মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় ছোট প্রশ্নউত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস – চতুর্থ অধ্যায় (সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ)থেকে আজ গুরুত্বপূর্ণ কিছু  ১ নম্বরের২ নম্বরের  ছোট প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হল | যেগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

আশা করছি , এটি তোমাদের পক্ষে খুবই উপযোগী হবে । যেসব ছাত্রছাত্রী WBBSE class 10 history notes in Bengali | ইতিহাস class 10 chapter 4 খুঁজে চলেছ তাদের খুবই উপকারে লাগবে।

মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় ছোট প্রশ্ন উত্তর |
মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় ছোট প্রশ্ন উত্তর |

 

মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় ছোট প্রশ্নউত্তর | ১ নম্বরের ও ২ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর | 

 

দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় ১ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

 

১. “বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা” কি ?  

উত্তরঃ  “বঙ্গভাষা প্রকাশিত সভা” ছিল বাংলার প্রথম জমিদার সভা ।

 

২. সিপাহী বিদ্রোহকে ‘ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ ’ অভিহিত করেন কে ? 

.উত্তরঃ   সিপাহী বিদ্রোহকে ‘ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ ’ বলে অভিহিত করেন বিনায়ক দামোদর সাভারকর (ভি. ডি. সাভারকর )।

 

৩. বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার সম্পাদক কে ছিলেন ?

উত্তরঃ বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার সম্পাদক ছিলেন গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য ।

 

৪. ‘আনন্দমঠ’ কবে প্রকাশিত হয় ?

উত্তরঃ ‘আনন্দমঠ’ 1882 সালে প্রকাশিত হয় ।

 

৫. আনন্দমঠ কে রচনা করেন ?

উত্তরঃ আনন্দমঠ রচনা করেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

 

৬. বর্তমান ভারত গ্রন্থটির রচয়িতা কে ?

উত্তরঃ বর্তমান ভারত গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন স্বামী বিবেকান্দ।

 

৭. ভারতমাতা চিত্রটি কে আঁকেন ?

উত্তরঃ ভারতমাতা চিত্রটি আঁকেন অবনীনাথ ঠাকুর।

 

৮. ‘বন্দেমাতরম ’ সঙ্গীতটি কবে রচনা করা হয় ?

উত্তরঃ ‘বন্দেমাতরম ’ সঙ্গীতটি 1875 সালে রচনা করা হয় ।

 

৯. গগেন্দ্রনাথ ঠাকুর কে ছিলেন ? 

উত্তরঃ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন  ব্যঙ্গ চিত্রশিল্পী।

 

১০. ‘বন্দেমাতারম’ সঙ্গীতটি কে রচনা করেন  ?

উত্তরঃ ‘বন্দেমাতারম’ সঙ্গীতটি রচনা করেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।

 

১১. হিন্দুমেলার সম্পাদক কে ছিলেন ?

উত্তরঃ হিন্দুমেলার সম্পাদক ছিলেন  নবগোপাল মিত্র।

 

১২. ল্যান্ডহোল্ডর্স সোসাইটি সভাপতি কে ছিলেন ?

উত্তরঃ ল্যান্ডহোল্ডর্স সোসাইটি সভাপতি ছিলেন গগেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 

১২.বর্তমান ভারত প্রথম প্রকাশিত হয় কত সালে ?

উত্তরঃ বর্তমান ভারত প্রথম প্রকাশিত হয় প্রবন্ধ হিসাবে 1899 সালে ।

 

১৩. ভারতসভা প্রতিষ্ঠিত কবে হয় ?

উত্তরঃ ভারতসভা প্রতিষ্ঠিত হয়1876 সালে ।

 

১৪. মহাবিদ্রোহের সময়ে ভারতের গর্ভনর জেনারেল কে ছিলেন ?

উত্তরঃ মহাবিদ্রোহের সময়ে ভারতের গর্ভনর জেনারেল ছিলেন লর্ড ক্যানিং ।

 

১৫. হিন্দুমেলার অপর নাম কী ছিল ? 

উত্তরঃ হিন্দুমেলার অপর নাম ছিল চৈত্রমেলা।

 

১৭.‘মহারানীর ঘোষনাপত্র ’ কবে ঘোষিত হয় ?

উত্তরঃ মহারানীর ঘোষনাপত্র ’ ঘোষণা  করা হয় 1858 খ্রিস্টাব্দে 1 লা নভেম্বর।

 

১৮. ‘জমিদার সভা ’ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তরঃ  ‘জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয় 1838 খ্রিস্টাব্দে ।

 

১৯. ‘ভারত সভা ‘ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তরঃ ‘ভারত সভা 1876 খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ।

 

২০. বন্দেমাতরম গানটি কোন উপন্যাসের অন্তর্গত ?

উত্তরঃ বন্দেমাতরম গানটি বঙ্গিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আনন্দমট উপন্যাসের অন্তর্গত।

 

২১. একজন ব্যঙ্গচিত্র শিল্পীর নাম লেখ ?

উত্তরঃ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন ব্যঙ্গচিত্র শিল্পীর।

 

২২. ভারতমাতা চিত্রটি কে অঙ্কন করেন ?

উত্তরঃ ভারতমাতা চিত্র অঙ্কন করেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর  ।

 

২৩. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের নাম কি ছিল ?

উত্তরঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের নাম ছিল গোলদিঘির গোলামখানা।

 

২৪. গোরা উপন্যাসটি কে রচনা করেন ?

উত্তরঃ গোরা উপন্যাসটি রচনা করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 

২৫. মহারানী ভিক্টোরিয়াকে ভারত সম্রাজ্ঞী উপাধি দেওয়া হয় কত সালে ?

উত্তরঃ মহারানী ভিক্টোরিয়াকে ভারত সম্রাজ্ঞী উপাধি দেওয়া হয় 1858 সালে।


দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

 

১. মহারানির শাসনকালকে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অধ্যায় কেন বলা হয় ?

উত্তরঃ  1858 খ্রিস্টাব্দে 1 লা নভেম্বর মহারানী ভিক্টোরিয়া এক ঘোষনাপত্র মারফৎ স্বহস্তে ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন এবং ভারতীয় শাসন ব্যবস্থায় নতুন নীতি ও আদর্শের কথা ঘোষনা করে জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেন। বলা বাহুল্য, মহারানীর এইসব প্রতিশ্রুতি ঘোষণা পত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল। কোনটাই বাস্তবায়িত হয়নি।এই কারণে বহু ঐতিহাসিক মহারানির শাসনকালকে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অধ্যায় বলেছেন । মহারানীর ঘোষণাপত্র ভারতীয়দের কাছে ম্যাগনাকার্টা হলেও তা বাস্তবে ‘রাজনৈতিক ধাপ্পা ’ ভিন্ন কিছুই ছিল না।

২. ভারত সভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য গুলি লেখ ?

 উত্তরঃ আনন্দমোহন বসু সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, শিবনাথ শাস্ত্রী প্রমুখের উদ্দ্যোগে 1876 খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় গড়ে ওঠে ভারত সভা। এই সভার প্রানপুরুষ ছিলেন সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়। এই সভার প্রথম সভাপতি ছিলেন কৃষ্ণমোহন বন্দোপাধ্যায় । এই সভার উদ্দেশ্য গুলি হল –

(i) ভারতীয় সার্বিক কল্যাণ ও স্বার্থ সুরক্ষিত করা ।

(ii) শিক্ষিত , মধ্যবিত্ত ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার প্রসার ঘটানো।

(iii)  স্বদেশী দ্রব্যের ব্যবহার জনপ্রিয় করে তোলা।

(iv) হিন্দু – মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক ঐক্য স্থাপন করা।

 

৩. জাতীয়তাবাদের বিকাশে গোরা উপন্যাসের গুরুত্ব কী ?

 উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গোরা উপন্যাস, জাতীয়তাবাদের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে । গোরার কাছে হিন্দুধর্ম ছিল সার্বজনীন রূপ। কিন্তু গোরা হঠাৎ জানতে পারল তার মিথ্যা পরিচয়। জন্মেসূত্রে সে ছিল খ্রিস্টান ।

সিপাহী বিদ্রোহের কালে এক পলায়নপর আইরিশ নারীর গর্ভে তার জন্ম । এই আঘাতে  গোরা ভেঙে না পড়ে ব্রাহ্মণ্য ধর্মের গৌরববোধ থেকে মুক্তি পেয়ে বলে ‘আজ আমি ভারতবর্ষীয় ’। আমার মধ্যে হিন্দু , মুসলমান খ্রীষ্টান কোনো সমাজের বিরোধ নেই। আজ এই ভারতবর্ষের সকল জাতই আমার জাত, সকলের অন্নই আমার অন্ন , গোরার এই পরিচয়ে গভীর জাতীয়তাবাদ বিকশিত হয়েছে  ।

 

৪. আনন্দ মঠ উপন্যাস কিভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে উদ্দীপ্ত করেছিল ?

 উত্তরঃ আনন্দ মঠ উপন্যাস যেভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে উদ্দীপ্ত করেছিল তা হল –

এই গ্রন্থে বলা হয়েছে, দেশমাতা হলেন মা, দেশপ্রেম হল ধর্ম এবং দেশসেবা হল পূজা।

এই গ্রন্থটি যুবক সম্প্রদায়ের স্বদেশ ভক্তি, ত্যাগ ও সেবা ধর্মে উদবুদ্ধ করে ‘স্বদেশ প্রেমের গীতা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।

 

৫.মহারানীর ঘোষণাপত্র কী ?

 উত্তরঃ 1858 খ্রিস্টাব্দের 1 লা নভেম্বর এলহাবাদে মহারানী ভিক্টোরিয়া এবং ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং এর ব্রিটিশদের ক্ষমতার হস্তক্ষেপ জনিত একটি ঘোষণা পেশ করেন। এই ঘোষণাপত্র মহারানীর ঘোষণাপত্র নামে পরিচিত। এই ঘোষণা পত্রে বলা হয় ভারতীয় ব্যবস্থায় নতুন রীতি ও আদর্শ প্রতিষ্ঠা হবে। এইসব বলে তিনি ভারতের জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেন, কিন্তু সেগুলোর মধ্যে একটাও বাস্তবায়িত হয়নি।

 

৬. সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহের কারণ কি ছিল ?

 উত্তরঃ মুঘল আমলে উত্তর ভারতে হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের বহু ভ্রাম্যমান সন্ন্যাসী ও ফকির বাংলা ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে তীর্থ ভ্রমণে বের হয় এবং অনেকেই বাংলা স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে এবং জীবিকা নির্বাহ করে। এরাই পরবর্তীকালে (1763 – 1800 খ্রিঃ) সন্ন্যাসী ফফির বিদ্রোহের  ডাক দেন।

 বিদ্রোহের কারণ: 

  1. সন্ন্যাসী ফকিরদের বাংলায় প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়।
  2. তীর্থ যাত্রার ওপর কর বসানো হয়।

 বিদ্রোহের নেতা : 

মজনু শাহ ছিলেন এই বিদ্রোহের অন্যতম নেতা , এছাড়াও ছিলেন দেবী চৌধুরানী , ভবানী পাঠক, চিরাগ আলি, মুসা শাহ, কৃপা নাথ প্রমুখ।

বিস্তৃতি :  

মালদহ , রংপুর , দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, কোচবিহার প্রভৃতি জায়গায় এই বিদ্রোহ বিস্তার লাভ করেছিল ।


আরো পড়ুন – 


 

 

 

Leave a comment