও সংশ্লিষ্ট ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্বরূপ বিষয়গুলি উপস্থাপন করে থাকি । যা তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে খুবই সহায়ক হবে ,বলেই আশা রাখি ।

আজ আমাদের আলোচ্য বিষয়ঃ একাদশ শ্রেণী | নুন কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর |

পরবর্তীতে একাদশ শ্রেণীর আরও অন্যান্য বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ সব NOTES পেতে darsanshika.com পেজটিতে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে ।

 

নুন কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ।
নুন কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর |

 

একাদশ শ্রেণীর | দ্বিতীয় সেমিস্টার

নুন কবিতা

জয় গোস্বামী

 

২ নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর

১. “আমরা তো অল্পে খুশি ” – কোন প্রসঙ্গে বক্তা এ কথা বলেছেন ?

উত্তরঃ  জয় গোস্বামীর ‘নুন’ কবিতায় সাধারণ ভাতকাপড়ে কায়ক্লেশে কাটানো নিম্নবিত্ত জীবনের যে চিত্র পাই তার সঙ্গে জুড়ে থাকে অসুখ এবং ধারদেনা। অভাব আর অসুখে ভরা জীবনে তার রোজ আহারও জোটে না। এর মধ্যেই ‘হেসে খেলে ’ ‘কষ্ট করে’ দিন কাটে তার। বলা ভালো নিম্নবিত্ত মানুষেরা এভাবেই দিন কাটাতে বাধ্য হয়। এই অল্পে সন্তুষ্ট জীবন কাটানো প্রসঙ্গেই মন্তব্যটি করা হয়েছে।

২. “আমাদের শুকনো ভাতে লবণের ব্যবস্থা হোক” – কে কাদের কাছে এই দাবি করেছে ? 

উত্তরঃ  নুন কবিতায় কবি জয় গোস্বমী নিজে খেটে খাওয়া গরীব নিম্নবিত্ত শ্রেণীর প্রতিনিধি হিসাবে, সমগ্র সমাজের কাছে এই দাবি করেছেন।

৩. “আমি তার মাথায় চড়ি” – কে কার মাথায় চড়ে ? 

উত্তরঃ  কবি জয় গোস্বামী নুন কবিতায় , রাগের মাথায় চড়ার কথা বলেছেন ।

৪. “মাঝে মাঝে চলেও না দিন ” – দিন চলে না কেন ? 

উত্তরঃ  কবি জয় গোস্বামী তার নুন কবিতায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের জীবন সংগ্রামকে তুলে ধরেছেন। নিত্যদিনের খাদ্য বস্ত্র জোগার করতে গিয়ে হার ভাঙা খাটুনি খাটে, কিন্তু যে দিন শরীর অসুস্থ হয় বা কাজ না পেলে সেদিন তাদের দিনটি খুব অভাবে কাটে। তাই এই কথা বলা হয়েছে, আর দিন চলে না ।

৫. নুন কবিতায় আমরা কারা ? 

উত্তরঃ কবি জয় গোস্বামী রচিত নুন কবিতায়, আমরা বলতে সমাজের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের কথা বোঝানো হয়েছে, যারা অল্পতেই খুশি থাকে। এদের ভাত কাপড়ের জোগার হলেই আর অন্য কিছুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে না।

৬. “খেতে বসে রাগ চড়ে যায়” – রাগ চড়ে যাওয়ার কারণ কী ? 

উত্তরঃ  কবি জয় গোস্বামী রচিত নুন কবিতায় দেখা যায় যে, সমাজের খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষেরা সারাদিন হাড় ভাঙা খেটে দুপুরে বা রাত্রে বেলায় বাড়ি ফিরে আসে। সারাদিনের খাটুনির পর তাদের জোটে ঠান্ডা ভাত। যেদিন ঠান্ডা ভাতে একটু নুনের জোগার হয় না । সেদিন তারা নিজেদের রাগ সংযত করতে পারে না।

৭. নুন কবিতায় কবি শেষে কীসের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন ?

উত্তরঃ নুন কবিতায় কবি জয় গোস্বামী একজন খেটেখাওয়া সাধারণ লোকের প্রতিনিধি হিসাবে দাবি জানিয়েছেন যে তাদের শুকনো ভাতে একটু লবণের ব্যবস্থা যাতে হয়। কারণ ঠান্ডা ভাতের সাথে একটু লবণের ব্যবস্থা হলে সাধারণ মানুষের দিনটি সুখের মধ্য দিয়ে ভরে যায়।


আরো পড়ুন –


৩ নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর

১. “কী হবে দুঃখ করে ” ? – এমন বলার কারণ কী ?

উত্তরঃ জয় গোস্বামীর ‘নুন’ কবিতায় নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষের অল্পে খুশি হওয়া জীবনে যে অনেক কিছুরই অভাব আছে, সেই অভাব অনটন নিয়ে দুঃখ না করার কথা বলা হয়েছে।

‘সাধারণ ভাতকাপড় ’ আর ‘অসুখের ধারদেনাতে’ ভরা জীবন সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষ দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর অতিবাহিত করে, সেখানে অভাব অবলম্বন। তার মধ্যেও জীবনের এই সত্যটাকে মেনে নিয়ে তারা আনন্দ খুঁজে নেয় তাদের এই অতিরিক্ত পরিশ্রমী জীবন থেকে। তাদের এই খুশি হওয়া মন থেকে নয়, নিতান্ত বাধ্য হয়েই তারা একেই অপরের সঙ্গে ভরপুর আনন্দে মেতে থাকে। এবং তারা জীবনের এই চরম বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে বলেছেন – “কী হবে দুঃখ করে” ?

২.  ‘সব দিন হয় না বাজার’ – বাজার হয় না কেন ? 

উত্তরঃ জয় গোস্বামীর ‘নুন’ কবিতায় সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষের প্রতিদিনকার দুঃখ কষ্টের সঙ্গে সংগ্রামের জীবনযাত্রার চিত্র এই কবিতায় তুলে ধরেছেন।

নিম্নবিত্ত মানুষের প্রতিদিনকার জীবন অভাব অনটন ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে কোনোরকমে কেটে যায়। তাই সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষদের প্রতিদিন বাজার করা সম্ভব নয়। কিন্তু তারা মাঝে মধ্যেই এই অভাব টাকে মনে না রেখে বাজার করে ফেলে ‘মাত্রা ছাঁড়া’ এই অভাবের সংসারে নিম্নবিত্ত মানুষের জীবন নির্বাহের জন্য ক্রমাগত ঋণ করে চলা এক নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। নিম্নবিত্ত মানুষের এই বেহিসাবি জীবন দর্শনের প্রতি কবি ঈঙ্গিত করেছেন উল্লিখিত  পঙক্তিতে।

৩. “মাঝে মাঝে চলেও না দিন” – কেন এমন বলা হয়েছে ? 

উত্তরঃ জয় গোস্বামীর ‘নুন’ কবিতায় বলেছেন, যে নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে জীবন মানে কোনোরকমে টিকে থাকা মোটেও বেঁচে থাকা নয়। অভাব – অনটন, ধারদেনা যাদের নিত্যসঙ্গী তারা জানে বিলাপ বা দুঃখ করে কোনো লাভ নেই। কারণ তাতে তাদের অপ্রাপ্তির তালিকা মুছে গিয়ে প্রাপ্তির তালিকা ভরে উঠবে না কখনোই। তাই তারা অল্পেই সন্তুষ্ট থাকার মন্ত্র শিখে নেয়।

এরা নিত্যদিনের খাদ্যবস্ত্র জোগাড় করার জন্য রোজ হাড়ভাঙা  খাটুনি খাটে। এভাবেই এদের দিন চলতে থাকে, কখনও আবার চলেও না। কোনো কারণে শরীর অসুস্থ হলে বা কাজ না পেলে ধারদেনা করে, না খেয়ে কষ্ট করেই দিন চালাতে হয়। যখন বেশিদিন শরীর অসুস্থ থাকলে বা কাজ না থাকলে তখনই তাদের ঋণের বোঝা বেড়ে যায়। আর এই ঋণ মেটাতে গিয়ে তারা সবদিক থেকে সর্বশান্ত হয়ে পড়ে। তখনই তাদের দিন চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।

 


 একাদশ শ্রেণীর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ  বিষয় আরো পড়ুনঃ


 

Leave a comment