class 6 ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাসের ছাত্রছাত্রীদের জন্য আমাদের এক অন্যতম প্রয়াস –ভারতীয় উপমহাদেশের আদিম মানুষ দ্বিতীয় অধ্যায়ের অনুশীলনী ও পাঠ্য থেকে কিছু নির্বাচিত অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর, ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার পস্তুতির জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ class 6 history chapter 2 .

class 6 ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
class 6 ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

ভারতীয় উপমহাদেশের আদিম মানুষ অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর

 

১। সঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:

(১.১) আদিম মানুষ প্রথমে (রান্না করা খাবার/পোড়া মাংস/কাঁচামাংস ও ফলমূল) খেত।

Ans: কাঁচামাংস ও ফলমূল।

(১.২) আদিম মানুষের প্রথম হাতিয়ার ছিল- (ভোঁতা পাথর/ হালকা ছুঁচালো পাথর/ পাথরের কুঠার)।

Ans: ভোঁতা পাথর। 

(১.৩) আদিম মানুষের জীবনে প্রথম জরুরি আবিষ্কার (ধাতু/ চাকা/ আগুন)।

Ans: আগুন।

 

২। ক-স্তম্ভের সঙ্গে খ-স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো:

ক-স্তম্ভ খ-স্তম্ভ
কৃষিকাজ মধ্যপ্রদেশ
পশুপালন নতুন পাথরের যুগ
ভীমবেটকা মাঝের পাথরের যুগে
হুন্সগি কর্ণাটক

 

Ans:

ক-স্তম্ভ খ-স্তম্ভ
কৃষিকাজ নতুন পাথরের যুগ
পশুপালন মাঝের পাথরের যুগে
ভীমবেটকা মধ্যপ্রদেশ
হুন্সগি কর্ণাটক

 

৩। নিজের ভাষায় ভেবে লেখো (তিন/চার লাইন):

(৩.১) আদিম মানুষ যাযাবর ছিল কেন ?

Ans: আদিম মানুষের খাদ্যের প্রধান উৎস ছিল শিকার ও বনের ফলমূল। সুতরাং নিজেদের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে শিকার ও ফলমূল জোগাড়ের জন্য তাঁরা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে ঘুরে জীবন অতিবাহিত করত। খাদ্যের খোঁজে এইভাবে ঘুরে বেড়ানোকে বলা হয় যাযাবর জীবন। সব জায়গায় ঠিক মতো খাবার পাওয়া যেত না খাবারের ঘাটতি পূরণের জন্য আদিম মানুষ যাযাবরের মতো জীবনযাপন করত।

(৩.২) আগুনে জ্বালাতে শেখার পর আদিম মানুষের কী কী সুবিধা হয়েছিল ?

Ans: আগুনের ব্যবহার করার ফলে মানুষের জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটেছিল। জীবজন্তুর আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে তাঁরা আগুনের ব্যবহার করত । আদিম মানুষের খাদ্য অভ্যাসে বিরাট বদল ঘটেছিল। কাঁচা মাংস খাওয়ার বদলে তাঁরা আগুনে ঝলসে পোড়া মাংস খেতে আরম্ভ করল। পোড়া নরম মাংস খাওয়ার ফলে তাঁদের দাঁতের জড় কমে গেলে চোয়াল সরু হয়ে চেহারায় নানান বদল এসেছিল। আদিম মানুষের শরীরের জড় বাড়ল এবং বুদ্ধির বিকাশ হয়েছিল।

(৩.৩) আদিম মানুষ কেন জোট বেঁধেছিল ? এর ফলে তার কী লাভ হয়েছিল ?

Ans: আদিম মানুষ দলবদ্ধ ভাবে যাযাবর জীবনযাপন করত । তাঁরা প্রধানত বনে জঙ্গলে খোলা আকাশের নীচে বা প্রাকৃতিক গুহায় বসবাস করত বারংবার তাঁদের হিংস্র প্রাণীদের সম্মখীন হতে হত , তাই নিজেদের নিরাপত্তা ও খাদ্যের সংস্থানের জন্য তাঁরা জোট বেঁধেছিল।

এর ফলে মানুষ হিংস্র পশুদের মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছিল। তাঁরা দলবদ্ধভাবে শিকার করে খাদ্যের চাহিদা মেটাত । ফলমূল জোগাড় করে ভাগাভাগি করে খেত।এর মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে সমাজ গড়ে উঠেছিল।

 ১ নম্বরের অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর :

 

১. লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর স্থল্ভাগ কেমন ছিল ?

উত্তরঃ লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর স্থলভাগ ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা ।

২. এপ কাদের বলা হয় ?

উত্তরঃ লেজবিহীন এক ধরনের বড়ো বানরকে বলা হয় বানর।

 ৩. হোমোনিড কাদের বলা হয় ?

উত্তরঃ প্রাচীন যুগীয়ও এক ধরনের বড়ো বানর যারা খাবারের খোঁজে মাটিতে নেমে এল এবং আস্তে আস্তে দুপায়ে দাঁড়াতে শিখল। এদেরকেই বলা হয় হোমোনিড, যার অর্থ মানুষের পরিবার।

৪. আদিম কথার অর্থ কি ?

উত্তরঃ আদিম কথার অর্থ হল খুব পুরোনো বা গোড়ার দিকে ।

৫. কোথায় সবচেয়ে পুরনো আদিম মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে ?

 উত্তরঃ পূর্ব আফ্রিকাতে সবচেয়ে পুরনো আদিম মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে।

৬. হোমো হাবিলিস কথার অর্থ কি ?

 উত্তরঃ হোমো হাবিলিস কথার অর্থ দক্ষ মানুষ ।

৭. কারা প্রথম পাথরকে অস্ত্র হিসাবে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে শেখে ?

 উত্তরঃ আদিম মানুষ হোমো হাবিলিস পাথরকে প্রথম অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে শেখে ।

৮. হোমো স্যাপিয়েন্স কথার অর্থ কি ?

উত্তরঃ হোমো স্যাপিয়েন্স কথার অর্থ হল বুদ্ধিমান মানুষ ।

৯. প্রথম আগুনের ব্যবহার শিখেছিল কারা ?

উত্তরঃ প্রথম আগুনের ব্যবহার শিখেছিল হোমো ইরেকটাসরা ।

১০. হোমো স্যাপিয়েন্সরা কোন ধরনের অস্ত্র বানিয়েছিল ?

উত্তরঃ হোমো স্যাপিয়েন্সরা সর্বপ্রথম ছোট, তীক্ষ্ণ, ধারালো পাথরের অস্ত্র বানাতে শিখেছিল ।

১১. পুরনো পাথরের যুগে মানুষ কোথায় থাকত ?

উত্তরঃ পুরনো পাথরের যুগে মানুষ খোলা আকাশের নীচে , কখনও আবার গুহায় থাকত ।

১২. কোন আদিম মানুষ প্রথম পশুর চামড়া পরতে শিখেছিল ?

উত্তরঃ হোমো স্যাপিয়েন্সরা প্রথম পশুর চামড়া পড়তে শিখেছিল ।

 ১৩. নতুন পাথরের যুগে মানুষ কোথায় বসবাস করত ?

উত্তরঃ নতুন পাথরের যুগে মানুষ স্থায়ী বসতিতে বসবাস করত ।

 ১৪. কোন যুগে মানুষ কৃষিকাজ ও পশুপালন শুরু করে ?

উত্তরঃ নতুন পাথরের যুগে মানুষ কৃষিকাজ ও পশুপালন শুরু করে ।

১৫. মাঝের পাথরের যুগে মানুষের প্রধান জীবিকা কি ছিল ?

উত্তরঃ মাঝের পাথরের যুগে মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল শিকার করা ও পশুপালন করা ।

১৬. কোন প্রাণী আগুন জ্বালাতে পারে ?

উত্তরঃ কেবল মাত্র মানুষই আগুন জ্বালাতে পারে ।

১৭. কোন কোন জায়গায় পুরোনো মানুষের কঙ্কালের খোঁজ পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ আফ্রিকা, চিন, জাভায় খুব পুরোনো মানুষের কঙ্কালের খোঁজ পাওয়া যায় ।

১৮. লুসির কঙ্কালটি কোথায় পাওয়া গিয়েছিল ?

উত্তরঃ লুসির কঙ্কালটি পাওয়া গিয়েছিল আফ্রিকা মহাদেশের ইথিওপিয়ার হাদার নামের একটি জায়গায় ।

১৯. কোন জায়গায় সবথেকে পুরনো পাথরের অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে ?

উত্তরঃ কাশ্মীরের সোয়ান উপত্যকায় সবথেকে পুরনো পাথরের অস্ত্র পাওয়া গেছে ।

২০. শিবালিক পার্বত্য অঞ্চলে কি জাতীয় অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গিয়েছে ?

উত্তরঃ শিবালিক পার্বত্য অঞ্চলে পাথরের কুঠার ও চপার জাতীয় অস্ত্র শস্ত্র পাওয়া গিয়েছে ।

২১. মধ্য প্রদেশের নর্মদা উপত্যকায় প্রাচীন নিদর্শন হিসাবে কি পাওয়া গিয়েছে ?

উত্তরঃ মধ্য প্রদেশের নর্মদায় প্রাচীন নিদর্শন হিসাবে ত্রিরিশ বছরেরও বেশী আগের মানুষের মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছে ।

২২. খাবার জোগাড় করতে আদিম মানুষ কি ব্যবহার করত ?

উত্তরঃ খাবার জোগাড় করতে আদিম মানুষ পাথরের হাত কুঠার ব্যবহার করত ।

২৩. পুরানো পাথরের যুগে আদিম মানুষ কোথায়  বাস করত ?

উত্তরঃ পুরানো পাথরের যুগে আদিম মানুষ প্রাকৃতিক গুহায় বাস করত, গুহা না পেলে খোলা জায়গায় তাঁদের দিন কাটাতে হত ।

২৪. ভারতীয় উপমহাদেশে  কোন কোন গুহায় বসতির নিদর্শন পাওয়া গেছে ?

 উত্তরঃ উত্তর পশ্চিম পাকিস্থানের সাংঘাও, কর্ণাটকের কুর্নুল, মধ্যপ্রদেশের ভীমবেটকা গুহায় পুরনো বসতির নজির রয়েছে ।

২৫. কোন অঞ্চল থেকে পুরোনো পাথরের যুগের হাতিয়ার পাওয়া গেছে ?

উত্তরঃ কর্ণাটকের  হুন্সিগি উপত্যকায় পুরোনো পাথরের যুগের হাতিয়ার পাওয়া  গেছে ।

২৬. পুরোনো  পাথরের যুগের মাঝের পর্বের প্রধান হাতিয়ার কি ছিল ?

উত্তরঃ পুরনো পাথরের যুগের মাঝের পর্বের প্রধান হাতিয়ার ছিল ছুরি ।

২৭. ট্যরো ট্যরো কথার অর্থ কি ?

উত্তরঃ ট্যরো ট্যরো কথার অর্থ হল ষাঁড়- ষাঁড় ।

২৮.  কোন গুহার ছাদে বিশাল এক ষাঁড়ের ছবি আঁকা ছিল ?

উত্তরঃ স্পেনের আলতামিরায় একটি গুহার ছাদে একটি বিশাল ষাঁড় বা ট্যরোর ছবি আঁকা ছিল।

২৯. কোন স্থানে ধারোল ছুরি, হাড়ের তৈরি তীরের ফলা পাওয়া গেছে ?

উত্তরঃ উত্তর প্রদেশের সরাই নহর রাইতে ধারালো ছুরি হাড়ের তৈরি তীরের ফলা  পাওয়া গেছে ।

৩০. শস্য দানা  গুড়ো করতে আদিম মানুষ কি ব্যবহার করত ?

উত্তরঃ শস্য দানা গুড়ো করতে আদিম  মানুষ জাঁতার ব্যবহার করত ।

৩১. সরাই নহর রাইয়ের প্রত্ন ক্ষেত্রে কি, কি  পাওয়া গেছে ?

উত্তরঃ সরাই নহর রাইয়ের প্রত্ন ক্ষেত্রে সমাধি ও কঙ্কাল পাওয়া  গেছে ।

৩২. নর্মদা উপত্যকার আদমগড়ে কীসের নিদর্শন পাওয়া গেছে ?

উত্তরঃ নর্মদা উপত্যকার আদমগড়ে আট হাজার পুরোনো বন্য পশুর হাড় পাওয়া গেছে ।

 ৩৩. পূর্বে মানুষ কীভাবে মাটির পাত্র তৈরি করত ?

উত্তরঃ পূর্বে মানুষ ঝুড়ির মতো কিছুতে মাটি লেপে মাটির পাত্র তৈরি করত ।

 ৩৪. পশু পালন শেখার পর মানুষের কি সুবিধা হয়েছিল ?

উত্তরঃ পশু পালন শেখার পর মানুষের খাবারের প্রয়োজন মিটেছিল , খাবার হিসাবে তাঁরা মাংস, ও দুধ  পেত ।

৩৫. রাজস্থানের কোন স্থানে প্রাচীন বসতির নিদর্শন মেলে ?

উত্তরঃ রাজস্থানের বাগোড়ে প্রাচীন বসতির নিদর্শন মেলে ।

৩৬. বাগোড়ের বাসিন্দারা কীভাবে খাবার জোগাড় করত ?

উত্তরঃ  বাগোড়ের বাসিন্দারা শিকার করে খাবার জোগাড় করত। পরে তাঁরা পশুপালনও করে। তাঁদের গৃহপালিত পশুর গুরুত্ব ছিল অনেক ।

৩৭. কোন যুগে মানুষ খাদ্য উৎপাদন করতে শুরু করে ?

উত্তরঃ নতুন পাথরের যুগে মানুষ খাদ্য উৎপাদন করতে শুরু করে ।

৩৮. আদিম মানুষের জীবন কেমন ছিল ?

উত্তরঃ আদিম মানুষ যাযাবরের মতো জীবন কাটাত ।

৩৯. কোন যুগে মানুষ স্থায়ী বসতি গঠন করেছিল ?

উত্তরঃ নতুন পাথরের যুগে মানুষ স্থায়ী বসতি স্থাপন করেছিল ।

৪০.  আদিম মানুষের সংস্কৃতি কি ছিল ?

উত্তরঃ পাথরের হাতিয়ার তৈরি আদিম মানুষের সংস্কৃতি ছিল।

 

২ নম্বরের অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর

 ১. মানুষের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ ।

উত্তরঃ মানুষের দুটি বৈশিষ্ট্য হল –

(i) মানুষ দু পায়ে হাঁটে , অন্যান্য কাজে হাতের ব্যবহার করে।

(ii) লম্বা একটি মেরুদন্ড রয়েছে ।

(iii)  মাথার খুলির মধ্যে রয়েছে বড়ো মস্তিস্ক।

২. আদিম মানুষ কাদের বলে ?

 উত্তরঃ  খুব পুরোনো সময়ের মানুষ যারা কোনোভাবে দাঁড়াতে সক্ষম ছিল , যারা লক্ষ্য ছিল খাবার জোগাড় করা, খাবারের জন্য তাঁরা জঙ্গলের ফলমূল, ও বিভিন্ন প্রাণীর উপর নির্ভরশীল ছিল।

৩. মস্তিষ্কের আকার অনুসারে আদিম মানুষ কয় প্রকার ও কি কি ?

 উত্তরঃ মস্তিষ্কের আকার অনুসারে আদিম মানুষ চার প্রকার –(i) অস্ট্রালোপিথেকাস  (ii) হোমো হাবিলিস  (iii) হোমো ইরেকটাস  (iv)হোমো স্যাপিয়েন্স ।

৪. অস্ট্রালপিথেকাসের তিনটি বৈশিষ্ট লেখ।

উত্তরঃ অস্ট্রালপিথেকাসের তিনটি বৈশিষ্ট্য –

(i) এরা দুপায়ে ভর দিয়ে কোনোক্রমে দাঁড়াতে পারে ।

(ii) শক্ত বাদাম, শুকনো ফল চিবিয়ে খেত , এদের চোয়াল ছিল সুগঠিত ও শক্ত ।

(iii) এরা গাছের ডাল দিয়ে ধাক্কা মারত ও পাথর ছুঁড়তে চেষ্টা করত ।

৫. হোমো হাবিলিসের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তরঃ হোমো হাবিলিসের তিনটি বৈশিষ্ট্য হল –

(i) ২৬ থেকে ১৭ লক্ষ বছর আগে এরা দলবদ্ধভাবে থাকত , এরা হাঁটতে পারত ।

(ii) ফলমূলের পাশাপাশি এরা কাঁচা মাংস খেত ।

(iii) এরাই প্রথম পাথরকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে শিখেছিল ।

৬. হোমো ইরেকটাস -এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তরঃ হোমো ইরেকটাসের -এর বৈশিষ্ট্য গুলি হল –

(i)  আনুমানিক ২০ থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার বছর আগে এরা দুপায়ে ভর করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারত ।

(ii) এরা গুহায় থাকত , শিকার করতে পারত ।

(iii) এরাই প্রথম আগুনের ব্যবহার শিখেছিল ।

(iv) এরাই স্তরকাটা নুড়ি পাথরের হাতিয়ার বানিয়েছিল । এরা হাত কুঠার বানিয়েছিল ।

৭. হোমো স্যাপিয়েন্স-এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখ ।

উত্তরঃ হোমো স্যাপিয়েন্সের বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

(i) আনুমানিক ২ লক্ষ ৩০ হাজার বছর আগে এরা দল বেঁধে পশু শিকার করত।

(ii) নানান কাজে এরা আগুনের ব্যবহার করত ,পশুর মাংস পুড়িয়ে খেত।

(iii) এরা পশুর চামড়া পরত ।

(iv) এরা তীক্ষ্ণ ধারালো পাথরের অস্ত্র তৈরি করতে শিখেছিল। বর্শা জাতীয় পাথরের অস্ত্র তৈরি করেছিল এরা।

৮.পাথরের যুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় কি কি ?

উত্তরঃ পাথরের যুগকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় –

(i) পুরনো পাথরের যুগ ।

(ii) মাঝের পাথরের যুগ ।

(iii) নতুন পাথরের যুগ ।

৯. দাবানল কি ?

উত্তরঃ বনের মধ্যে গাছে গাছে ঘষা লেগে হঠাৎ আগুন জ্বলে উঠত। দীর্ঘক্ষণ বা দীর্ঘদিন এই আগুনের প্রবাহ চলতে থাকত। একেই বলে দাবানল। দাবানলের মাধ্যমে আগুনের সঙ্গে আদিম মানুষের পরিচয় ।

১০. আদিম মানুষ কীভাবে আগুন জ্বালাতে শিখেছিল ?

উত্তরঃ পাথরের হাতিয়ার তৈরি করতে গিয়ে চকমকি পাথরের ঠোকাঠুকিতে অথবা কাঠে , কাঠে ঘষে আগুন জ্বালিয়ে ছিল আদিম মানুষ।

১১. মাঝের পাথরের যুগের বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তরঃ মাঝের পাথরের যুগের বৈশিষ্ট্য গুলি হল –

(i) এই যুগে মানুষ হালকা ছোট পাথরের হাতিয়ার বানাতে শিখেছিল ।

(ii) শিকার করতে শিখেছিল ।

(iii) ফলমূল জোগাড় করতে শিখেছিল ।

(iii) পশুপালন করতে শিখেছিল।

(iv) বসবাসের জন্য ছোট ছোট বসতি বানাতে শিখেছিল ।

 ১২. নতুন পাথরের যুগের বৈশিষ্ট্য লেখ ।

উত্তরঃ নতুন পাথরের যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

(i) এই যুগের হাতিয়ার অনেক ধারালো ও হালকা ।

(ii) এই যুগে মানুষ পশুপালন ও কৃষিকাজ শুরু করে ।

(iii) এই যুগে মানুষ স্থায়ী বসতি গড়ে তোলে বসবাসের জন্য ।

১৩. মানুষ কি কি ভাবে আগুনের ব্যবহার করত ? 

উত্তরঃ আদিম মানুষ নানান কাজে আগুনের ব্যবহার করত ।

(i) জীব জন্তুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে মানুষ আগুনের ব্যবহার করত ।

(ii) প্রচণ্ড শীতের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ আগুনের ব্যবহার করত ।

(iii) কাঁচা মাংসের বদলে তাঁরা আগুনে মাংস ঝলসে খেতে শিখেছিল ।

১৪. আগুনের ব্যবহার শেখার পর মানুষের জীবনে কি কি পরিবর্তন ঘটেছিল ?

উত্তরঃ  আগুনের ব্যবহার করার ফলে মানুষের জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটেছিল। জীবজন্তুর আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে তাঁরা আগুনের ব্যবহার করত । এছাড়াও আদিম মানুষের খাদ্য অভ্যাসে বিরাট বদল ঘটেছিল। কাঁচা মাংস খাওয়ার বদলে তাঁরা আগুনে ঝলসে পোড়া মাংস খেতে আরম্ভ করল। পোড়া নরম মাংস খাওয়ার ফলে তাঁদের দাঁতের জড় কমে গেলে চোয়াল সরু হয়ে চেহারায় নানান বদল এসেছিল। আদিম মানুষের শরীরের জড় বাড়ল এবং  বুদ্ধির বিকাশ হয়েছিল ।

১৫.  লুসি কি ?

উত্তরঃ ১৯৭৪ সালে অস্ট্রালপিথেকাস কঙ্কালের কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছিল যেটি প্রায় ৩২ লক্ষ বছর পূর্বের একটি ছোট মেয়ের কঙ্কাল। এই  কঙ্কালটির নাম দেওয়া হয়েছিল লুসি ।

১৬. লুসির তিনটি  বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তরঃ লুসির বৈশিষ্ট্য গুলি হল –

(i) আফ্রিকা মহাদেশের  হাদার নামে একটি জায়গায় লুসির কঙ্কালটি পাওয়া গিয়েছিল।

(ii) কঙ্কালটি ছিল একটি ছোট মেয়ের তাই তাঁর নাম দেওয়া হয় লুসি।

(iii) লুসি ছিল আদিম যুগীয়ও অস্ট্রালোপিথেকাসের কঙ্কাল।

(iv) লুসির মস্তিস্ক ছিল অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় অনেক বড়ো ।

(v) লুসির কঙ্কালটি ছিল প্রায় ৩২ লক্ষ্ বছর পুরনো।

১৭. পুরনো পাথরের যুগে আদিম মানুষ কীভাবে জীবনযাপন করত ?

উত্তরঃ পুরনো পাথরের যুগে আদিম মানুষ প্রাকৃতিক গুহায়  বসবাস করত। খাবারের জন্য তাঁরা দল বেঁধে পশু শিকার করত, ফলমূল জোগাড় করত,  প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার জন্য তাঁরা পশুর চামড়া গাছের ছাল পরত । পুরনো পাথরের যুগে আদিম মানুষের জীবন ছিল বেশ কষ্টকর ।

১৮. ছোট পাথরের হাতিয়ার কাকে বলে ?

উত্তরঃ মাঝের পাথরের যুগের হাতিয়ারগুলি ছিল অনেক উন্নত , ধারালো ও ছোট তাই সেগুলিকে ছোট পাথরের হাতিয়ার বলা হয়। যেমন-ছুরি ।

১৯. ট্যরো ট্যরো কি ?

উত্তরঃ এক প্রত্ন তাত্ত্বিক তাঁর ছোট মেয়েকে নিয়ে আলতামিরা গুহায় গিয়েছিলেন, সেখানে তাঁর মেয়ে গুহার ছাদে এক বিশাল ষাঁড়ের ছবি দেখে ট্যরো ট্যরো বলে চিৎকার করে উঠেছিল । ট্যরো কথার অর্থ হল ষাঁড়।এই  ট্যরো বা ষাঁড়ের ছবিটি আঁকা হয়েছিল ৫০ থেকে ৩০ হাজার বছর আগের গুহাবাসী মানুষ ।

২০. কীভাবে মানুষ স্থায়ী বসতি  স্থাপন করেছিল ?

উত্তরঃ পূর্বে  শিকার ও পশুপালনের জন্য মানুষকে নানান জায়গায় ঘুরে ঘুরে যাযাবরের মতো জীবনযাপন করত কিন্তু কৃষিকাজ শেখার পর মানুষ বুঝেছিল কৃষি খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করে , শিকারের মতো কৃষি অনিশ্চিত নয়। অন্যদিকে  কৃষির ফলে গবাদি পশুপালনও সহজ হয়ে উঠেছিল। এর ফলে মানুষের খাদ্যের অনিশ্চয়তা দূর হল। কৃষিকে হাতিয়ার করে যাযাবর মানুষ স্থায়ী বসতি স্থাপন করেছিল ।

 ২১. সংস্কৃতি কি ?

উত্তরঃ যার মাধ্যমে মানুষ যে কোন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। যার দ্বারা মানুষ পরিবেশকে নিজের মতো করে ব্যবহার করতে পারে সেই সবই হল সংস্কৃতি । যেমন- আদিম মানুষের পাথরের হাতিয়ার বানানো । ঠাণ্ডা  থেকে বাঁচতে পশুর চামড়া দিয়ে গা ঢাকা দেওয়া প্রভৃতি ছিল আদিম মানুষের সংস্কৃতি ।

 

Thanks For Reading : ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর


■  আরো পড়ুনঃ   

 

Leave a comment