রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্য আলোচনা

একাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান দ্বিতীয় সেমিস্টার ,সিলেবাসের একটি অন্যতম বিষয়-রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্যগুলি আলোচনা করব ।  

যা Class 11 Education Semester 2 এর যেসব ছাত্রছাত্রী রয়েছ তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। Education -এর প্রয়োজনীয় সব Notes তোমরা এই পেজে পাবে ।

আমরা সহজ ও সংশ্লিষ্ট ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্বরূপ বিষয়গুলি উপস্থাপন করে থাকি । যা তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে খুবই সহায়ক হবে ,বলেই আশা রাখি । আলোচনার এই পর্বের আলোচ্য বিষয়ঃ রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্য আলোচনা করো | 

রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্য আলোচনা |
রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্য আলোচনা |

 

১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের 

উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যগুলি আলোচনা করো |    

রাধাকৃষ্ণণ কমিশনঃ

১৯৪৭ খ্রীঃ স্বাধীনতা লাভের পর ভারতে উচ্চশিক্ষার অগ্রগতির জন্য ১৯৪৮ খ্রীঃ স্বাধীন ভারতে প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। ডঃ সর্বোপল্লী রাধাকৃষ্ণণ ছিলেন এই কমিশনের সভাপতি। সদস্য রূপে ছিলেন ডঃ নির্মল কুমার সিদ্ধান্ত, ডঃ মেঘনাথ সাহা, ডঃ লক্ষণ স্বামী মুদলীয়র প্রমুখ। মোট দশ জন সদস্য।

রাধাকৃষ্ণণ কমিশন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা বা উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যগুলি হলঃ 

রাধাকৃষ্ণাণ কমিশন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা বা উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্য গুলি বিভিন্ন পরিচ্ছেদে ব্যক্ত করেছেন।

(ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার লক্ষ্য হবে এমন, যাতে শিক্ষার্থীরা দেশের রাজনৈতিক শাসনতান্ত্রিক, বৈজ্ঞানিক প্রভৃতি বিষয়ে নেতৃত্ব গ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।

(খ)  বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার লক্ষ্য হবে শিক্ষার মান উন্নত করা। শিক্ষার মান এমনভাবে উন্নত করতে হবে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রাপ্ত প্রতিটি শিক্ষার্থী জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির যোগ্য প্রতিনিধি হয়ে উঠতে পারে।

(গ)   বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার লক্ষ্য হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংস্কৃতি উপলব্ধি করে তাকে সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণ করতে পারে।

(ঘ)  উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্য হবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের মানবিক গুণগুলির বিকাশ সাধন করা। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে মানববিদ্যা চর্চার জন্য নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করতে হবে।

(ঙ)  উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্য হবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবসভ্যতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা গড়ে তোলা।

(চ)  দেশের সাধারণ শিক্ষা, যান্ত্রিক শিক্ষা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রভৃতি নানা ধরণের শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে হবে।

(ছ) শিক্ষার্থীর মনে উচ্চতর ভাবধারা ও সমাজ জীবনে নূতন মূল্যবোধ জাগ্রত করা।

(জ) নূতন সমাজ গঠন করার সমাজ দর্শন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা সৃষ্টি করতে হবে, যাতে সমাজের চাহিদা অনুসারে এক আদর্শ সভ্যতা গড়ে তোলা সম্ভব হয়।

(ঝ) শিক্ষার্থী যেন শিল্প বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে অংশ গ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।

(ঞ) শিক্ষার লক্ষ্য হবে ন্যয় বিচার, স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব বোধের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা।

(ট) বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে এমন শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে প্রাকৃতিক সম্পদের সদ ব্যবহার হয়।

(ঠ) ভারতীয় সংস্কৃতি যে সুমহান, যুগ যুগ ধরে বিভেদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে এসেছে, সেই সংস্কৃতির ধারাকে বাঁচিয়ে রাখার ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়কে করতে হবে।

(ড)  শিক্ষার্থীদের দেশ ও জাতির বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে নূতন করে চিন্তা করার শক্তি অর্জনের ব্যবস্থা এবং নানা ক্ষেত্রে গবেষণার সম্প্রসারণ করতে হবে।

(ঢ) সহপাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত সকল প্রকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক কাজকে গুরুত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে।


আরো পড়ুনঃ


প্রশ্ন উত্তরঃ 

১. রাধাকৃষ্ণন কমিশন কোন সালে গঠিত হয় ?

উত্তরঃ ১৯৪৮ খ্রীঃ স্বাধীন ভারতে প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। যার নাম ছিল রাধাকৃষ্ণন কমিশন ।

২. রাধাকৃষ্ণন কমিশনের সভাপতি কে ছিলেন ?

উত্তরঃ ডঃ সর্বোপল্লী রাধাকৃষ্ণণ ছিলেন এই কমিশনের সভাপতি।

৩. রাধাকৃষ্ণন কমিশনের সদস্য সংখ্যা কত  ছিল ?

উত্তরঃ রাধাকৃষ্ণন কমিশনের সদস্য সংখ্যা ১০ জন ।

৪. রাধাকৃষ্ণন কমিশনের অপর নাম কি ?

উত্তরঃ রাধাকৃষ্ণন কমিশনের অপর নাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন ।

৫. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের কয়েকজন সদ্যসের নাম লেখ ।

উত্তরঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য রূপে ছিলেন ডঃ নির্মল কুমার সিদ্ধান্ত, ডঃ মেঘনাথ সাহা, ডঃ লক্ষণ স্বামী মুদলীয়র প্রমুখ।

Leave a comment