প্রিয় পাঠক আজকের পর্বে BA Education / Class 11 Education এর একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন আজকে আলোচনা করতে চলেছি। প্রশ্নটি হল-বুনিয়াদি শিক্ষার বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো |
Class 11 Education/ BA Education honours/ BA Education General এর যেসব ছাত্র ছাত্রী, যারা BA Education Semester-1 এর notes খুঁজছ তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ন। Education এর যেসব ছাত্র ছাত্রী রয়েছ তাদের উপকারে এলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে।
বুনিয়াদি শিক্ষার বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো |
Discuss The Characteristics Of Basic Education |
বুনিয়াদি শিক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলি হলঃ
গান্ধিজি প্রবর্তিত নৈতালিম বা বুনিয়াদি শিক্ষা পরিকল্পনার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল –
(i) অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থাঃ
গান্ধিজি বুনিয়াদি শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করার কথা বলেছিলেন। যাতে ৭–১৪ বছর বয়সে সকল শিশু শিক্ষার সমান অধিকার পায়।
(ii) আঞ্চলিক ভাষার গুরুত্বঃ
বুনিয়াদি শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষাকে গ্রহণ করার কথা গান্ধিজি বলেছেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন মাতৃভাষার মাধ্যমে শিশুর চিন্তাশক্তির বিকাশ হয়।
(iii) শিশুর সক্রিয়তা বৃদ্ধিঃ
বুনিয়াদি শিক্ষায় শিশুর সক্রিয়তার উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি খেলা ও হাতের কাজকে এই শিক্ষার কৌশল হিসাবে গ্রহণ করেছেন।
(iv) উৎপাদনমূলক কাজের প্রশিক্ষণঃ
গান্ধিজির বুনিয়াদি শিক্ষার উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষাকে সময় নির্ভর করে তোলা। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উৎপাদনমূলক কাজের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং সঙ্গে উৎপাদিত জিনিস বিক্রয় করে শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করবে।
(v) হস্তশিল্পের গুরুত্বঃ
বুনিয়াদি শিক্ষায় হস্তশিল্পকে শুধুমাত্র শিক্ষার অঙ্গ হিসাবে ব্যবহার করা হয়নি, শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে।
(vi) বিভিন্ন পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্তিঃ
বুনিয়াদি শিক্ষার পাঠ্যক্রমগুলি হল – হস্তশিল্প, গণিত, সমাজবিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান, সংগীত, শরীরচর্চা, গৃহস্থলির বিভিন্ন কাজ ইত্যাদি।
(vii) নৈতিক শিক্ষাঃ
বুনিয়াদি শিক্ষার আর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল শিক্ষাক্ষেত্রে অহিংসার নীতি।
(viii) সমাজসেবামূলক ক্রিয়াকলাপঃ
গান্ধিজির বুনিয়াদি শিক্ষার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে সমাজ সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ গড়ে তোলা।
প্রশ্ন উত্তর:
১. বুনিয়াদি শিক্ষাব্যবস্থা কি ?
উত্তরঃ গান্ধিজি ৭–১৪ বছর বয়সের সকল শিশুর জন্য যে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার কথা বলেছিলেন, তাকেই বুনিয়াদি শিক্ষা ব্যবস্থা বলা হয়।
২. বুনিয়াদি শিক্ষার জনক কে ?
উত্তরঃ বুনিয়াদি শিক্ষার জনক হলেন গান্ধীজি ।
৩. বুনিয়াদি শিক্ষার অপর নাম কি ?
উত্তরঃ বুনিয়াদি শিক্ষার অপর নাম নৈতালিম ।
৪. বুনিয়াদি শিক্ষাকে কেন নই তালিম বলা হয় ?
উত্তরঃ বুনিয়াদি শিক্ষা ব্যবস্থায় পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি গান্ধজি হস্তশিল্প, শরীরচর্চা, গৃহস্থলির বিভিন্ন কাজ ইত্যাদি বিষয়ই গুলির উপর জোর দিয়েছিলেন । গান্ধজি মনে করতেন জ্ঞান ও কাজ আলাদা কোন বিষয় নয়। তাই বিভিন্ন কাজের জন্য শিশুদের তালিম দেওয়া হত । তাই বুনিয়াদি শিক্ষাকে নইতালিম বলা হয় ।
৫. বুনিয়াদি শিক্ষার সুবিধা কি ?
উত্তরঃ বুনিয়াদি শিক্ষার সুবিধাগুলি হল- i) এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিশুরা ৭-১৪ বছর পর্যন্ত শিক্ষার অধিকার পায়।
ii) এই শিক্ষা ব্যবস্থায় সম্পূর্ণ অবৈতনিক।
iii) বুনিয়াদি শিক্ষায় শিশুর সক্রিয়তার উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন
- প্রকল্প প্রদ্ধতি কাকে বলে ও ধাপ গুলি কি কি
- পাঠক্রম কী | পাঠক্রমের নির্ধারক গুলি কি কি
- সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর প্রকারভেদ
- শিক্ষাক্ষেত্রে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর গুরুত্ব
- মুক্ত শৃঙ্খলা বলতে কী বোঝ।বিশৃঙ্খলার কারণ
- শিক্ষাকে সামাজিক প্রক্রিয়া বলা হয় কেন |