বিশাখ দত্তের মুদ্রারাক্ষস নাটকের বিষয়বস্তু

সংস্কৃত সাহিত্য জগতে অষ্টম শতাব্দীতে নাট্যকার বিশাখ দত্তের লেখা মুদ্রারাক্ষস  একটি গৌরবময় রচনা । তাই আজকের আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন- বিশাখ দত্তের মুদ্রারাক্ষস নাটকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলোচনা করো ।      

আশা রাখি , আমাদের এই উপস্থাপনা B.A Sanskrit –এর ছাত্রছাত্রীদের এবং WBBSC class -11 এর ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে খুবই উপযোগী হতে চলেছে।

বিশাখ দত্তের মুদ্রারাক্ষস নাটকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলোচনা করো ।
বিশাখ দত্তের মুদ্রারাক্ষস নাটকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলোচনা করো |

বিশাখ দত্তের মুদ্রারাক্ষস নাটকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলোচনা করো |  

বিশাখ দত্তের মুদ্রারাক্ষসঃ 

নাট্যকার বিশাখদত্ত ‘মুদ্রারক্ষসম্‌’ নামক নারীবর্জিত ঐতিহাসিক নাটক রচনা করে সংস্কৃত সাহিত্য জগতে এক অপ্রতিদ্বন্দী, গৌরবময় স্থান অধিকার করেছেন। সপ্তমাঙ্কের নাটকটির মূল কাহিনী বিষ্ণু পুরাণ, ইতিহাস ও লোক কথায় রয়েছে।

মুদ্রারাক্ষস নাটকের বিষয়বস্তুঃ

এই সাত অঙ্কের নাটকের প্রধান নায়ক হলেন চাণক্য। তিনি নন্দবংশ ধ্বংস করে, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে সিংহাসনে বসান এবং নন্দ রাজের প্রভু ভক্ত আমত্য রাক্ষসকে চন্দ্রগুপ্তের মন্ত্রীপদে আসীন করার জন্য যে বুদ্ধি কৌশলের সংঘর্ষ হয়েছে। তাই এই নাটকের মেরুদন্ড।

প্রথম অঙ্কঃ 

চাণক্য গোপনে জানতে পারেন কুসুমপুরের তিন ব্যক্তি রাক্ষসের বন্ধু। তারা হল ক্ষপণক জীসিদ্ধি, কায়স্থ শকটদাস ও মণিকার শ্রেষ্ঠ চন্দনদাস। এই চন্দনদাসের গৃহে রাক্ষসের মুদ্রাসহ আত্মীয়কে পাওয়া যায়।

দ্বিতীয় অঙ্কঃ 

রাক্ষস শত চেষ্টা করেও কুসুমপুরের চন্দ্রগুপ্তকে আঘাত করতে পারেনি।

তৃতীয় অঙ্কঃ

কৌমুদি মহোৎসব বাতিলের মনোরম ঘটনা আছে।

চতুর্থ অঙ্কঃ

রাক্ষসের নিজের নীতির বিফলতার কথা আছে।

পঞ্চম অঙ্কঃ

রাক্ষসের সাথে বিরোধ মনমলয় কেতু ও তার সহযোগীসহ ধরা পড়ছে।

ষষ্ঠ অঙ্কঃ

রাক্ষস কুসুমপুরে এসে তার বন্ধু চন্দন দাসের প্রাণদন্ডের আদেশ শুনেছে।

সপ্তম অঙ্কঃ

রাক্ষস তার বন্ধুকে বাঁচাতে চন্দ্রগুপ্তের মন্ত্রীর আদেশ স্বীকার করেন।

মুদ্রারাক্ষস নাটকের বৈশিষ্ট্যঃ

সংস্কৃত সাহিত্যে বীর রস প্রধান ঐতিহাসিক নাটক হল ‘মুদ্রারাক্ষসম্‌’। এতে প্রেমের কোনো স্থান নেই। এতে নায়ক নায়িকা ও বিদূষকের একান্ত অভাব লক্ষণীয়।

নাট্যকারের রচনাশৈলীও বেশ বলিষ্ঠ, তাঁর ভাষা, সংহত, প্রাঞ্জল ও তেজস্বী। অপ্রয়োজনীয় অলংকার তিনি বর্জন করেছেন। এই নাটকে প্রসাদ গুণের আধিক্য থাকলেও মাঝে মাঝে মাধুর্য গুণের সমাবেশ ঘটেছে। গৌড়ীয় ও বৈদর্ভী রীতির প্রয়োগ ঘটছে এছাড়া যুগ্ম চরিত্র সৃষ্টিতে নাট্যকারের স্থায়ী বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়। মুদ্রারাক্ষসে বিচিত্র ছন্দের সমাবেশ ঘটেছে। তার মধ্যে আর্যা, বসন্ত, তিলক, স্রগ্ধরা শার্দুলবিক্রীয়িত প্রভৃতির বেশি প্রয়োগ দেখা যায়।

মূল্যায়নঃ  

পরিশেষে বলা যায় যে, ভাব ও ভাষায় সম্বন্ধয়, রচনাশৈলী, কাহিনী বিন্যাস, সংলাপ পরিকল্পনা কৃতিত্ব, চরিত্র চিত্রনের, ও সমাজচিত্র, প্রকৃতির বর্ণনা প্রভৃতি সমীক্ষার বিচারে ‘মুদ্রারাক্ষস’ বিশাখদত্তের শ্রেষ্ঠ কীর্তি।


প্রশ্ন উত্তরঃ 

১. মুদ্রারাক্ষস নাটকটি কার লেখা ?

উত্তরঃ মুদ্রারাক্ষস নাটকটি নাট্যকার বিশাখদত্তের লেখা ।

২. মুদ্রারাক্ষস কোন ভাষায় লেখা ?

উত্তরঃ মুদ্রারাক্ষস সংস্কৃত ভাষায় লেখা ।

৩. মুদ্রারাক্ষস নাটকের অঙ্ক সংখ্যা কত ?

উত্তরঃ মুদ্রারাক্ষস নাটকের অঙ্ক সংখ্যা সাতটি ।

৪. মুদ্রারাক্ষস নাটকের বিষয়বস্তু কোন রাজার কাহিনী ?

উত্তরঃ মুদ্রারাক্ষস নাটকে মৌর্য্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের  কাহিনী ।

৫. মুদ্রারাক্ষস নাটকের নায়ক কে ?

উত্তরঃ মুদ্রারাক্ষস নাটকের প্রধান নায়ক হলেন চাণক্য।


আরো পড়ুন – 


 

Leave a comment