আঞ্চলিক শক্তির উত্থান অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস

অষ্টম শ্রেণীর সকল ছাত্রছাত্রীদের জন্য আমাদের বিশেষ প্রয়াস , অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস সকল অনুশীলনী প্রশ্নের উত্তর, আমাদের এই পেজে তোমরা পেয়ে যাবে । অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর  আজকের এই পর্বে আমরা উপস্থাপন করলাম । wbbse class 8 history chapter 2 question answer এই অধ্যায়ে আঞ্চলিক শক্তির উত্থান থেকে  স্তম্ভ মেলাও , শূন্যস্থান পূরণ , ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন রয়েছে , এই প্রশ্নগুলি অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় তোমাদের সামনে তুলে ধরা হল অষ্টাদশ শতকে ভারতে আঞ্চলিক শক্তির উত্থান। 

আঞ্চলিক শক্তির উত্থান অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস
আঞ্চলিক শক্তির উত্থান অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস

 

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় আঞ্চলিক শক্তির উত্থান

 

১। ক স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

Ans: 

ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
অযোধ্যা সাদাৎ খান
১৭৬৪ খ্রিষ্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধ
স্বত্ব বিলোপ নীতি লর্ড ডালহৌসি
লাহোর চুক্তি প্রথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ
টিপু সুলতান মহীশুর

 

২। ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো 

ক) ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে মুর্শিদকুলি খান ছিলেন বাংলার-

( দেওয়ান / ফৌজদার / নবাব) ।

Ans: দেওয়ান

খ) আহমদ শাহ আবদালি ছিলেন (মারাঠা /পারসিক/ আফগান) ।

Ans: আফগান ।

গ) আলিনগরের সন্ধি হয়েছিল-( মির জাফর ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে / সিরাজ ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে / মির কাশিম ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে ) ।

Ans: সিরাজ ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে ।

ঘ) ব্রিটিশ কোম্পানিকে বাংলা-বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানির অধিকার দিয়েছিলেন- (সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম / সম্রাট ফাররুখশিয়র / সম্রাট ঔরঙ্গজেব)।

Ans: সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম । 

ঙ) স্বেচ্ছায় অধীনতামূলক মিত্রতার নীতি মেনে নিয়েছিলেন- (টিপু সুলতান / সাদাৎ খান / নিজাম)।

Ans: নিজাম । 

 

৩। অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০-৪০টি শব্দ):

ক) ফাররুখশিয়রের ফরমানের গুরুত্ব কি ছিল ?

Ans: ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির মুঘল সম্রাট ফারুকশিয়র একটি ফরমান জারি করেন , ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়ার কোম্পানির বাংলায় বাণিজ্যিক অধিকারের ক্ষেত্রে এই ফরমানের প্রত্যকটি শর্ত ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ , সেগুলি হল –

i) ব্রিটিশ কোম্পানিকে বাংলায় বাণিজ্যিক অধিকার দেওয়া হয়েছিল ।

ii) বছরে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে কোম্পানি বাণিজ্য করবে ।

iii) কোম্পানিকে কোন শুল্ক দিতে হবে না ।

iv) কোম্পানি ৩৮ টি গ্রামের জমিদারি কিনতে পারবে ।

v) কোম্পানির পণ্য চুরি গেলে নবাব ক্ষতিপূরণ দেবেন ।

vi) মুর্শিদাবাদের টাঁকশাল প্রয়োজন মতো কোম্পানি ব্যবহার করতে পারবে ।

(খ) কে, কীভাবে ও কবে হায়দরাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ?

Ans: ১৭২৪ খ্রিস্টাব্দে মির কামার উদ্দিন সিদ্দিকি , ফারুকশিয়রের থকে নিজাম উল মুলক এবং সম্রাট মহম্মদ শাহের কাছ থেকে আসফ ঝাঁ উপাধি নিয়ে হায়দ্রাবাদ রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করে। পূর্বে মুবারিজ খান এখানকার শাসক ছিলেন তাঁকে হারিয়ে আসফ ঝাঁ দাক্ষিণাত্যের সুবাদার হয়ে হায়দ্রাবাদে নিজের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন । ক্রমে স্থায়ীভাবে নিজামের প্রশাসন চলতে থাকে । ১৭৪০খ্রিস্টাব্দে নিজামের শাসনে স্বাধীন হায়দ্রাবাদের আত্মপ্রকাশ ঘটে ।

(গ) ‘পলাশির লুণ্ঠন’ কাকে বলে ?

Ans:  পলাশির যুদ্ধের পর সিরাজের কলকাতা আক্রমণের অজুহাতে কোম্পানি ১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ নেয় । লর্ড ক্লাইভসহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মচারীরা সব মিলিয়ে  প্রায় ৩ কোটি  টাকার সম্পদ মীরজাফরের কাছ থেকে ব্রিটিশ কোম্পানি আত্মসাৎ করে। এর ফলে নবাবের কোষাগার শূন্য হয়ে গিয়েছিল একে পলাশির লুণ্ঠন বলে ।

(ঘ) দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো ?

Ans: দেওয়ানির অধিকার লাভের ফলে ভারতবর্ষের আর্থিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কোম্পানির ক্ষমতা বিস্তৃত হয় । বাংলায় এক নতুন ধরনের রাজনৈতিক শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় । বাস্তবে বাংলায় দুজন শাসক প্রতিষ্ঠিত হয় , নবাবের হাতে ছিল অর্থনৈতিক ক্ষমতাহীন রাজনৈতিক দায়িত্ব, ব্রিটিশ কোম্পানি পেয়েছিল দায়িত্বহীন অর্থনৈতিক ক্ষমতা , একদিকে নবাবের শাসন , অন্যদিকে  ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়ার কোম্পানির শাসন , বাংলার এই শাসন ব্যবস্থাকে বলা হয় দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা।

(ঙ) ব্রিটিশ রেসিডেন্টদের কাজ কী ছিল ?

Ans: ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ কোম্পানি পরোক্ষ শাসন চালাত।নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষার জন্য বিভিন্ন রাজদরবারে নিজের প্রতিধিনি রাখত কোম্পানি । সেই প্রতিনিধিরা রেসিডেন্ট নামে পরিচিত ছিল।এদের কাজ ছিল, কোম্পানির ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করা, ও ভারতীয় রাজশক্তি গুলির উপর নজরদারি চালানো। কোম্পানির নজর এড়িয়ে কিছু কিছু রাজশক্তি স্বাধীনভাবে কাজ করত তাঁদের দমন করার জন্য কোম্পানি রেসিডেন্ট নিয়োগ করেন ।

 

পাঠ্য থেকে অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর 

প্রতিটি প্রশ্নের মান ১

 

. কত খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেব মারা যান ?

উত্তরঃ ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেব মারা যান।

 . কবে কাদের মধ্যে পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিল ?

উত্তরঃ ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে নবাব সিরাজ উদ্দৌল্লা ও রবার্ট ক্লাইভের মধ্যে পলাশির যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল ।

 ৩. কোন যুদ্ধের মাধ্যমে ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উত্থান ঘটে ?

উত্তরঃ ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশির যুদ্ধের মাধ্যমে ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উত্থান ঘটে ।

 ৪. মুঘলদের সাম্রাজ্যিক অবনতির কারণ কি ছিল ?

উত্তরঃ ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মুঘলদের সামরিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দুর্বলতার ফলে মুঘলদের সাম্রাজ্যিক অবনতি ঘটে ।

৫. মুঘল রাষ্ট্রের অধীনে কোন কোন আঞ্চলিক শক্তির উত্থান ঘটে ?

উত্তরঃ মুঘল রাষ্ট্রের অধীনে বাংলা, হায়দ্রাবাদ ও অযোধ্যা এই তিনটি আঞ্চলিক শক্তির উত্থান ঘটে ।

৬. আঞ্চলিক শক্তিগুলি কাদের অধীনস্ত ছিল ?

উত্তরঃ আঞ্চলিক শক্তিগুলি মুঘল প্রাদেশিক প্রশাসকের অধীনস্ত ছিল ।

৭. বাংলার দেওয়ান কে ছিলেন ?

উত্তরঃ বাংলার দেওয়ান ছিলেন মুর্শিদকুলি খাঁ ।

৮. কত খ্রিস্টাব্দে কাকে বাংলার নিজাম পদ দেওয়া হয় ?

উত্তরঃ ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে  বাংলার নিজাম পদ দেওয়া হয় মুর্শিদকুলিকে ।

৯. সম্রাট বাহাদুরের আমলে বাংলার দেওয়ান কে ছিলেন ?

উত্তরঃ সম্রাট বাহাদুরের আমলে বাংলার দেওয়ান ছিলেন মুর্শিদকুলি খাঁ ।

 ১০. কার নেতৃত্বে বাংলার উত্থান ঘটে ?

উত্তরঃ মুর্শিদকুলি খানের নেতৃত্বে বাংলার উত্থান ঘটে ।

১১. মুর্শিদকুলির আমলে বাংলার বাণিজ্যিক পরিস্থিতি কেমন ছিল ?

উত্তরঃ মুর্শিদকুলির আমলে বাংলা ব্যবসার পক্ষে অনুকূল ছিল, স্থল ও সমুদ্র পথে নানান দ্রব্য রপ্তানি করা হত ।

 ১২. সুবা বাংলার অন্যতম দুজন ব্যবসায়ীর নাম লেখ ?

উত্তরঃ সুবা বাংলার অন্যতম দুজন ব্যবসায়ী ছিলেন ঊর্মি চাঁদ ও খোজা ওয়াজিদ ।

১৩. বাংলার দেওয়ান ও নাজিমের যৌথ দায়িত্ব কার উপর অর্পণ করা হয় ?

উত্তরঃ বাংলার দেওয়ান ও নাজিমের যৌথ দায়িত্ব মুর্শিদকুলির উপর অর্পণ করা হয় ।

১৪. জগৎ শেঠ কে ছিলেন ?

উত্তরঃ জগৎ শেঠ ছিলেন মুর্শিদাবাদের একজন বিখ্যাত মূলধন বিনিয়োগকারী।

১৫. সুবা বাংলার শাসকদের কারা নিয়ন্ত্রণ করতেন ?

উত্তরঃ সুবা বাংলার শাসকদের নিয়ন্ত্রণ করতেন কিছু ধনী ব্যবসায়ী , ও মহাজন এদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী ছিল ।

১৬. বাংলার কোষাগার ও টাঁকশাল কার পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে ছিল ?

উত্তরঃ বাংলার কোষাগার ও টাঁকশাল জগৎ শেঠের পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে ছিল ।

১৭. কাটরা মসজিদ কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ?

উত্তরঃ কাটরা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দেওয়ান মুর্শিদকুলি খান ।

 ১৮. ঊর্মি চাঁদ কে ছিলেন ?

উত্তরঃ ঊর্মি চাঁদ ছিলেন একজন হিন্দু ব্যবসায়ী ।

 ১৯. খোজা ওয়াজিদ কে ছিলেন ?

উত্তরঃ খোজা ওয়াজিদ ছিলেন একজন আর্মেনীয় ব্যবসায়ী ।

 ২০. কাটরা মসজিদ কোথায় প্রতিষ্ঠিত ?

উত্তরঃ কাটরা মসজিদ মুর্শিদাবাদে প্রতিষ্ঠিত ।

২১.বণিক রাজা কাদের বলা হত ?

উত্তরঃ মুর্শিদাবাদের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে বণিকদের বেশ প্রভাব ছিল । এদের বণিকরাজা বলা হত ।

 ২২. কয়েকজন প্রবীণ বণিকরাজের নাম লেখ ?

উত্তরঃ কয়েকজন প্রবীণ বণিকরাজ ছিলেন ঊর্মি চাঁদ , খোদা ওয়াজিদ , জগৎ শেঠ ।

২৩. কে সিরাজ বিরোধী উদ্যোগে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন ?

উত্তরঃ বণিক রাজ জগৎ শেঠ সিরাজ বিরোধী উদ্যোগে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন ।

 ২৪. কত খ্রিস্টাব্দে হিরাপদ শাহ পাটনায় চলে যায় ?

উত্তরঃ ১৬৫২ খ্রিস্টাব্দে হিরাপদ শাহ পাটনায় চলে যায় ।

২৫. মানিক চাঁদ কে ছিলেন ?

উত্তরঃ মানিক চাঁদ ছিলেন হিরাপদ শাহের বড় ছেলে ।

 ২৬. মানিক চাঁদ ঢাকায় কিসের ব্যবসা শুরু করেন?

উত্তরঃ মানিক চাঁদ ঢাকায় মহাজনি কারবার শুরু করেন ।

২৭. জগৎ শেঠ বলতে কি বোঝ ?

উত্তরঃ জগৎ কোন একজনের নাম নয় , এটি একটি নির্দিষ্ট বণিক পরিবারের উপাধি।

২৮. মুঘল সম্রাট কাকে জগৎ শেঠ উপাধি দেন ?

উত্তরঃ মানিক চাঁদের ভাগ্নে ফতেহ চাঁদ মুঘল সম্রাটের কাছ থেকে জগৎ শেঠ উপাধি পায় ।

২৯. কাদের হাত ধরে বাংলায় ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল ?

উত্তরঃ জগৎ শেঠদের হাত ধরে বাংলায় ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল ।

৩০. বাংলায় কাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা সবচেয়ে বেশী ছিল ?

উত্তরঃ বাংলায় জগৎ শেঠদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা সবচেয়ে বেশী ছিল ।

 ৩১. পলাশির যুদ্ধের পর কে বাংলার নবাব হন ?

উত্তরঃ পলাশির যুদ্ধের পর মিরজাফর বাংলার নবাব হন ।

৩২. কত খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলি খান মারা যান ?

উত্তরঃ ১৭২৭ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলি খান মারা যান ।

৩৩. মুর্শিদকুলি খানের মৃত্যুর পর কে বাংলা দখল করেন ?

উত্তরঃ মুর্শিদকুলি খানের মৃত্যুর পর আলিবর্দি খান বাংলা দখল করেন ।

৩৪. কত খ্রিস্টাব্দে আলিবর্দি খান মারা যান ?

উত্তরঃ ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে আলিবর্দি খান মারা যান ।

 ৩৫.  আলিবর্দি খান মারা যাওয়ার পর বাংলার নতুন নবাব কে ছিল ?

উত্তরঃ আলিবর্দি খান মারা যাওয়ার পর বাংলার নতুন নবাব হন সিরাজ উদ দৌল্লা ।

৩৬. বাংলায় বর্গি হানা বলতে কি বোঝ ? 

উত্তরঃ ১৭৪২ থেকে ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মারাঠারা বাংলা ও উড়িষ্যার বিভিন্ন অঞ্চলে লুঠতরাজ ও আক্রমণ চালিয়ে ছিল সেই আক্রমণের স্মৃতি নানা ছড়া ও প্রবাদে বর্গি হানা বলে পরিচিত ।

৩৭.  কত খ্রিস্টাব্দে বাংলা ও মারাঠাদের মধ্যে সন্ধি হয় ?

উত্তরঃ ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ও মারাঠাদের মধ্যে সন্ধি হয়

৩৮. ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দে সন্ধির শর্ত কি ছিল ?

উত্তরঃ ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দে সন্ধির শর্তে বলা হয় উড়িষ্যার জলেশ্বরের কাছে সুবর্ণরেখা নদী সুবা বাংলার সীমানা , মারাঠারা সেই সীমানা পার করবে না ।

 ৩৯. মারাঠা হানার হাত থেকে বাংলার বণিকদের কারা রক্ষা করেছিল ?

উত্তরঃ মারাঠা হানার হাত থেকে বণিকদের রক্ষা করেছিল ব্রিটিশ কোম্পানি ।

৪০. মারাঠা খাল কাকে বলা হত ?

উত্তরঃ বর্গি হানা আটকানোর জন্য কলকাতায় খাল খোঁড়া হয়েছিল । সেই খাল মারাঠা খাল নামে পরিচিত ।

৪১. কত খ্রিস্টাব্দে হায়দ্রাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তরঃ  ১৭২৪ খ্রিস্টাব্দে হায়দ্রাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় ।

৪২. হায়দ্রাবাদ রাজ্য কে প্রতিষ্ঠা করেন ?

উত্তরঃ হায়দ্রাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন মির কামার উদ্দিন খান সিদ্দিকি ।

৪৩.  মির কামার উদ্দিন খান কে ঔরঙ্গজেব কোন উপাধি দেন ?

উত্তরঃ মির কামার উদ্দিন খান কে ঔরঙ্গজেব চিন কুলিচ খান উপাধি দেন ।

৪৪. কত খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন হায়দ্রাবাদের আত্মপ্রকাশ ঘটে ?

উত্তরঃ ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন হায়দ্রাবাদের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

৪৫. কত খ্রিস্টাব্দে অযোধ্যার আত্মপ্রকাশ ঘটে ?

উত্তরঃ ১৭২২ খ্রিস্টাব্দে অযোধ্যার আত্মপ্রকাশ ঘটে ।

৪৬. কার নেতৃত্বে অযোধ্যা আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ?

উত্তরঃ সাদাৎ খানের নেতৃত্বে অযোধ্যা আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ।

৪৭. মুঘল সম্রাট মহম্মদ শাহ সাদাৎ খানকে কি উপাধি দিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ মুঘল সম্রাট মহম্মদ শাহ সাদাৎ খানকে বুরহান উল মুলক উপাধি দিয়েছিলেন ।

৪৮. ১৭৫৪ খ্রিস্টাব্দে অযোধ্যার শাসক কে ছিলেন ?

উত্তরঃ ১৭৫৪ খ্রিস্টাব্দে অযোধ্যার শাসক সুজা উদ দৌল্লা ছিলেন ।

৪৯.মুর্শিদকুলির আমলে কোন কোন কোম্পানি বাংলায় ব্যবসা বাণিজ্য করত ?   

উত্তরঃ মুর্শিদকুলির আমলে ব্রিটিশ ,ওলন্দাজ, ফরাসি কোম্পানি বাংলায় ব্যবসা    বাণিজ্য করত।

 ৫০. কত খ্রিস্টাব্দে ফাররুখশিয়রের ফরমান জারি করেছিলেন ?

উত্তরঃ ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে ফাররুখশিয়রের ফরমান জারি করেছিলেন ।

৫১.কীসের দ্বারা কোম্পানি ভারতে অবাধ বাণিজ্যের অধিকার পায় ?

উত্তরঃ ফারুকশিয়রের ফরমান দ্বারা কোম্পানি অবাধ বাণিজ্যের অধিকার পায় ।

৫২. কত খ্রিস্টাব্দে সিরাজ কলকাতা দখল করেন ?

উত্তরঃ ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে ২০ জুন সিরাজ কলকাতা দখল করেন ।

৫৩. সিরাজ কি নামে কলকাতার নামকরণ করেছিল ?

উত্তরঃ কলকাতা দখল করে সিরাজ তার নাম দেন আলিনগর ।

৫৪. কত খ্রিষ্টাব্দে কাদের মধ্যে আলিনগরের সন্ধি হয় ?

উত্তরঃ ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে সিরাজ ও লর্ড ক্লাইভের মধ্যে আলিনগরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।

৫৫. কত খ্রিষ্টাব্দে কাদের মধ্যে পলাশির যুদ্ধ হয় ?

উত্তরঃ ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে কাদের মধ্যে পলাশির যুদ্ধ হয় নবাব সিরাজ উদ দৌলা ও  লর্ড ক্লাইভের মধ্যে পলাশির যুদ্ধ হয় ।

৫৬. পলাশির যুদ্ধের পর বংলার নবাব কে ছিলেন ?

উত্তরঃ পলাশির যুদ্ধের পর বংলার নবাব হন মির জাফর ।

৫৭. বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ থকে মুঙ্গেরে স্থানান্তর করে কে ?

উত্তরঃ বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ থকে মুঙ্গেরে স্থানান্তর করে মির কাশিম ।

৫৮. কত খ্রিস্টাব্দে কাদের মধ্যে বক্সারের যুদ্ধ সংগঠিত হয় ?

উত্তরঃ ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে অযোধ্যার শাসক সুজা উদ দৌল্লা , মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম ও মির কাশিমের যৌথ বাহিনী, ও  ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে বক্সারের যুদ্ধ সংগঠিত হয় ।

৫৯. কত খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি বাংলা , বিহার , উড়িষ্যার দেওয়ানির অধিকার লাভ করে ?

উত্তরঃ ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি বাংলা , বিহার , উড়িষ্যার দেওয়ানির অধিকার লাভ করে ।

 ৬০. ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে কাদের মধ্যে এলাহাবাদে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ?

উত্তরঃ ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় শাহ আলম ও সুজা উদ দৌলার সঙ্গে এলাহাবাদের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ।

৬১. ছিয়াত্তরের  মন্বন্তর  কি ?

উত্তরঃ বাংলায় দ্বৈত শাসন প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্রিটিশ কোম্পানির একমাত্র লক্ষ্য ছিল যত বেশী সম্ভব , রাজস্ব আদায় করা এর ফলে ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় ভয়ানক দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল , বঙ্গাব্দের হিসাবে এই বছরটা ছিল ১১৭৬ বঙ্গাব্দ । তাই ঐ দুর্ভিক্ষকে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বলা হয় ।

৬২. ব্রিটিশ রেসিডেন্ট কাদের বলা হত ?

উত্তরঃ ব্রিটিশ কোম্পানি নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষার জন্য বিভিন্ন রাজদরবারে নিজের প্রতিনিধি রাখত । সেই প্রতিনিধিদের রেসিডেন্ট বলা হত  ।

৬৩. অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি প্রচলন করেন কে ?

উত্তরঃ অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি প্রচলন করেন লর্ড ওয়েলেসলি ।

৬৪. ইঙ্গ মহিশূর যুদ্ধ বলতে কি বোঝ ?

উত্তরঃ ১৭৬৭ থেকে ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে চারটি যুদ্ধ হয় কোম্পানি ও মহীশূরের মধ্যে। সেগুলিকে ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধ বলা হয় ।

৬৫. ইঙ্গ ফরাসি যুদ্ধের মূল কেন্দ্র কোনটি ছিল ?

উত্তরঃ ইঙ্গ ফরাসি যুদ্ধের মূল কেন্দ্র  ছিল করমন্ডল উপকূল ও তাঁর পশ্চাদভূমি ।

৬৬. সলবাইয়ের চুক্তি কত খ্রিস্টাব্দে কাদের মধ্যে হয়েছিল ?

উত্তরঃ সলবাইয়ের চুক্তি ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে মারাঠা ও ব্রিটিশ কোম্পানির মধ্যে হয়েছিল ।

৬৭. স্বত্ব বিলোপ নীতির প্রচলন করেন কে ?

উত্তরঃ স্বত্ব বিলোপ নীতির প্রচলন করেন লর্ড ডালহৌসি ।

৬৮.  লাহোর চুক্তি কবে কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ?

উত্তরঃ লাহোর চুক্তি ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ কোম্পানি ও শিখদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ।

 প্রতিটি প্রশ্নের মান ২

 

১. ফারুকশিয়রের ফরমানে কি কি শর্ত জারি করা হয়েছিল ?

উত্তরঃ ফারুকশিয়রের ফরমানে অনুযায়ী-

(i) ব্রিটিশ কোম্পানিকে বাংলায় বাণিজ্যিক অধিকার দেওয়া হয়েছিল ।

(ii) বছরে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে কোম্পানি বাণিজ্য করবে ।

(iii) কোম্পানিকে কোন শুল্ক দিতে হবে না ।

(iv) কোম্পানি ৩৮ টি গ্রামের জমিদারি কিনতে পারবে ।

(v) কোম্পানির পণ্য চুরি গেলে নবাব ক্ষতিপূরণ দেবেন ।

(vi) মুর্শিদাবাদের টাঁকশাল প্রয়োজন মতো কোম্পানি ব্যবহার করতে পারবে ।

 

২. ‘অন্ধকূপ হত্যা’ কি ?

উত্তরঃ হলওয়েলের মতে কলকাতা দখল করে সিরাজ নাকি ১৪৬ জন ব্রিটিশ  নরনারীকে একটি ছোট ঘরে বন্দী করে রেখেছিলেন । তার ফলে অনেক বন্দী মারা যায় । এই ঘটনাই ‘অন্ধকূপ হত্যা’ বলে পরিচিত । ঐতিহাসিক অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় ‘অন্ধকূপ হত্যাকে’অতিরঞ্জন বলে প্রমাণ করেছিলেন ।

 

৩. টীকা লেখো : জগৎ শেঠ , মারাঠা খাল , অন্ধকূপ হত্যা ।  

 (i) জগৎ শেঠ

মুর্শিদাবাদের রাজধানী ও অর্থনীতিতে বণিকরাজাদের বেশ প্রভাব ছিল । সেই সব বণিক রাজাদের মধ্যে অন্যতম ছিল ঊর্মি চাঁদ , খোজা ওয়াজিদ এবং জগৎ শেঠ । ১৬৫৬ সালে হিরাপদ শাহের বড় ছেলে মানিক চাঁদ ঢাকায় মহাজনি ব্যবসা শুরু করেন , মুর্শিদকুলি খানের সঙ্গে মানিক চাঁদের বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল সেই সূত্র ধরেই মানিক চাঁদ ঢাকা ছেড়ে মুর্শিবাদে ব্যবসা শুরু করেন  , মানিক চাঁদের পর তাঁর ভাগ্নে ফতেহ চাঁদ ব্যবসার হাল ধরেন , এবং মুঘল সম্রাটে ফতেহ চাঁদকে জগতের শেঠ বা জগৎ শেঠ উপাধি দেন, সেই উপাধি বংশানুক্রমিক ভাবে চলতে থাকে । অর্থাৎ জগৎ শেঠ হল নির্দিষ্ট একটি বণিক পরিবারের উপাধি। জগত শেঠদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা ছিল বিপুল , তাঁদের হাত ধরেই বাংলায় ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল ।

(ii) মারাঠা খাল

১৭৪২ থেকে ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মারাঠার বাংলা ও উড়িষ্যার বিভিন্ন অঞ্চল লুঠত রাজ ও আক্রমণ চালিয়ে ছিল , বাংলায় এই মারাঠারা আক্রমণ বর্গি হানা নামে পরিচিত । মারাঠা হানার ফলে বাংলার পশ্চিম প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ পূর্ব , উত্তর বাংলা, কলকাতাতে চলে যায় কলকাতায় অনেক ব্রিটিশ বণিকরা আশ্রয় পেয়েছিল  , ব্রিটিশ কোম্পানি তৎকালীন দুঃসময়ে হয়ে উঠেছিল অন্যতম রক্ষাকারী । বর্গিহানা আটকানোর জন্য কলকাতায় ৩ রা ফ্রেব্রুয়ারি ১৭৪৪ খ্রিস্টাব্দে ফ্রর্টের দরওয়াজা থেকে যে খাল খনন করা হয় ,  সেই খাল মারাঠা ডিচ বা মারাঠা খাল নামে পরিচিত ।

(iii) অন্ধকূপ হত্যা

১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে ২০ জুন সিরাজ কলকাতার ব্রিটিশ কুঠি আক্রমণ করে কলকাতা দখল করেন তার নামকরণ করেন আলিনগর। সেই সময়ই কোম্পানির কর্তা ব্যক্তি হলওয়েল প্রচার করেন যে  নবাব সিরাজ ১৪৬ জন ব্রিটিশ নরনারীকে একটি ছোট ঘরে বন্দী করে রেখে ছিলেন যেটি ১৮ ফিট দীর্ঘ এবং ১৮ ফিট প্রস্থ । এই ঘরে নাকি ৮১ জনের অধিক লোকের জায়গা হতে পারে না , সেখানে ১৪৬ জন নরনারীকে নিদারুণ গ্রীষ্মকালে ওইরূপ সংকীর্ণ ঘরে বন্দী করে রাখার ফলে অনেকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান। এই হত্যা কাণ্ডের ঘটনাকে ইতিহাসে অন্ধকূপ হত্যা বলে অভিহিত করা হয়েছে ।

 

Thanks For Reading : আঞ্চলিক শক্তির উত্থান অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস 

 


আরো পড়ুনঃ   

বাংলা রচনা 


 

Leave a comment