সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনুশীলনীসহ , পাঠ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ১ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর ও ১ নম্বরের ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারার শূন্যস্থান পূরণ দেওয়া হল ।

ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর
১। সঠিক উত্তরটি বেছে নাও :
(ক) বঙ্গ নামের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় গ্রন্থে- (ঐতরেয় আরণ্যক/আইন-ই-আকবরি/অর্থশাস্ত্র)
Ans: ঐতরেয় আরণ্যক।
(খ) প্রাচীন বাংলার সীমানা তৈরি হয়েছিল। (পদ্মা, মেঘনা এবং ভাগীরথী,/গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, সিন্ধু/কৃষ্ণা, কাবেরী, গোদাবরী) নদী দিয়ে।
Ans: ভাগীরথী, পদ্মা, মেঘনা ।
(গ) সকলোত্তরপথনাথ উপাধি ছিল- (শশাঙ্কের/হর্ষবর্ধনের/ধর্মপালের)।
Ans: হর্ষবর্ধনের ।
(ঘ) কৈবর্ত বি দ্রোহের একজন নেতা ছিলেন। (ভীম/রামপাল/প্রথম মহীপাল)।
Ans: ভীম ।
(ঙ) সেন রাজা -(বিজয়সেনের/বল্লালসেনের/লক্ষ্মণসেনের) আমলে বাংলায় তুর্কি আক্রমণ ঘটে।
Ans: লক্ষ্মণসেনের ।
(চ) সুলতানি যুগের একজন ঐতিহাসিক ছিলেন।
-(মহম্মদ ঘুরি/মিনহাজ-ই সিরাজ/ ইখতিয়ারউদ্দিন মহম্মদ বখতিয়ার খলজি ) ।
Ans: মিনহাজ–ই সিরাজ ।
২। ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো:
ANS:
ক-স্তম্ভ | খ-স্তম্ভ |
বজ্রভূমি | উত্তর রাঢ় |
লো-টো-মো-চিহ | বৌদ্ধ বিহার |
গঙ্গাই কোণ্ডচোল | প্রথম রাজেন্দ্র |
গৌড়বহো | বাষ্পতিরাজ |
হরিকেল | আধুনিক চট্টগ্রাম |
কিতাব অল-হিন্দ | অল বিরুনি |
৩। সংক্ষেপে উত্তর লেখো :
(ক) এখনকার পশ্চিমবঙ্গের একটি মানচিত্র দেখে আদি–মধ্য যুগের বাংলার কোন কোন নদী দেখতে পাবে ?
উত্তরঃ এখনকার পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্র অনুয়ায়ী পশ্চিমবঙ্গের আদি মধ্যযুগে যে সব নদী রয়েছে সেগুলি হল – গঙ্গা নদী ও তার শাখানদী ভাগীরথী ,হুগলী । উত্তরদিকে- তিস্তা, মহানন্দা, আত্রাই, পুনর্ভবা । উত্তর রাঢ় অঞ্চলে অজয় , ময়ূরাক্ষী, ও দক্ষিণ রাঢ় অঞ্চলে রূপনারায়ণ, কাঁসাই, সুবর্ণরেখা ।
(খ) শশাঙ্কের আমলে বাংলার আর্থিক অবস্থা কেমন ছিল ?
উত্তরঃ শশাঙ্কের আমলে অর্থনীতি প্রধানত কৃষি নির্ভর হয়ে পড়ে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই যুগে মন্দা দেখা যায় । বাণিজ্যের গুরুত্ব কমে যাওয়ার ফলে নগরের গুরুত্ব কমতে থাকে । সমাজে জমির গুরুত্ব কমে যায়, কৃষির গুরুত্ব কমে যাওয়ায় সমাজ ক্রমশ গ্রামকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে । বণিকদের গুরুত্বও আগের থেকে কমে যায় । সোনার মুদ্রার প্রচলন ছিল তবে তার মান অনেকটা কমে যায় নকল সোনার মুদ্রাও দেখা যেত, রুপোর মুদ্রার চল ছিল না ।
(গ) মাৎস্যন্যায় কী ?
উত্তরঃ মাৎস্যন্যায় বলতে দেশে অরাজকতা বা স্থায়ী রাজার অভাবকে বোঝায় । পুকুরের ছোট মাছ যেমন বড় মাছকে খেয়ে ফেলে, অরাজকতার সময়ে তেমনই শক্তিশালী লোক দুর্বল লোকের ওপর অত্যাচার করে।
অষ্টম শতকে শশাঙ্ক কোন স্থায়ী রাজবংশ তৈরি করে যেতে পারেনি । ফলে বংলায় নানান বিশৃঙ্খল দেখা যায়। এই দুঃসময়ে বিভিন্ন শাসকরা বাংলার নানা অংশ অধিকার করে নেয় । বাংলার ইতিহাসে এই বিশৃঙ্খল সময়কে মাৎস্যন্যায়ের যুগ বলে ।
(ঘ) খ্রিস্টীয় সপ্তম ও অষ্টম শতকের আঞ্চলিক রাজ্যগুলি কেমন ভাবে গড়ে উঠেছিল ?
উত্তরঃ বাংলার বাইরে খ্রিস্টীয় সপ্তম ও অষ্টম শতকে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে বেশ কিছু নতুন রাজ বংশের উত্থান ঘটে। রাজবংশগুলি স্থানীয় শক্তিশালী ব্যক্তিদের উপস্থিতি মেনে নিয়েছিল । বড়ো, বড়ো জমির মালিক ও যোদ্ধাদের ক্ষেত্রে সামন্ত , ও মহাসামন্ত উপাধি দেওয়া হত। এরা রাজাকে উপঢৌকন দিত , রাজার ডাকে সৈন্য নিয়ে হাজির হত । কেউ কেউ রাজার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করত । সামরিক কৃতিত্বের অধিকারী মানুষেরা পারিবারিক শক্তির সাহায্যে নতুন রাজ্য স্থাপন করত । এই ভাবেই সপ্তম শতক থেকে অষ্টম শতকের মাঝামাঝি সময় আঞ্চলিক রাজ্যগুলির উত্থান ঘটে ।
(ঙ) সেন রাজাদের আদি নিবাস কোথায় ছিল ? কীভাবে তারা বাংলায় শাসন কায়েম করেছিলেন ?
উত্তরঃ সেন রাজাদের আদি নিবাস ছিল দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক অঞ্চল , অর্থাৎ মহিশূর এবং তার আশেপাশের এলাকা। সেন রাজারা বংশগতভাবে ব্রাহ্মণ ছিলেন পরে তাঁরা ক্ষত্রিয় হয়ে যান।
একাদশ শতকে সামন্ত সেন রাঢ় অঞ্চলে আসেন, তারপর তাঁর ছেলে হেমন্ত সেনের আমলে রাঢ় অঞ্চলে সেনদের কিছুটা আধিপত্য তৈরি হয়। পরিবর্তীকালে হেমন্ত সেনের ছেলে বিজয় সেন গৌড়, পূর্ববঙ্গ, এবং মিথিলা জয় করে সেন রাজ্যের পরিধি বাড়িয়েছিলেন । এরপর বল্লাল সেন ও তাঁর পরবর্তী উত্তরাধিকারী লক্ষণ সেন পুরীতে তাঁর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। অবশেষে ১২০৪/ ০৫ খ্রিস্টাব্দে তুর্কি আক্রমণের ফলে বাংলায় সেন শাসনের অবসান ঘটে ।
(চ) সুলতান মাহমুদ ভারত থেকে লুঠ করা ধনসম্পদ কীভাবে ব্যবহার করেছিলেন ?
উত্তরঃ ভারতের ইতিহাসে একজন শক্তিশালী যোদ্ধা ও আক্রমণকারী হিসাবে পরিচিত ছিলেন সুলতান মাহমুদ । তিনি গজনির সুলতান ছিলেন। ভারত থেকে প্রচুর ধন সম্পদ লুঠ করে নিজের রাজ্যের জন্য তিনি তা ব্যয় করেছিলেন। গজনি ও অন্যান্য শহরকে তিনি সুন্দর করে সাজিয়েছিলেন। প্রাসাদ মন্দির, মসজিদ, গ্রন্থাগার, বাগিচা প্রভৃতি তৈরি করা হয়েছিল। জলাধার, খাল, নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করেছিলেন । একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন। সেখানে শিক্ষকদের বেতন ও ছাত্রদের বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। ভারত থেকে লুঠ করা ধন সম্পদ তিনি এই সমস্ত ভালো কাজে ব্যয় করেছিলেন।
৪। বিশদে (১০০-১২০ টি শব্দের মধ্যে) উত্তর লেখো:
(ক) প্রাচীন বাংলার রাঢ়–সুঘ্ন এবং গৌড় অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিচয় দাও।
উত্তরঃ প্রাচীন বাংলা প্রধান অঞ্চলগুলির মধ্যে ছিল রাঢ়-সুহ্ম , গৌড়, প্রভৃতি অঞ্চল।
রাঢ়-সুহ্ম
প্রাচীন বাংলার রাঢ় অঞ্চল দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল। উত্তর রাঢ় ও দক্ষিণ রাঢ়। উত্তর ও দক্ষিণ রাঢ়ের মধ্যবর্তী সীমানা ছিল অজয় নদ।
উত্তর রাঢ়
জৈনদের প্রাচীন ঐতিহ্য অনুযায়ী উত্তর রাঢ় ছিল বজ্রভূমি এলাকা। আজকের মুশিদাবাদ জেলার পশ্চিম ভাগ, বীরভূম জেলা, সাঁওতাল পরগণার একাংশ এবং বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার উত্তরভাগ ছিল উত্তর রাঢ় অঞ্চল ।
দক্ষিণ রাঢ়
দক্ষিণ রাঢ় ছিল সুহ্মভূমি এলাকা আজকের হাওড়া, হুগলী, বর্ধমান জেলার বাকি অংশ এবং অজয় ও দামোদর নদের মধ্যবর্তী বিরাট এলাকাকে বোঝানো হত । দক্ষিণ রাঢ় ছিল বঙ্গোপ সাগরের নিকটবর্তী এলাকা ।
গৌড়
প্রাচীন ও মধ্যযুগে গৌড় ছিল গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল । গৌড় বলতে বোঝানো হয় এক জনগোষ্ঠীকে । বরাহমিরের রচনা অনুযায়ী মুর্শিদাবাদ বীরভূম এবং বর্ধমান জেলার পশ্চিম ভাগ অঞ্চল নিয়ে তৈরি হয়েছিল গৌড় ।
(খ) শশাঙ্কের সঙ্গে বৌদ্ধদের সম্পর্ক কেমন ছিল, সে বিষয়ে তোমার মতামত দাও।
উত্তরঃ বিভিন্ন বৌদ্ধ গ্রন্থে শশাঙ্ককে বৌদ্ধ বিদ্বেষী বলে অভিহিত করা হয়েছে । বলা হয় যে শশাঙ্ক বৌদ্ধ ভিক্ষুক দের হত্যা করেছিলেন ও তাঁদের পবিত্র ধর্মীয় স্মারক ধ্বংস করেছিলেন।বানভট্টের লেখা হর্ষচরিতে শাশঙ্কের নিন্দা করা হয়েছে।
কিন্তু চিনা পর্যটক ই-ৎসিং, বাংলায় বৌদ্ধ ধর্মের উন্নতি লক্ষ্য করেছিলেন , শশাঙ্ক বৌদ্ধ বিদ্বেষী হলে কখনই তা সম্ভব হত না। শশাঙ্ক ও বৌদ্ধদের সম্পর্ককে কিছু লেখক অতিরঞ্জিত করে ব্যাখ্যা করেছেন, আবার দেখা যায় যে তৎকালীন সময়ে সব লেখকেরা শশাঙ্কের প্রতি পুরোপুরি বিদ্বেষমুক্ত ছিল না। শশাঙ্ক ছিলেন শিবের উপাসক হলেও শশাঙ্কের শাসনকালে সুয়ান জাং কর্ণসুবর্ণ নগরের উপকণ্ঠে বৌদ্ধ বিহারের সমৃদ্ধি লক্ষ্য করেছিলেন ।
(গ) ত্রিশক্তি সংগ্রাম কাদের মধ্যে হয়েছিল ? এই সংগ্রামের মূল কারণ কী ছিল ?
উত্তরঃ অষ্টাদশ শতকে কয়েকটি আঞ্চলিক শক্তির উত্থান ঘটেছিল এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল পাল,গুর্জর-প্রতিহার, এবং রাষ্ট্রকূট বংশ এই তিন বংশের মধ্যেই ত্রিশক্তি সংগ্রাম হয়েছিল ।
হর্ষবর্ধনের সময় থেকে উত্তরাপথের অবস্থানগত দিক থেকে কৌনজ অতি গুরুত্বপূর্ণ ছিল । এই অঞ্চলের নদী ভিত্তিক বাণিজ্য এবং খনিজ সম্পদ আর্থিক দিক থেকে লোভনীয় ছিল, যে কৌনজ দখল করতে পারবে সেই গাঙ্গেয় উপত্যকা দখলে রাখতে পারবে ঠিক সেই কারণে পাল গুর্জর-প্রতিহার, এবং রাষ্ট্রকূট বংশের মধ্যে লড়াই চলেছিল প্রায় দুশো বছর এই লড়াইয়ে তিন বংশই নিঃশেষ হয়ে যায় ।
(ঘ) পাল ও সেন শাসনের সংক্ষিপ্ত তুলনা করো ।
উত্তরঃ
পাল রাজবংশ
(i) সময়কাল :
৭৫০ থেকে ১২০০ বাংলায় পাল রাজ বংশ রাজত্ব করে ।
(ii) উল্লেখযোগ্য শাসকগণ :
পাল বংশে একের পর এক উত্তরসূরি বাংলা শাসন করেছেন । তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গোপাল (৭৫০-৭৪ খ্রিঃ), ধর্মপাল(৭৭৪-৮০৬ খ্রিঃ), দেবপাল(৮০৬-৪৫খ্রিঃ), প্রথম মহীপাল (৯৭৭-১০২৭খ্রিঃ), রামপাল(১০৭২-১১২৬ খ্রিঃ) ।
(iii) উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
(i) ত্রিশক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ , বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠ পোষণা করেছেন ।
(ii) পালদের সময়কালে শিক্ষা, শিল্প ও স্থাপত্যের বিকাশ ঘটে
(iii) কৈবর্ত বিদ্রোহ এই যুগের উল্লেখযোগ্য ঘটনা পালদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দিব্য, রুদোক, ভীম নামের তিন বিদ্রোহী নেতা এই আন্দোলনের ডাক দেন প্রথম মহীপাল তাঁদের দমন করতে গিয়ে নিহত হন ।
সেন রাজবংশ
সময়কাল :
খ্রিস্টীয় একাদশ শতক ১২০৪/০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলায় সেন বংশের শাসনকাল ।
উল্লেখযোগ্য শাসক :
বল্লাল সেন (আনুমানিক ১১৫৯-৭৯ খ্রিঃ) ও লক্ষণ সেন (আনুমানিক ১১৭৯-১২০৪খ্রিঃ) ছিলেন সেন বংশের উল্লেখ যোগ্য শাসক ছিলেন ।
উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
বর্ণ ব্যবস্থার কড়াকড়ি, তুর্কি অভিযান এই সময়ের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ।
(ঙ) দক্ষিণ ভারতে চোল শক্তির উত্থানের পটভূমি বিশ্লেষণ করো । কোন কোন অঞ্চল চোল রাজ্যের অন্তর্গত ছিল তা লেখ।
উত্তরঃ দক্ষিণ ভারতে বেশ কিছু আঞ্চলিক শক্তির উত্থান ঘটেছিল পল্লব , পান্ড্য এবং তাঁদের মধ্যে ছল রাজারা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল । কাবেরী এবং তার শাখানদীগুলির ব-দ্বীপকে ঘিরে চোল রাজ্য গড়ে উঠেছিল। রাজা মুট্টাবাইয়াকে সরিয়ে বিজয়ালয় (৮৪৬-৮৭১ খ্রিঃ) চোল রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। থাঞ্জাভুর বা তাঞ্জোর নামের এক নতুন নগরীকে বিজয়ালয় রাজধানী হিসাবে বেছে নেন। পরবর্তীকালে তাঁর উত্তরসূরিরা রাজ্যকে সম্প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছিল।
দক্ষিণের পাণ্ড্য এবং উত্তরের পল্লব অঞ্চল চোলদের দখলে আসে। ৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম রাজরাজ বর্তমান কেরল, তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চোল প্রতিপত্তি বাড়ান।
(চ) ইসলাম ধর্মের প্রচারের আগে আরব দেশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ইসলাম ধর্মের প্রচার আরব দেশে কী বদল এনেছিল ?
উত্তরঃ আরব দেশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় এশিয়া মহাদেশের পশ্চিমদিকে আরব উপদ্বীপ । এই উপদ্বীপের অধিকাংশই মরুভূমি বা শুকনো ঘাস জমি অঞ্চল । পশ্চিমে আরব সাগর, পূর্ব দিকে পারস্য উপসাগর । বৃষ্টিপাত এখানে সামান্যই হয় । এখানকার মানুষদের অন্যতম খাবার খেজুর ও উঠের দুধ । এখানকার মানুষেরা উট পালন করত। মক্কা ও মদিনা এখানকার গুরুত্বপূর্ণ শহর ।
৬১০ খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ তাঁকে আল্লাহ বা ঈশ্বরের দূত বলে প্রচার করেন। তিনিই আল্লাহর বাণী ছড়িয়ে দেন। তাঁর অনুগামীদের মুসলমান বলা হত । বিভিন্ন উপজাতিদের মধ্যে বিভেদ বদ্ধ করার জন্য তিনি এই বিশ্বাস তুলে ধরেন এর ফলে আরব উপজাতিদের মধ্যে ঐক্য তৈরি হয় । এই সময় থকে হিজরি নামে ইসলামীয় গণনা শুরু হয়। আরব ভূখণ্ডের বিরাট অঞ্চল জয় করেন মহম্মদ । আরবে মহম্মদের অনুগামীর সংখ্যা ছিল অনেক ।
সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় ছোট প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নের মানঃ১
১. কোন গ্রন্থে বঙ্গ কথাটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ ঋকবেদের ঐতেরেয় আরণ্যক গ্রন্থে বঙ্গ কথাটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ।
২.প্রাচীন বাংলায় বঙ্গ বলতে কোন অঞ্চলটিকে বোঝানো হত ।
উত্তরঃ প্রাচীন বাংলার জনপদগুলির একটি বিভাগ ছিল বঙ্গ । তৎকালীন বঙ্গ ভৌগলিক দিক থেকে খুব বড়ো ছিল না ।
৩. অর্থশাস্ত্র গ্রন্থটি কে রচনা করেন ?
উত্তরঃ অর্থ শাস্ত্র গ্রন্থটি রচনা করেন কৌটিল্যে ।
৪. মুঘল যুগের একজন ঐতিহাসিকের নাম লেখো ?
উত্তরঃ আবুল ফজল ছিলেন মুঘল যুগের একজন ঐতিহাসিক
৫. রঘুবংশম কাব্যগ্রন্থটি কার রচিত ?
উত্তরঃ রঘুবংশম কাব্যগ্রন্থটি কালিদাসের রচিত ।
৬. আবুল ফজলের কোন গ্রন্থে সুবা বাংলার উল্লেখ পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ আবুল ফজলের রচিত আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে সুবা বাংলার উল্লেখ পাওয়া যায় ।
৭. সুবা কথাটির অর্থ কি ?
উত্তরঃ সুবা কথাটির অর্থ হল রাজ্য বা প্রদেশ ।
৮. কোন ভূখণ্ড বেঙ্গালা নামে পরিচিত ছিল ?
উত্তরঃ ষোড়শ, সপ্তদশ, ও অষ্টাদশ শতকে ইউরোপীয় ভ্রমণকারী বণিকরা বাংলার নামকরণ করেন বেঙ্গালা ।
৯. কত খ্রিস্টাব্দে বাংলার পশ্চিম ভাগের নামকরণ করা হয় পশ্চিমবঙ্গ ?
উত্তরঃ ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ভাগের পর বাংলার পশ্চিম ভাগের নামকরণ করা হয় পশ্চিমবঙ্গ ।
১০. ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পূর্ব বাংলা কোন দেশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল ?
উত্তরঃ ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পূর্ব বাংলা নতুন দেশ পাকিস্থানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল ।
১১. কত খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পাকিস্থান স্বাধীন হয়েছিল ?
উত্তরঃ ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তি যুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্থান স্বাধীন হয়েছিল ।
১২. প্রাচীন বাংলার সীমানা তৈরি করেছিল কোন কোন নদী ?
উত্তরঃ প্রাচীন বাংলার সীমানা তৈরি করেছিল ভাগীরথী, পদ্মা, মেঘনা নদী।
১৩. প্রাচীন বাংলার প্রধান অঞ্চল গুলির নাম করো ?
উত্তরঃ প্রাচীন বাংলার প্রধান অঞ্চল গুলি ছিল পুন্ড্রবর্ধন, বরেন্দ্র, গৌড় , বঙ্গ, বাঙ্গাল, রাঢ়, সুহ্ম, সমতট ও হরিকেল ।
১৪. প্রাচীন বাংলার কোন অঞ্চল বরেন্দ্র নামে পরিচিত ছিল ?
উত্তরঃ ভাগীরথী ও করতোয়া নদীর মধ্যবর্তী এলাকা বরেন্দ্র নামে পরিচিত ছিল ।
১৫. প্রাচীনকালে কোন অঞ্চলকে বঙ্গ বলা হত ?
উত্তরঃ প্রাচীনকালে পদ্মা, মেঘনা, ও ভাগীরথী নদীর মধ্যবর্তী ত্রিভুজের মতো দেখতে বদ্বীপ অঞ্চলকে বঙ্গ বলা হত ।
১৬. প্রাচীন রাঢ় অঞ্চলকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় কি কি ?
উত্তরঃ প্রাচীন রাঢ় অঞ্চলকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় – (ক)উত্তর রাঢ় (খ) দক্ষিণ রাঢ় ।
১৭. উত্তর রাঢ় কোন কোন অঞ্চল নিয়ে গঠিত ?
উত্তরঃ আজকের মুর্শিদাবাদ জেলার পশ্চিম ভাগ , বীরভূম জেলা, সাঁওতাল পরগণার একাংশ, বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার উত্তর ভাগ অঞ্চল নিয়ে গঠিত উত্তর রাঢ় অঞ্চল ।
১৮. কোন কোন অঞ্চল নিয়ে গৌড় অঞ্চল গড়ে উঠেছিল ?
উত্তরঃ মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, এবং বর্ধমান জেলার পশ্চিম ভাগ অঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছিল গৌড় অঞ্চল ।
১৯. শশাঙ্কের রাজধানী কি ছিল ?
উত্তরঃ শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ ।
২০. প্রাচীন সমতট অঞ্চল কোন কোন অঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছিল ?
উত্তরঃ বর্তমানের কুমিল্লা নোয়াখালী অঞ্চলের সমভূমিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন সমতট অঞ্চল গড়ে উঠেছিল ।
২১. শশাঙ্ক কে ছিলেন ?
উত্তরঃ শশাঙ্ক ছিলেন গুপ্ত সম্রাটের মহাসামন্ত ।
২২.হিউয়েন সাঙ কে ছিলেন ?
উত্তরঃ হিউয়েন সাঙ ছিলেন একজন চিনা বৌদ্ধ পর্যটক ।
২৩. চিনা ভাষায় বৌদ্ধবিহারের নাম কি ছিল ?
উত্তরঃ চিনা ভাষায় বৌদ্ধ বিহারের নাম ছিল লো-টো-মো-চিহ ।
২৪. কর্ণসুবর্ণে কোন কোন সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করত ?
উত্তরঃ কর্ণসুবর্ণে বৌদ্ধ ও শৈব উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করত ।
২৫. হর্ষবর্ধনের উপাধি কি ছিল ?
উত্তরঃ হর্ষবর্ধনের উপাধি ছিল সকলোত্তরপথনাম ।
২৬. আর্যমঞ্জু শ্রীমূলকল্প কি ?
উত্তরঃ আর্যমঞ্জু শ্রীমূলকল্প হল একটি বৌদ্ধ গ্রন্থ ।
২৭. সুয়ান জাং তার ভ্রমণ বিবরণীতে শশাঙ্ককে কি বলে অভিহিত করেছেন ?
উত্তরঃ সুয়ান জাং তার ভ্রমণ বিবরণীতে শশাঙ্ককে ‘বৌদ্ধ বিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছেন ।
২৯. হর্ষচরিত কে রচনা করেছেন ?
উত্তরঃ হর্ষবর্ধনের সভাকবি বানভট্টের রচিত হর্ষচরিত ।
৩০. গৌড়তন্ত্র কি ?
উত্তরঃ শশাঙ্কের শাসনকালে রাজ্যের কর্মচারীরা গৌড়ে একটি নির্দিষ্ট শাসন প্রণালী গড়ে তুলেছিল এই সুনির্দিষ্ট শাসনব্যবস্থাকেই বলা হয় গৌড় তন্ত্র।
৩১. গৌড়বহো কাব্য কে রচনা করেন ?
উত্তরঃ গৌড়বহো কাব্য রচনা করেন বাকপতিরাজ ।
৩২. কৌনজের শাসক কে ছিলেন ?
উত্তরঃ কৌনজের শাসক ছিলেন যশোবর্মা ।
৩৪.বঙ্গ ও সমতটের শাসকরা কোন কোন দেবতার পূজা করত ?
উত্তরঃ বঙ্গ ও সমতটের শাসকরা বিষ্ণু , কৃষ্ণ, শিবের পূজা করত ।
৩৫. মাৎস্যন্যায়ের যুগ কাকে বলে ?
উত্তরঃ অষ্টম শতকে কৌনজ ও কাশ্মীরের শাসকরা বাংলা আক্রমণ করেছিল। বাংলার ইতিহাসে এই বিশৃঙ্খল সমকালকে বলে হয় মাৎস্যন্যায় যুগ ।
৩৬. মাৎস্যন্যায় বলতে কি বোঝ ?
উত্তরঃ মাৎস্যন্যায় বলতে দেশে অরাজকতা বা স্থায়ী রাজার অভাবকে বোঝানো হয় ।
৩৭. পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
উত্তরঃ পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল (আনুমানিক ৭৫০-৪৭খ্রিঃ) ।
৩৮. রামচরিত কাব্য কে রচনা করেন ?
উত্তরঃ রামচরিত কাব্য রচনা করেন সন্ধ্যাকর নন্দী ।
৩৯. কৈবর্ত বিদ্রোহের কয়েকজন নেতার নাম লেখো ?
উত্তরঃ দিব্য, রুদোক , এবং ভীম ছিলেন কৈবর্ত বিদ্রোহের তিনজন নেতা ।
৪০. সেন রাজাদের আদি বাসস্থান কোথায় ছিল ?
উত্তরঃ সেন রাজাদের আদি বাসস্থান ছিল দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক অঞ্চলে ।
৪১. কোন সেন রাজা প্রয়াগ, বারাণসী ও পুরীতে তাঁর ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছিল ?
উত্তরঃ বল্লাল সেনের উত্তরাধিকারী লক্ষণ সেন প্রয়াগ, বারাণসী ও পুরীতে তাঁর ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ।
৪২. কাদের আক্রমণে বাংলার সেন রাজাদের শাসনের অবসান ঘটে ?
উত্তরঃ তুর্কিদের আক্রমণের ফলে বাংলায় সেন রাজাদের শাসনের অবসান ঘটে ।
৪৩. রাজপুত কাদের বলা হয় ?
উত্তরঃ খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকে হুনদের আক্রমণে বেশ কিছু মধ্য এশীয় উপজাতির মানুষ উত্তর পশ্চিম ভারতে বসবাস করত স্থানীয়দের সঙ্গে তাঁদের বিবাহ হলে তাঁদের বংশধরদের বলা হয় রাজপুত ।
৪৪. কোন রাজা কৌনজে তাঁর রাজ্যের রাজধানী স্থাপন করেন ?
উত্তরঃ রাজা ভোজ কৌনজ দখল করে তাঁর রাজ্যের রাজধানী স্থাপন করেন ।
৪৫. ত্রি- শক্তি সংগ্রাম কাকে বলে ?
উত্তরঃ কৌনজকে কেন্দ্র করে পাল , গুর্জর-প্রতিহার, এবং রাষ্ট্রকূট বংশের মধ্যে প্রায় দুশো বছর ধরে টানা লড়াই চলেছিল একে বলে ত্রি-শক্তি সংগ্রাম ।
৪৬. চোলদের রাজধানীর নাম কি ছিল ?
উত্তরঃ চোলদের রাজধানী ছিল থাঞ্জাভুর বা তাঞ্জোর ।
৪৭. কোন রাজা গঙ্গাইকোন্ডচোল উপাধি নিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ চোল রাজা প্রথম রাজেন্দ্র গঙ্গাইকোন্ডচোল উপাধি গ্রহণ করেন ।
৪৮. আরবের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নাম লেখো ?
উত্তরঃ আরবের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হল মক্কা ও মদিনা ।
৪৯. বেদুইন কাদের বলা হত ?
উত্তরঃ আরবের যাযবর মানুষদের বেদুইন বলা হত ।
৫০. আরবের দুটি ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য লেখো ।
উত্তরঃ (i) আরব উপদ্বীপের অধিকাংশই মরুভূমি বা শুকনো ঘাসজমি অঞ্চল ।
(ii) এশিয়া মহাদেশের পশ্চিমদিকে আরব উপদ্বীপ অবস্থিত ।
৫১. ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন কে ?
উত্তরঃ ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন হজরত মহম্মদ ।
৫২. হিজরত কি ?
উত্তরঃ ৬২২ সালে হজরত মহম্মদ তাঁর অনুগামীদের নিয়ে মক্কা থকে মদিনায় চলে আসাকে আরবি ভাষায় বলা হয় হিজরত ।
৫৩. খলিফা কাদের বলা হয় ?
উত্তরঃ ইসলামীয় ধর্ম গুরুকে বলা হয় খলিফা। তিনি ছিলেন ইসলামীয় জগতের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা ।
৫৪. কাবা বলতে কি বোঝ ?
উত্তরঃ মক্কায় মসজিদ-ই- হরম মসজিদের মাঝখানে একটি পবিত্র ভবন রয়েছে । একেই বলে কাবা। কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়া হয় ।
৫৫. দ্বাদশ শতাব্দীতে কোন দুই তুর্কি নেতা ভারতীয় উপমহাদেশে বিজয় অভিযানে আসেন ?
উত্তরঃ দ্বাদশ শতাব্দীতে সুলতান মাহমুদ ও মহম্মদ ঘুরি নামের দুই তুর্কি নেতা ভারতীয় উপমহাদেশে বিজয় অভিযানে আসেন ।
৫৬. কত খ্রিস্টাব্দে কাদের মধ্যে তরাইনের যুদ্ধ হয়েছিল ?
উত্তরঃ ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ ঘুরি ও রাজপুত রাজা তৃতীয় পৃথ্বীরাজ চৌহানের মধ্যে তরাইনের যুদ্ধ হয়েছিল ।
৫৭. কত খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ ঘুরি মারা যান ?
উত্তরঃ ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ ঘুরি মারা যান ।
৫৮. কিতাব -অল হিন্দ কার লেখা ?
উত্তরঃ অল বিরুনির লেখা কিতাব অল হিন্দ ।
৫৯. বাংলায় তুর্কি শাসনের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন ?
উত্তরঃ বাংলায় তুর্কি শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মহম্মদ বখতিয়ার খলজি ।
৬০. সুলতান মাহামুদ কোন উদ্দেশ্যে ভারত আক্রমণ করেন ?
উত্তরঃ সুলতান মাহামুদ ভারত আক্রমণের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ভারতের মন্দিরগুলি থেকে ধনসম্পদ লুঠ করে খোরাসান ও মধ্য এশিয়ায় তাঁর সাম্রাজ্যের উন্নতির জন্য তা ব্যয় করা ।
ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস
শূন্যস্থান পূরণ করোঃ
১. প্রাচীন বাংলার জনপদগুলির মধ্যে __________ ছিল একটি বিভাগ ।
Ans: বঙ্গ ।
২. খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকে ঐতিহাসিক ___________ লেখাতে বঙ্গ রাজ্যের কথা বলা হয়েছে ।
Ans: মিনহাজ-ই-সিরাজ ।
৩. সুবা মানে ______।
Ans: রাজ্য বা প্রদেশ ।
৪. ঐতিহাসিক আবুল ফজলের _________________ গ্রন্থে সুবা বাংলার উল্লেখ পাওয়া যায় ।
Ans: আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে ।
৫. পশ্চিম বঙ্গ হল স্বাধীন ভারতের একটি _______________ ।
Ans: অঙ্গরাজ্য ।
৬. পূর্ব পাকিস্থান স্বাধীন হলে তার নতুন নাম হয় ________ ।
Ans: বাংলা দেশ ।
৭. ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের পর পূর্ব বাংলার নাম হল __________ ।
Ans: পূর্ব পাকিস্থান ।
৮. ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের পর পশ্চিম বাংলার নাম হল __________ ।
Ans: পশ্চিমবঙ্গ ।
৯. ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে ___________ যুদ্ধে পূর্ব পাকিস্থান স্বাধীন হয়েছিল ।
Ans: মুক্তিযুদ্ধে ।
১০. প্রাচীন বাংলার সীমানা ______ টি নদী দিয়ে তৈরি হয়েছিল।
Ans: তিনটি ।
১১. ______, ______, ______ , ছিল এক একটি জনগোষ্ঠী ।
Ans: পুন্ড্র, বঙ্গ, গৌড় ,
১২.____________ ছিল প্রাচীন বাংলার একটি বৃহত্তম অঞ্চল ।
Ans: পুন্ড্রবর্ধন ।
১৩. পুন্ড্রবর্ধন ছিল একটি _________ ।
Ans: ভুক্তি বা শাসন এলাকা ।
১৪. উত্তর ও দক্ষিণ রাঢ়ের মাঝের সীমানা ছিল _________ ।
Ans: অজয় নদ ।
১৫. দক্ষিণ রাঢ় ছিল _________ -এর নিকটবর্তী এলাকা ।
Ans: বঙ্গোপসাগরের ।
১৬. সেকালের গৌড়ের প্রধান এলাকা ছিল __________ ।
Ans: মুর্শিদাবাদ জেলা ।
১৭. প্রাচীন সমতট অঞ্চল ছিল ______________ এলাকা ।
Ans: মেঘনা নদীর পূর্ব দিকের এলাকা ।
১৮. ___________ অঞ্চল প্রাচীন যুগে হরিকেল নামে পরিচিত ছিল ।
Ans: চট্টগ্রামের উপকূল অঞ্চল ।
১৯. শশাঙ্ক ________ এর স্বাধীন শাসক ছিলেন ।
Ans: গৌড়ের ।
২০. কর্ণসুবর্ণ স্থানীয় ভাবে________ নামে পরিচিত ।
Ans: রাজা কর্ণের প্রসাদ ।
২১. কর্ণসুবর্ণ ছিল গুরুত্বপূর্ণ _________ ও _________ কেন্দ্র ।
Ans: বাণিজ্য , প্রশাসনিক ।
২২.যশোবর্মনের সভাকবি ছিলেন ____________ ।
Ans: বাকপতিরাজ ।
২৩. শশাঙ্কের আমলে __________মুদ্রা প্রচলিত ছিল ।
Ans: সোনার মুদ্রা ।
২৪. শশাঙ্কের আমলে অর্থনীতি ছিল___________ নির্ভর ।
Ans: কৃষি
২৫. বরেন্দ্র অঞ্চলের _________ নগরে রামপালের রাজধানী স্থাপিত হয় ।
Ans: রামাবতী ।
২৬.কৈবর্তরা ছিল সাধারণত _________ ।
Ans: নৌকার মাঝি বা জেলে ।
২৭. কৈবর্ত রাজা __________ ছিলেন জনপ্রিয় শাসক ।
Ans: ভীম ।
২৮. রাজা লক্ষ্মণ সেনের রাজধানী ছিল পূর্ববঙ্গের ________ ।
Ans: বিক্রমপুরে ।
২৯. সেন রাজাদের সময়কালে কালে __________ ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ।
Ans: লক্ষ্মণাবতী ।
৩০. ___________ বিদ্রোহ সেন রাজাদের রাজ্য স্থাপনে সাহায্য করেছিল ।
Ans: কৈবর্ত ।
৩১. _________ ছিলেন এক রাষ্ট্রকূট নেতা ।
Ans: দন্তিদুর্গ।
৩২. উত্তরাপথের অবস্থানগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ________ ।
Ans: কৌনজ।
৩৩. চোল রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন ___________ ।
Ans: বিজয়ালয়।
৩৪. আরবীয়ানদের অন্যতম খাদ্য ছিল _______ ও _________ ।
Ans: খেজুর ও উটের দুধ।
৩৫. ইসলামের বার্তা বাহক বলা হয় __________ কে ।
Ans: হজরত মহম্মদকে ।
৩৭. ইসলামীয় সাল গণনা করা হয় ________ নামে ।
Ans: হিজরি নামে।
৩৮. তবকাত ই নাসিরি রচনা করেন__________ ।
Ans: মিনহাজ-ই-সিরাজ।
৩৯. সুলতান মাহামুদ ছিলেন _________ শাসক ।
Ans: গজনির।
৪০. শাহনামা কাব্য রচনা করেন __________ ।
Ans: কবি ফিরদৌসি।
৪১. অলবিরুনি ভারতে আসেন _______ হিসাবে ।
Ans: পর্যটক ।
৪২. বখতিয়ার খলজির তুর্কি বাহিনী ভারতে আসেন __________ ছদ্মবেশে।
Ans: ঘোড়া ব্যবসায়ীর ।
৪৩. তুর্কি আক্রমণ ঠেকনোর সেনা মোতায়েন করেছিলেন _________ ।
Ans: রাজা লক্ষ্মণ সেন।
৪৪. বিনা যুদ্ধ ছাড়াই তুর্কিরা জয় করেছিল __________।
Ans: নদিয়া।
৪৫. বখতিয়ার খলজি মারা যান _________ খ্রিস্টাব্দে ।
Ans: ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে ।
Thanks For Reading : ভারতরে রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা class 7
■ আরো পড়ুনঃ