তোমার প্রিয় কবি রচনা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

প্রিয় পাঠক এই পর্বে আলোচনা করতে চলেছি বাংলা প্রবন্ধ রচনা তোমার প্রিয় কবি রচনা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রথমে রচনাটি একটু বড়ো আকারে লেখা হয়েছে যাতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে লাগে এবং তার পরে আমার প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা class 7/8 এর শিক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত আকারে লেখা হয়েছে । তাছাড়া আমার প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা class 5 এর শিক্ষার্থীদের জন্য আরো সংক্ষিপ্ত রূপে দেওয়া হয়েছে।

তোমার প্রিয় কবি রচনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তোমার প্রিয় কবি রচনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

তোমার প্রিয় কবি রচনা অথবা  বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভূমিকা :

রবীন্দ্রনাথ আমাদের জীবনের সর্বভূমির কবি। তাঁর বিচিত্র চিন্তা ও কর্মের প্রবাহ, বিচিত্র প্রকাশের মধ্যে, তাঁর সাহিত্য রচনায়, বিচারে ও ব্যাখ্যার যে পরিচয়টি আমাদের কাছে প্রকাশিত হয় তা হল তাঁর কবি প্রকৃতি। মানুষের এমন কোনো অনুভূতি নেই যা তাঁর লেখনীতে স্পর্শ করেনি। জীবনের সমস্ত দিকগুলিকেই তিনি তাঁর কলমের ছোঁওয়ার সঞ্জীবিত করে তুলেছেন। রবীন্দ্রনাথের মতো মনে – প্রানে, চিন্তায় – কর্মে, দুখে – সুখে, জীবনে মরণে সমদৃষ্টিমান কবি মানুষের ইতিহাসে দুলর্ভ।

জগৎকে তিনি দেখেছেন ঋষিসুল্ভ অখন্ড দৃষ্টিতে যার মাধ্যমে আনন্দ উপলব্ধি করেছেন। তাঁর কবি প্রকৃতি সীমার সঙ্গে অসীমের, খন্ডের সঙ্গে পূর্নের । শরৎচন্দ্রের মতো আমরাও বলছি, “কবিগুরু, তোমাদের প্রতি চাহিয়া  আমাদের বিস্ময়ের সীমা নেই। ”

জীবন :

কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের পুত্র রবীন্দ্রনাথের জন্ম (২৫ শে বৈশাখ, ১২৫৮\ ৭ ই মে, ১৮৬১) । শৈশব থেকে আমৃত্যু তিনি নানা স্থানে ভ্রমণ করেছেন /ঘুরেছেন, বিভিন্ন স্থানে থেকেছেন, অভিক্ষতার ঝুলি সঞ্চিত করেছেন এবং রেখে গেছেন তাঁর জীবন ব্যাপী কর্মসাধনার অসামান্য কীর্তিকে । জীবনের বহু ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করেছেন। প্রিয়জনদের অকালে মৃত্যু কাছ থেকে দেখেছেন। পরাধীন ভারতবর্ষকে  পরাধীনতাকে থেকে , ভারতবাসীকে মুক্ত করার জন্য নানান কর্মপন্থা গ্রহণ করেছেন।

১৯১৩ তে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। অন্যদিকে জালিয়ান ওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে নাইট উপধিও ত্যাগ করেছেন। এই কবি ব্যক্তিত্বের মৃত্যু হয় ২২ শে স্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে (৭ আগস্ট, ১৯৮১)।

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর :

রবীন্দ্রনাথ তাঁর “নবজাতক” কাব্যের ভূমিকায় লিখেছিলেন, “আমার কাব্যের ঋতু পরিবর্তন ঘটেছে বারে বারে।“  অর্থাৎ, তাঁর সমগ্র বাক্য সাধনায় এসেছেন ক্রমিক পরিবর্তনের রূপে। কবি জীবনের এক একটি পর্যায় স্তরে স্তরে বিচিত্র ভারতবর্ষে ভিতর দিয়ে প্রত্যেক স্তরের বিচিত্র সম্ভাবনাকে পরিপূর্নভাবে বিকশিত করে, সম্পূর্নভাবে নিঃশোষিত করে অবশেষে তাঁর সহজ স্বাভাবিক পরিণতির দিকে অগ্রসর হয়েছে এবং সমাপ্তির সীমায় পৌঁছে পরমুহুর্তেই আবার সেই সীমাকে উল্লখন করে নতুন প্রবাহের সূচনা করেছে। নিত্যকে নতুন করে নূতন সৃষ্টির মধ্যে রবীন্দ্রনাথের কবি জীবনের ধর্ম।  ‘নৈবেদ্য’ ,’খেয়া’- হয়ে যে নবজীবন প্রবাহের সূচনা হয়েছিল তা গীতাঞ্জলী গীতিকাব্যের  মধ্যে নিঃশেষে আত্মপ্রকাশ করেছেন।

এরপর বলাকা, পূরবী ও মহুয়া থেকে পুনশ্চ, শেষ ,সপ্তক কাব্যগুলিতে নব নব চিন্তা ভাবনা যেমন উৎসারিত হয়েছে , তেমনি শেষ পর্যায়ের কাব্য গুলিতে মর্ত্য প্রীতি ও মানুষের প্রতি গভীর নৈকট্য স্থাপিত হয়েছে,  যা তাঁরা নব নব উন্মেষ শালিনী প্রতিতার পরিচায়ক।

প্রাবন্ধিক  :

রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ তাঁর জীবননিষ্ঠ মননের প্রকাশ।  ভারতীয় , সাধনা, ভান্ডার, বঙ্গদর্শন প্রত্রিকার সম্পাদনা সূত্রেই তাঁর বেশিরভাগ প্রবন্ধগুলি রচিত হয়। তাঁর প্রবন্ধগুলির তথ্য ও তত্ত্বে সুসংবদ্ধ ও সুশৃঙ্খল।  যুক্তি ও বিচার বিশ্লেষণের তীক্ষ্ণতায় সমৃদ্ধ,  শিল্প ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা , রাজনৈতিক চিন্তা,  সমাজে সংস্কার সম্পর্কিত সমস্যা, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্ম, দর্শন, শিক্ষা প্রভৃতি সমস্ত বিষয়ই রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।

নাট্যকার :

রবীন্দ্রনাথ মূলত কবি হলেও নাট্যকাররূপে তাঁর খ্যাতী বিশ্বব্যাপী। বিশেষ করে রূপক সংস্কৃতিক নাটকে তাঁর কৃতিত্ব অবিসংবাদিতা ।  রক্তকরবী, রাজা, মুক্তধারা, ডাকঘর প্রভৃতি নাটকগুলির নাট্যবস্তু ও রসাবেদন এখনো মানুষকে আকর্ষন করে।

শুধু নাটক রচনা নয়, নাট্যমঞ্চ, নাট্য প্রযোজনা,  নাট্যভিনয় সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল আধুনিক। নাটকের বিষয়, চরিত্র সংলাপ, সংগীত প্রভৃতি তাঁর নাট্যস্বতন্ত্রের  পরিচয় বহন করে । নাটক যে একটি সুক্ষ কলারূপ তিনিই প্রথম দেখালেন।

উপন্যাসিক :

ঊনবিংশ  শতকের বাঙালীর  সমাজ জীবন  রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসের বিষয় হয়। এই সময়ের ব্যক্তি ও সমাজের দ্বন্ধ, ব্যক্তি ও ব্যক্তির দ্বন্ধ, ব্যক্তির সাথে সংসারের দ্বন্ধ, হিন্দু ব্রাহ্মের ভাবসংঘাত,  রাজনীতি ও স্বদেশপ্রেম, ব্যক্তির অন্তমুর্খীনতা প্রভৃতি রবীন্দ্রনাথের ওপন্যাসিক চেতনাকে সমগ্রতা দান করেছিল। ‘চোখের বালি’ থেকেই বাংলা উপন্যাস সাহিত্য মোড় ফেরার ঘণ্টাধ্বনি সূচিত হয় ।  বঙ্গভঙ্গের পটভূমিকায় রচিত হয় ‘ঘরে বাইরে। ’ ‘চতুরঙ্গ’ উপন্যাসে অঙ্গিকের বৈচীত্র চমকপ্রদ । আর শেষের কবিতার মতো রোম্যান্টিক প্রেমের উপন্যাস এবং ভাষায় কারুকার্য বাংলা সাহিত্য কমই আছে।

ছোটো গল্পকার  :

পদ্মাতীরের জমিদারী দেখাশোনার অবকাশে সাধারণ মানুষের সুখ, দুঃখের অংশ ভোগী হয়ে তিনি যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলেন তাঁর বেশি ভাগই প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর ছোটো গল্পে।  এই ছোটো গল্পগুলিতে এসেছে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি ও মানুষ, মানুষের সুখ – দুঃখ, আশা                 নারীর ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য। গ্রামীণ জীবনের সংস্কার বিশ্বাস, অতিপ্রাকৃত উপাদান প্রভৃতি, ছুটি, পোষ্টমাস্টার, একরাত্রি, দান – প্রতিদান, দীথিত ও মৃত, স্ত্রীর – পত্র, ল্যাবরেটারি প্রভৃতি তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্প।

সংগীত  :

রবীন্দ্রনাথের মধ্যছিল সংগীত পিপাসু হৃদয়, যা দিয়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন বিশ্বের অন্যতম সংগীত ।  আনন্দ, বেদনায় , দুঃখে, সুখে উৎসব অনুষ্ঠানে, মিলন – বিরহে, জীবন – মৃত্যুতে তাঁরা সেইসব গানগুলি মানুষকে প্রেরণা দেয়, শান্ত করে, উজ্জীবিত করে।

কেন প্রিয়  :

পৃথিবীতে এ পর্যন্ত বহু কবি ও মনীষীর জন্ম হয়েছে। শেকসপিয়র, গেটে , হোমার, মিলটন প্রমুখ বহু কবি ও মনীয়ীর নাম আমরা উল্লেখ করতে পারি। এরা প্রত্যেকেই যে বিরাট, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মধ্য দিয়ে মনীষির যে বিশাল ব্যাপ্তি তা আর অন্য কারোর ভেতব দেখা যায় না রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একাধারে কবি, নাট্যকার ও গানের স্রষ্টা, প্রাবন্ধিক এবং  চিত্রকর।  এই বঙ্গভূমিতে কেবল নয়, কবি আজ সর্বত্র ব্যাপ্ত। তিনি আমাদের কাছে কবির কবি এবং গানের রাজা। তাঁর রাজনৈতিক ভাবনা আজও আমাদের কাছে প্রসঙ্গিক। তিনি ছিলেন আধুনিক শিক্ষা ভাবনার পথিক। তিনি নিজের উদ্যোগে শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন তার শিক্ষা ভাবনা। তিনি ভারতবর্ষে বাংলাদেশে এবং শ্রীলঙ্কা এই তিনটি রাষ্ট্রের জাতীয় সংগীতেররচয়িতা।  তিনি ১৯০৫ সালে বঙ্গোভঙ্গের বিরোধিতার যে কেবল নিছক একজন কবি তা ছিলেন তা নয়। তিনি ছিলেন  শ্রেষ্ঠ প্রাবন্ধিক, শ্রেষ্ঠ নাট্যকার শ্রেষ্ঠ ও ওপন্যাসিক।

উপসংহার :

রবীন্দ্রনাথের মধ্যে ছিল এক  ঋষিসত্ত্বা , যে সত্ত্বা দিয়ে তিনি সমস্ত খন্ডের মধ্যে অখন্ড দেখেছেন, হিংসা বিদেশের মধ্যে প্রেমকে উপলব্ধি করেছিলেন, অন্ধকারের উৎসে আলোর সন্ধান করেছেন। তাই তিনি ক্ষুদ্র খন্ড, হিংসা দীনতার উর্দ্ধে উঠে গভীর মানব প্রত্যয় নিয়ে শ্বাশ্বত জীবনের কথা শুনিয়েছেন । তাঁর জীবন আমাদের কাছে এক মহাজীবন। তিনি ছিলেন মনিষী ছিলেন ভবিষ্যৎের  স্রেষ্টা ছিলেন।

 

আমার প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা class 7/8

 

“কবিগুরু তোমার প্রতি  চাহিয়া  আমাদের বিস্ময়ের  সীমা  নেই”-

শরৎচন্দ্র  চট্টোপাধ্যায় ।

ভূমিকাঃ

সূর্যের স্বরূপকে  জানা যেমন অত সহজ নয় ,  তেমনিই সাহিত্যের মহাকাশে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বরূপ  বোঝা  খুবই  কঠিন ব্যাপার ।  আমাদের  কাছে  এমন  কোন  চাবি  নেই,  যা দিয়ে  কবি  গুরুর সাহিত্যের   ভাণ্ডারের  তালা  সহজেই  আমরা  খুলতে পারি ।  রবীন্দ্রনাথ  আমাদের  জীবনের সর্ব ভূমির  কবি। তাঁর  চিন্তা ও কর্মের  প্রবাহ  গান  নৃত্য, নাটক , গল্প , ছোট গল্প ও উপন্যাসে জগতে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে ।

জন্ম ও শিক্ষাঃ

কলকাতার  জোড়াসাঁকো  ঠাকুর বাড়িতে   মহর্ষি  দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র রবীন্দ্রনাথের  জন্ম ১২৬৮  খিস্টাব্দে ২৫ শে বৈশাখ (১৮৬১, ৭ই  মে)। কবির শিশু মন চার দেওয়ালের  মধ্যে বন্দি  থাকতে  চায়নি। তাই  তার  স্কুল  জীবন বেশি  ভালো লাগত না । তাই  তার  স্কুল জীবন  বেশি দূর এগোয়নি। কিন্তু  তিনি  সারা  জীবন  অবিরাম  সাহিত্য চর্চা  করেছেন । এই  মহান  সত্ত্বা  পরলোক  গমন  করেন  ২২ শে শ্রাবন , ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে   (৭ই  অগাস্ট ১৯৮১)।

 কবি  রবীন্দ্রনাথঃ

ঠাকুর পরিবারের  সাহিত্য চর্চার  গুনে  রবীন্দ্রনাথ  সাহিত্য চর্চা শুরু করেন  । ১৩ বছর বয়সে  তাঁর  প্রথম  কবিতা  প্ত্রিকায়  প্রকাশিত  হয় ।  পরবর্তীকালে  তিনি  বাংলা  সাহিত্যকে  অজস্র  কবিতা   উপহার  দিয়েছেন । তাঁর উল্লেখযোগ্য  কবিতা  গুলি হল-  খেয়া , নৈবেদ্য  ,বলাকা , পূরবী  প্রভূতি ।

নাট্যকার রবীন্দ্রনাথঃ

রবীন্দ্রনাথ  মূলত  কবি হলেও  নাট্যকার  রুপে  তিনি  বিশ্ব বিখ্যাত । তাঁর  উল্লেখযোগ্য  নাটক গুলি হল- রক্তকরবী, রাজা ,  মুক্তধারা, ডাকঘর,  প্রভূতি।

প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রনাথঃ

শিল্প , সাহিত্য,  বিজ্ঞান,  রাজনীতি ,  ইতিহাস  , ধর্ম  ,দর্শন ,   প্রভূতি। সমস্ত   বিষয়কে কেন্দ্র করে  রবীন্দ্রনাথ  প্রবন্ধ  , সাহিত্যকে  সমৃদ্ধ  করেছে।

কেন প্রিয় লেখকঃ

রবীন্দ্রনাথ  ছিলেন  একাধারে  কবি , নাট্যকার ,  প্রাবন্ধিক ও চিত্রকর । রবীন্দ্রনাথের মধ্যে দিয়ে মনীষীর যে বিশাল ব্যাপ্তি  তা  অন্য কারোর ভিতর  দেখা যায় না । সাহিত্য  তাঁর এই  অসাধারণ ভূমিকার জন্য ১৯১৩ খিস্টাব্দে তিনি নোবেল পুরস্কার পান। তাছাড়া তাঁর  আন্তরিক  স্বদেশ  প্রেম  আপামোর  বাঙালি  মনকে   গভীর  ভাবে  আকৃষ্ট  করেন।

উপসংহারঃ

রবীন্দ্রনাথের  মধ্যে  ছিল এক ঋষি সত্বা , যে  সত্বা দিয়ে  তিনি  অন্ধকারের  উৎসে  আলোর  সন্ধান করেছেন , তিনি  হিংসা  বিদ্বেষের মধ্যে  প্রেমকে  উপলদ্ধি  করেছিলেন ।  তাঁর জীবন আমাদের কাছে  এমন এক  জীবন , তিনি  আমাদের  ভবিষ্যৎ -এ  চলার আলো  দেখান।  তাই কবির ভাষায়  আমরা  বলতে পারি –

“আমার মাথা নত  করে / দাও হে তোমার চরণ ধূলার  তলে

সকল  অহংকার  হে আমার / ডুবাই চোখের জলে।”

 

আমার প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা class 4/5

 

বাংলা সাহিত্যে সর্বকালের সর্ব ভূমির  কবি হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কলকাতার  জোড়াসাঁকো  ঠাকুর বাড়িতে   মহর্ষি  দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র রবীন্দ্রনাথের  জন্ম ১২৬৮  খিস্টাব্দে ২৫ শে বৈশাখ (১৮৬১, ৭ই  মে)। কবির শিশু মন চার দেওয়ালের  মধ্যে বন্দি  থাকতে  চায়নি। তাই তিনি স্কুলের যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি ঠাকুর বাড়ীতেই পড়াশুনা করতেন। তিনি যেমন কবি, তেমনই গান  নৃত্য, নাটক , গল্প , ছোট গল্প ও উপন্যাসে আসাধারন প্রতিভার পরিচয় রেখেছেন। সাহিত্য  তাঁর এই  অসাধারণ ভূমিকার জন্য ১৯১৩ খিস্টাব্দে তিনি নোবেল পুরস্কার পান। এই  মহান  মানুষ পরলোক  গমন  করেন  ২২ শে শ্রাবন , ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে   (৭ই  অগাস্ট ১৯৮১)।

 

Thanks For Reading: তোমার প্রিয় কবি রচনা অথবা  বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


আন্যান্য রচনা পড়ুনঃ 

১. বাংলার উৎসব প্রবন্ধ রচনা ৪০০ শব্দের

২. ছাত্র জীবনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা রচনা

৩.মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চা প্রবন্ধ রচনা


 

3 thoughts on “তোমার প্রিয় কবি রচনা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”

Leave a comment