কোঠারি কমিশনের সুপারিশ গুলি আলোচনা করো

একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষাবিজ্ঞান নতুন সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ 

আজ  WBCHSE Class 11-এর Education নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চলেছি , এই  থেকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি  আলোচনা করবো, তা হল  প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার কাঠামো ও পাঠক্রম সম্বন্ধে কোঠারী কমিশনের সুপারিশগুলি কী কী ছিল

আমরা সহজ ও সংশ্লিষ্ট ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্বরূপ বিষয়গুলি উপস্থাপন করে থাকি । যা তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে খুবই সহায়ক হবে ,বলেই আশা রাখি ।

সুতরাং , আজ আমাদের আলোচ্য বিষয়ঃ কোঠারি কমিশনের সুপারিশ গুলি আলোচনা করো |

পরবর্তীতে একাদশ শ্রেণীর আরও অন্যান্য বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ সব NOTES পেতে darsanshika.com পেজটিতে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে ।

কোঠারি কমিশনের সুপারিশ গুলি আলোচনা করো |
কোঠারি কমিশনের সুপারিশ গুলি আলোচনা করো |

 

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে

কোঠারি কমিশনের সুপারিশগুলি আলোচনা করো ।

 

প্রাথমিক শিক্ষার কাঠামো ও পাঠক্রম সম্পর্কে কোঠারি কমিশনের সুপারিশগুলি হলঃ 

প্রাথমিক শিক্ষার কাঠামোঃ 

কোঠারী কমিশনের মতে প্রাথমিক স্তরের মধ্যে দুটি বিভাগ থাকবে। একটি হবে নিম্ন প্রাথমিক এবং অপরটি হবে উচ্চ প্রাথমিক। নিম্ন প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে হবে শিশুর ভর্ত্তির বয়স হবে ৬ বছর। তারা ১০ – ১১ বছর বয়স পর্যন্তই এ স্তরে পড়াশোনা করবে। এখানে প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হবে।

অন্যদিকে, উচ্চপ্রাথমিক স্তরে ভর্ত্তির বয়স হবে ১১ – ২০ বছর। এখানে শিক্ষার্থীরা ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত পড়বে । এখানে পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হবে। মোট কথা নিম্ন প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাকাল হবে ৪ – ৫ বছর এবং উচ্চপ্রাথমিক স্তরের শিক্ষার হবে ৩ – ৪ বছর। এই হিসাবে প্রাথমিক স্তরের মোট শিক্ষাকাল হবে ৭ – ৮ বছর।

প্রাথমিক শিক্ষার পাঠক্রমঃ

 (ক) নিম্ন প্রাথমিক স্তর (প্রথম শ্রেণী – চতুর্থ শ্রেণী):  

a) একটি ভাষা – মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষা।

b) গণিত ।

c) পরিবেশ পাঠ (বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান)

d) সৃজনশীল কর্ম।

e) কর্ম অভিজ্ঞতা ও সমাজসেবা।

f) স্বাস্থ্য শিক্ষা।

 

(খ) উচ্চ প্রাথমিক স্তর (পঞ্চম শ্রেণী – অষ্টম শ্রেণী): 

a) দুটি ভাষা – মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষা এবং হিন্দি বা ইংরাজী ত্বত্তীয় একটি ভাষা।

b) গণিত।

c) বিজ্ঞান।

d) সমাজবিদ্যা (ইতিহাস, ভূগোল, পৌরবিজ্ঞান) ।

e) শিল্প ।

f) কর্ম অভিজ্ঞতা ও সমাজসেবা ।

g) শরীর শিক্ষা ।

h) নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা।


আরো পড়ুনঃ

Related Post: 


মাধ্যমিক শিক্ষার কাঠামো ও পাঠক্রম সম্পর্কে কোঠারি  কমিশনের সুপারিশগুলি হলঃ  

মাধ্যমিক শিক্ষার কাঠামোঃ

মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরেও কোঠারি কমিশনে দুটি স্তরের সুপারিশ করেন। প্রথম স্তরটি হল নিম্ন মাধ্যমিক স্তর এবং দ্বিতীয় স্তরটি হল উচ্চ মাধ্যমিক স্তর। কমিশনের রিপোর্ট অষ্টম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত নিম্ন মাধ্যমিক ও একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিক স্তর। নিম্ন মাধ্যমিক স্তর হবে ২ বা ৩ বছর ব্যাপী। এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তর হবে ২ বছর ব্যাপী। অর্থাৎ মাধ্যমিক শিক্ষার মোট সময়কাল হবে ৪ বছর। প্রথম সাধারণ পরীক্ষা হবে দশম শ্রেণীর শেষে এবং দ্বিতীয় সাধারণ পরীক্ষা হবে দ্বাদশ শ্রেণীর শেষে।

মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যক্রমঃ

(ক) নিম্ন মাধ্যমিক স্তর (নবম – দশম শ্রেণী): 

a) ভাষা বিজ্ঞানঃ 

(i) মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষা (প্রথমভাষা) ।

(ii) ইংরেজি ভাষা (দ্বিতীয় ভাষা) ।

(iii) সংস্কৃত ভাষা (তৃতীয় ভাষা) ।

সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীতে সংস্কৃত পড়ানো হয়, কিন্তু শিক্ষার্থী ইচ্ছা করলে মাধ্যমিক স্তরে ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে পড়তে পারেন।

 

b) বিজ্ঞান বিভাগঃ 

 (i) গণিত পাটিগণিত, জ্যামিতি বীজগণিত, পরিণিতি, রাশিবিজ্ঞান।

 (ii) ভৌতবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞন ও রসায়নবিদ্যা।

 (iii)  জীবনবিজ্ঞান।

 

c) সমাজ বিজ্ঞানঃ 

 (i) ইতিহাস ।

 (i) ভূগোল ।

d) কর্ম অভিজ্ঞতা ও সামজসেবা।

e) নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা। 

 

(খ) উচ্চমাধ্যমিক স্তর (একাদশ – দ্বাদশ শ্রেণী):

a) ভাষাবিভাগঃ

 (i) প্রথমভাষা – বাংলা।

 (ii) দ্বিতীয় ভাষা – ইংরেজী।

 

b) আবশ্যিক ঐচ্ছিক বিষয়ঃ

  (যেকোনো তিনটি বিষয়) ঐচ্ছিক বিষয়কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

c) পরীক্ষার ভিত্তিক বিষয়ঃ 

 যে বিষয়ের পরীক্ষা আছে। যেমন – পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, জীববিদ্যা, ভূগোল, চারুকলা, হস্তশিল্প ইত্যাদি।

d) পরীক্ষারবর্জিত বিষয়ঃ 

যেসব বিষয়ের পরীক্ষা নেই। যেমন – গণিত, অর্থনীতি, রাশিবিজ্ঞান রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, ইতিহাস, শিক্ষাবিজ্ঞান, দর্শন ইত্যাদি।

e) অতিরিক্ত বিষয়ঃ 

 শিক্ষার্থী নিজের পছন্দ মতো একটি বিষয় নির্বাচন করে নেয়।

f) সহ পাঠ্যক্রমিক কার্যাবলীঃ 

 কর্মশিক্ষা, শরীর শিক্ষা, সমাজসেবা, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা।


 

একাদশ শ্রেণীর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ  বিষয় আরো পড়ুনঃ


প্রশ্ন উত্তর 

১. কোঠারি কমিশন কবে গঠিত হয় ?

উত্তরঃ ১৯৬৪ সালের ১৪ ই জুলাই কোঠারি কমিশন গঠিত হয় ।

২. কোঠারি কমিশনের সভাপতি কে ? 

উত্তরঃ কোঠারি কমিশনের সভাপতি ছিলেন দৌলত সিং কোঠারির

৩. কোঠারি কমিশনের উদ্দেশ্য কি ছিল ?

উত্তরঃ কোঠারি কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে প্রাথমিক শিক্ষার ও উচ্চ শিক্ষার সম্বন্ধয় সাধন ও উন্নতি সাধন ।


 

 

Leave a comment