একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সেমিস্টার II- এর Unit -2: Nation and Nationalism এর অন্তর্ভুক্ত Meaning of Nation and Nationalism, Elements of Nationality, National Self- Determination , Tagore’s views of Nationalism . একাদশ শ্রেণী রাষ্টবিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় জাতি ও জাতীয়তাবাদ এই অধ্যায় থেকে Total 6 নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তাই আজ আমরা class 11 political science chapter 2 থেকে 2 নম্বরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নউত্তর আলোচনা করবো nationalism class 11 questions and answers .
WBCHSE class 11 political science ,-এর এই পর্বে আমাদের আলোচ্য বিষয়ঃ একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান জাতি ও জাতীয়তাবাদ প্রশ্ন উত্তর ।
আমরা সহজ ও সংশ্লিষ্ট ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্বরূপ বিষয়গুলি উপস্থাপন করে থাকি । যা তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে খুবই সহায়ক হবে ,বলেই আশা রাখি ।পরবর্তীতে একাদশ শ্রেণীর আরও অন্যান্য বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ সব NOTES পেতে darsanshika.comপেজটিতে অবশ্যই Visit করুন।
জাতি ও জাতীয়তাবাদ প্রশ্ন উত্তর
একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান সেমিস্টার 2 |
Marks-5
1. জাতীয়তাবাদের পক্ষে যুক্তি দাও ?
উত্তরঃ জাতীয়তাবাদ একটি রাজনৈতিক আদর্শ। এই আদর্শ পরাধীন মানুষকে প্রেরণা জোগায়। রাষ্ট্র বিজ্ঞানী লয়েট, জাতীয়তাবাদকে আধুনিক পৃথিবীর ধর্ম বলে অভিহিত করেছেন। জাতীয়তাবাদের সপক্ষে যুক্তি গুলি হল –
i) মুক্তি সংগ্রামে প্রেরণাঃ
জাতীয়তাবাদের মহান আদর্শকে বিভিন্ন দেশের জনগণের মুক্তি সংগ্রামের অন্যতম প্রেরণা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। বিংশ শতাব্দীতে জাতীয়তাবাদ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশগুলিকে উদবুদ্ধ করেছে।
ii) গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সহায়কঃ
জাতীয়তাবাদ একটি বৈপ্লবিক আদর্শ এবং জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম হল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে জাতীয়তাবাদ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।
iii) দেশ প্রেমের উৎসঃ
জাতীয়তাবাদ দেশপ্রেম জাগ্রত করে। দেশ ও জাতীয় স্বার্থে কর্তব্য পালনে এবং আত্মত্যাগে উদবুদ্ধ করে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অনেক পরাধীন দেশ জাতীয়তাবাদে উদবুদ্ধ হয়ে নিজেদের মুক্ত করেছিল।
iv) সম্প্রীতির প্রতীকঃ
জাতীয়তাবাদ হল সহযোগিতা ও সম্প্রীতির প্রতীক। “নিজে বাঁচো অপরকে বাঁচতে দাও ” – এই মূল মন্ত্রের দ্বারা বিভিন্ন জাতীয় মধ্যে পারস্পরিক সংঘাতের অবসান ঘটে। সহযোগিতা ও সম্প্রীতির সম্পর্ক গঠিত হয়।
v) স্বনির্ভরতাঃ
জাতীয়তাবাদ একটি জাতীকে স্বনির্ভর ও আত্ম সচেতন করে তোলে। একটি জাতি যদি স্ব – নির্ভর হয় তাহলে সেই জাতির সভ্যতা ও সংস্কৃতির উন্নতি ঘটে।
vi) আন্তর্জাতিকতার পরিপূরকঃ
জাতীয়তাবাদ কখনোই আন্তর্জাতিকতার বিরোধী নয়, পরস্পরের পরিপূরক। এ প্রসঙ্গে জিমান বলেছেন, “ন্যাশানালিজাম ইজদা হাইওয়ে টু ইন্টার ন্যাশানালিজাম।” অর্থাৎ, জাতীয়তাবাদের পথ ধরে আন্তর্জাতিকতায় পৌঁছানো যায়।
2. জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকারের সপক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তরঃ আত্মনিয়ন্ত্রনের অর্থ ‘স্ব- শাসনের অধিকার’। আত্মনিয়ন্ত্রনের তত্ত্বটি ‘এক জাতি এক রাষ্ট্র’ এই নীতির উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। উড্রো উইলসন এই নীতির প্রধান প্রবক্তা। পৃথক রাষ্ট্র গঠন করা না গেলেও বহুজাতিক সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জাতির আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার সম্ভব। জন স্টুয়ার্ট মিল, উড্রো উইলসন, রাসেল, লেলিন জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রনের সপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন, যুক্তিগুলি হল –
i) বিশ্বশান্তির সহায়কঃ
আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার বিশ্ব শান্তির সহায়ক। এর ফলে বিভিন্ন জাতির মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্বের অবসান ঘটবে, এবং বিশ্ব সভ্যতার বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পাবে।
ii) দেশ প্রেম জাগরণঃ
একটি রাষ্ট্রে কেবল একটি জাতি থাকলে অভ্যন্তরীণ বিবাদের সম্ভাবনা কম থাকে। এর ফলে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের দেশকে অধিক ভালবাসতে পারবে।
iii) ব্যক্তি স্বাধীনতার সহায়কঃ
এই অধিকার ব্যক্তি স্বাধীনতার সহায়ক কারণ একটি রাষ্ট্রে অনেকগুলি জাতি থাকলে একটি শক্তিশালী জাতি দুর্বল জাতিকে আক্রমণ করে এবং নিজের অধীনে আনার চেষ্টা করে। এর ফলে ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়। কিন্তু এক জাতি থাকলে এই সমস্যা থাকে না।
iv) নৈতিকতার বিকাশঃ
নৈতিকতার দিক থেকে জাতির আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকারকে সমর্থন করা হয়। বহুজাতিক রাষ্ট্রে মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকে বলে ন্যায় নীতিকে অমান্য করা হয়। কিন্তু এক জাতি থাকলে ন্যায় নীতি বজায় থাকে।
v) গণতন্ত্র সম্মতঃ
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মিল এর মতে, যেসব দেশে জাতীয়তাবাদী চেতনার বলিষ্ঠ প্রকাশ ঘটেছে সেখানে আত্মনিয়ন্ত্রনের আধিকার দেওয়া উচিত। মিলের মতে, বহুজাতিক রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অসম্ভব।
vi) জাতীয় গুণাবলীর বিকাশঃ
প্রতিটি জাতির নিজস্ব সংস্কৃতি, প্রতিভা, ঐতিহ্য, প্রভৃতি থাকে। একটি রাষ্ট্রে বহুজাতি থাকলে সংখ্যালঘু জাতিগুলির গুণাবলীর বিকাশ ঘটতে পারে না। এর ফলে জাতীয় অগ্রগতী ব্যাহত হয়।
3. রাষ্ট্র ও জাতির মধ্যে পার্থক্য কী ?
উত্তরঃ অনেক সময় রাষ্ট্র ও জাতি শব্দ দুটিকে সমার্থক শব্দ হিসাবে ব্যবহৃত করা হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর কয়েকটি সার্বভৌম রাষ্ট্র নিয়ে জাতি সংঘ গঠিত হয়েছিল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ গঠিত হয়। এই দুটি সংস্থাই জাতি ও রাষ্ট্র শব্দটিকে সমার্থক শব্দরূপে ব্যবহার করেছিল। তবে যখন ‘এক জাতি এক রাষ্ট্র’ তত্ত্বের আর্বিভাব হল তখন জাতি ও রাষ্ট্রের মধ্যে পার্থক্য গড়ে উঠল।
i) গঠনগত পার্থক্যঃ
জাতি গঠনের জন্য জনগোষ্ঠী, ভূখন্ড সরকার, সার্বভৌমিকতা প্রভৃতি কোনো উপাদানেরই প্রয়োজন হয় না। অপরদিকে, রাষ্ট্র গঠনের জন্য এই সকল উপাদানগুলো একান্ত প্রয়োজন।
ii) ধারণাগত পার্থক্যঃ
জাতি একটি ভাবগত ধারণা, মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। অপরদিকে, রাষ্ট্র একটি আইনগত ধারণা।
iii) সার্বভৌম ক্ষমতাঃ
জাতি প্রতিষ্ঠিত হয় জনগোষ্টি ঐক্যবদ্ধ চেতনা ও মানুষিকতা উপর ভিত্তি করে। এই জাতির সার্বভৌম ক্ষমতা বা চূড়ান্ত ক্ষমতা থাকে না। অপরদিকে একটি রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা থাকে। এই সার্বভৌম ক্ষমতা পরিচালনা করে সরকার।
iv) নির্দিষ্ট ভূ – খন্ডঃ
ভূ – খন্ডগত ঐক্যছাড়া জাতি গঠিত হয়। যেমন – ইহুদিরা নির্দিষ্ট ভূ – খন্ডে বসবাস করার আগেই ঐক্য বদ্ধ হয়েছিল। অপরদিকে, রাষ্ট্রের একটি নির্দিষ্ট ভূ – খন্ড থাকতে হবে।
সুতরাং জাতি ও রাষ্ট্রের মধ্যে পার্থক্য থাকার সত্ত্বেও দুটি তত্ত্বই একে অপরের পরিপূরক কারণ জাতিকে ভিত্তি করে যে রাষ্ট্র গড়ে ওঠে তা বিলুপ্ত হলেও জাতিটিকে থাকতে পারে। আবার, রাষ্ট্র গঠনের মধ্য দিয়ে জাতি পরিপূনর্তা লাভ করে।
4. জাতীয়তাবাদ কাকে বলে ? জাতীয়তাবাদের মূল বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ।
উত্তরঃ জাতীয়তাবাদ হল এক বিশেষ অনুভূতি, একটি ভাবগত মানষিক ধারণা চেতনার বহিঃপ্রকাশ এ প্রসঙ্গে লয়েড বলেছেন, “Nationalism is the Religion of the modern World”. জাতীয়তাবোধের সঙ্গে দেশপ্রেম যখন মিলিত হয় তখন জাতীয়তাবাদের সৃষ্টি হয়।
জাতীয়তাবাদের বৈশিষ্ট্য হলঃ
ক) জাতীয়তাবাদ নিজেদের মধ্যে গভীর ঐক্যবোধ সৃষ্টি করে।
খ) জাতীয়তাবাদ পরাধীন দেশের জনগোষ্ঠিকে একত্রিত করে জাতীয় সংহতি বোধের বিকাশ ঘটায়। জাতিগত অঞ্চলগত সম্প্রদায়গত ভেদাভেদ মুছে দেয়।
গ) জাতীয়তাবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা দেশের মুক্তি সংগ্রামে নিজেদের প্রান প্রতিষ্ঠা করে।
ঘ) জাতীয়তাবাদ একটি জাতিকে অন্যান্য জনসমাজ থেকে স্বতন্ত্র করে।
ঙ) ভিন্ন ভিন্ন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জাতীয়তাবাদ ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন – উপজাতীয়তাবাদ।
চ) জাতীয়তাবাদের ভিত্তি হল মানুষের স্বায়ত্ব শাসন প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা।
পরিশেষে বলা যায়, বিংশ শতাব্দীতে জাতীয়তাবাদ দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলেছিল। এবং এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রের পথ প্রশস্ত করে ছিল। তাই জাতীয়তাবাদ একটি জাতির স্বাধীনতার লড়াই। তবে বিক্রিত জাতীয়তাবাদ মানব সভ্যতার শত্রু।
5. জাতীয়তাবাদ থেকে আন্তর্জাতিকতাবাদকে কীভাবে পৃথক করা যায় ?
জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদের মধ্যে কোন বিরোধীতা নেই । রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জি.মার্ন বলেছেন , জাতীয়তাবাদের পথ ধরেই আন্তর্জাতিকতায় পৌছনো যায় । কিন্তু জাতীয়তাবাদ যখন উগ্রতায় পরিণত হয় তখনই জাতীয়তাবাদের সঙ্গে আন্তঃজাতিকতাবাদের বিরোধিতা দেখা যায় ।
জাতীয়তাবাদের ইতিহাস পাঠ করলে লক্ষ্য করা যায় যে , জাতীয়তাবাদের উদ্ভব হয়েছিল এক বিশেষ ঐতিহাসিক পরিস্থিতিতে । এবং একটি মতাদর্শ হিসেবে , ঊনবিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে দেখা যায় একটি সবল জাতি তার চেয়ে অনুন্নত ও দুর্বল জাতির উপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করে ।
আন্তর্জাতিকতাবাদের নামে পুঁজিবাদী মালিক শ্রেণী বুর্জুয়া শক্তির উপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠিতা করে । ইতিহাসে দেখা যায় হিটলার অনেক রাষ্ট্রের সার্বভৌমিকতা ও স্বাধীনতা হরণ করেছিল । এর নাম উগ্রজাতীয়তাবাদ এই ধরনের বিকৃত জাতীয়তাবাদী বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ ও অশান্তির জন্য দায়ী । তাই এটি আন্তর্জাতিকতাবাদের পথে বাধা। ইতিহাসে এর আরও উদাহরণ পাওয়া যায় । যেমন- ভিয়েতনামের উপর বোমা বিস্ফোরণ , চিলিতে হত্যা ইত্যাদি ।
মার্কসবাদীদের মতে , জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদের মধ্যে মিলন তখনই সম্ভব হবে, যখন বিভিন্ন দেশের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে । কারণ একমাত্র সর্বহারা শ্রেণীই প্রকৃত আন্তর্জাতিক শ্রেণী । পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য রাখলে দেখা যায় যে, পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বহারা শ্রেণীর স্বার্থ এক ও অভিন্ন । তাই সর্বহারা শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষিত হলে গড়ে ওঠে আন্তর্জাতিকতাবাদ । সুতরাং , সুস্থ আদর্শ ও বিশুদ্ধ জাতীয়তাবাদ কখনই আন্তর্জাতিকতাবাদের বিরোধী নয় ।
6. জাতীয়তাবাদের প্রধান উপাদানগুলি চিহ্নিত কর ।
যে সব উপাদানের দ্বারা একটি জনসমষ্টি জাতীয় জনসমাজে উন্নীত হয় । সেই ঐক্যের উপাদানগুলিকে জাতীয় জনসমাজের উপাদান বলে । এই উপাদানগুলিকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায় ।
(ক) বাহ্যিক উপাদানঃ
(i) ভৌগলিক ঐক্য
কোন একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে দীর্ঘকাল ধরে একসঙ্গে বসবাস করলে পারস্পরিক যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ হয় । একে অপরকে আপন করে ভাবতে শেখে । সুখ , দুঃখকে ভাগ করে নেওয়ার মানসিকতা গড়ে ওঠে ।এর ফলে নিজের মাতৃভূমিকে সকল মানুষ ভালবাসতে শেখে ।
(ii) ভাষাগত ঐক্য
ভাষা হল ভাব প্রকাশের মাধ্যম । ভাষার মাধ্যমেই মানুষ পরস্পরের সান্যিদ্ধে আসে । বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে নিয়ে যখন ঐক্য গড়ে ওঠে , তখনই সেই সমাজ জাতীয় জনসমাজে পরিণত হয় ।
(iii) ধর্ম
ধর্মগত ঐক্য জাতীয় সমাজ গঠনে এক অপরিহার্য উপাদান । লয়েডের মতে অভিন্ন ধর্মীয় মনোভাব জাতি গঠনে বিশেষ প্রয়োজন । আধুনিক পৃথিবীতে ধর্মকে কেন্দ্র করে অনেক পৃথক রাষ্ট্র গঠিত হয়েছে । যেমন- ভারতবর্ষকে ভাগ করে, ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তানের জন্ম হয়েছে ।
(iv) অর্থনৈতিক স্বার্থ
অর্থনৈতিক স্বার্থ এক ও অভিন্ন না হলে একটি জাতির বিভিন্ন অংশের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না । একই ভূখণ্ডে বসবাস করে এবং একই ভাষায় কথা বলে অথচ অর্থনৈতিক স্বার্থ ভিন্ন হলে একটি জনসমাজ জাতীয় জনসমাজ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে না।
(v) বংশগত ঐক্য
যখন কোন জনসমাজের অন্তর্গত প্রতিটি ব্যক্তি নিজেকে একই বংশের অন্তর্গত বলে মনে করে । তখন তাদের মধ্যে স্বজন প্রীতি গড়ে উঠে । “জার্মানরা খাঁটি আর্য রক্ত সম্ভূত “ বলা হিটলার জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সমর্থ হয়েছিল ।
(খ) ভাবগত উপাদানঃ
জাতীয় জনসমাজ গঠনের জন্য শুধুমাত্র বস্তুগত উপাদান যথেষ্ঠ নয় । ভাবগত উপাদেনের ও প্রয়োজন আছে । এই প্রসঙ্গে , ফরাসি অধ্যপক রেনার বলেছেন – জাতীয় জনসমাজ সম্পর্কে ধারণা মূলত ভাবগত । ভাবগত ঐক্য দুটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল । যথা –
(i) অতীতের স্মৃতি
এটি আত্ম পরিচয় গড়ে তুলতে সাহায্য করে । রবীন্দ্রনাথ একে বলেছেন – অতীতের গৌরবময় স্মৃতি ।
(ii) ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার আকাঙ্ক্ষা
প্রত্যেক জনসমাজের জনসমষ্টির মধ্যে ইতিহাস কৃষ্টি ও সংস্কৃতি থাকে । এইসব বৈশিষ্ট্যগুলি ভবিষ্যতের জন্য বাঁচিয়ে রাখার আকাঙ্ক্ষা যদি বর্তমান জনসমষ্টির মধ্যে থাকে তবেই তা জাতীয় জনসমাজে পরিণত হবে ।
Marks – 2
1. জাতি কী ?
উত্তরঃ ‘জাতি’ শব্দটি এসেছে ইংরেজি ‘Nation’ শব্দ থেকে। জাতি হল এমন একটি জন সমষ্টি যারা একই ভাষা, একই সংস্কৃতি, একই ঐহিত্য বহন করে। জাতির মধ্যে থাকে জাতীয় জনসমাজ এবং জাতীয়তাবোধ।
2. জাতিয়তাবাদ বলতে কী বোঝ ?
উত্তরঃ জাতীয়তাবাদ বলতে বোঝায় জাতির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও গভীর একাত্ম বোধ। জাতীয়তা বোধের সঙ্গে যখন দেশ প্রেমে মিলিত হয় তখন যে রাজনৈতিক আদর্শ গড়ে ওঠে তাকে জাতীয়তাবাদ বলা হয়।
3. জনসমাজ বলতে কী বোঝো।
উত্তরঃ জনসমাজ হল সেই জনসমষ্টি যারা একই একই ভূ – খন্ডে বসবাস করে এবং যাদের ভাষা, ধর্ম, আচার – আচরণ, ঐতিহ্য, ইতিহাস একই ধরনের হয়।
4. জাতীয় জনসমাজের উপাদান গুলি কী কী ?
উত্তরঃ জাতীয় জনসমাজের উপাদান গুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –
- বাহ্যিক উপাদান ভৌগোলিক ঐক্য, বংশ, ভাষা, ধর্ম, রাষ্ট্রীয় সংগঠন ও অর্থনৈতিক স্বার্থ।
- ভাবগত উপাদান – এটি হল একটি মানুষিক অবস্থা। অতিতের স্মৃতি ও ঐতিহ্যের অনুভূতি।
5. লর্ড ব্রাইসকে অনুসরণ করে জাতীয় জনসমাজের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ জাতীয় জনসমাজের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে লর্ডব্রাইস বলেছেন জাতীয় জনসমাজ হল ভাষা, সাহিত্য, ধ্যান – ধারণা, আচার – আচরণ ও ঐতিহ্যের বন্ধনে আবদ্ধ একটি ঐক্যবদ্ধ জনসমাজের
6. জাতি বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ তার ‘Nation’ প্রবন্ধে জাতি বলতে বুঝিয়েছেন একটি সজীব সত্ত্বা, একটি মানস পদার্থকে।
7. জাতি ও রাষ্ট্রের দুটি পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ জাতি ও রাষ্ট্রের দুটি পার্থক্য হল –
- রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, এর কোনো মনসতাত্ত্বিক দিক থাকে না। অপরদিকে, জাতি একটি সাংস্কৃতিক সত্ত্বা, এর মনসতাত্ত্বিক দিক আছে।
- রাষ্ট্রের ক্ষমতা সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়, কিন্তু জাতির ক্ষেত্রে এরূপ কোনো মাধ্যম নেই। কারণ কোনো রাষ্ট্রের জনগণ যখন একাত্ব অনুভব করে তখনই তা জাতিতে পরিণত হয়।
8. জাতীয়তাবাদের সপক্ষে দুটি যুক্তি দাও।
উত্তরঃ জাতীয়তাবাদের সপক্ষে যুক্তি-
i) জাতীয়তাবাদের আদর্শ সমগ্র জাতির সদস্যদের মধ্যে ঐক্য, সংহতি, মূল্যবোধ প্রভৃতি চেতনার বিকাশ ঘটায়।
ii) জাতীয়তাবাদ একটি বৈপ্লবিক আদর্শ। যে আদর্শের ভিত্তিকে একটি জাতি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
9. জাতীয়তাবাদের বিপক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তরঃ জাতীয়তাবাদের বিপক্ষে যুক্তি-
- জাতীয়তাবাদ একটি রাষ্ট্রের মধ্যে জাতিগত, বর্ণগত, এবং ধর্মীয় ভেদাভেদ বাড়িয়ে সমাজকে সংকীর্ণ ও দ্বন্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
- জাতীয়তাবাদ যখন উগ্রতার পরিণত হয় তখন তা সাম্রাজ্যবাদী মানষিকতার সৃষ্টি করে। একটি সবল জাতি দুর্বল ও অনুন্নত জাতীয় উপর শোষণ করতে থাকে ও স্বাধীনতা অপহরণ করে।
10. আত্ম নিয়ন্ত্রনের অধিকার বলতে কী বোঝো।
উত্তরঃ যখন কোনো আত্ম সচেতন জাতি নিজেদের পৃথক সত্ত্বা ও জাতীয় বৈশিষ্ট্য রক্ষার জন্য একটি নিজস্ব রাষ্ট্রীয় কাঠামোর নিজেদের রাজনৈতিক ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করে তখন তাকে আত্ম নিয়ন্ত্রনের অধিকার বলে। অর্থাৎ, একটি জাতি নিজস্ব পছন্দ ও নিজস্ব আকাঙ্গা অনুযায়ী শাসন করার দাবী জানায় তখন তাকে আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার বলে।
11. আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকারের বিপক্ষে দুটি যুক্তি দাও।
উত্তরঃ আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকারের বিপক্ষে যুক্তি
1. একটি রাষ্ট্রের মধ্যে জাতিগত স্বতন্ত্রতা, বিভাজন বিচ্ছিন্নতার সৃষ্টি করে। এর ফলে জাতীয় সংহতি দুর্বল হয়ে পড়ে।
2. জাতির আত্মনিয়ন্ত্রনের দ্বারা বহু জাতির শান্তিপূর্ন সহাবস্তান সম্ভব হয় না। এর ফলে পারস্পরিক বিরোধ ও সংঘর্ষ দেখা দেয়।
12. আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকারের সপক্ষে দুটি যুক্তি দাও।
উত্তরঃ আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকারের সপক্ষে যুক্তি-
- আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার রাষ্ট্রকে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়। এবং এই সরকার গঠনের অধিকার গণতান্ত্রিক।
- প্রত্যেকটি জাতির নিজস্ব রাষ্ট্র ও নিজস্ব সরকার থাকলে সেই জাতির সভ্যতা, সংস্কৃতি স্বাভাবিক ভাবেই উন্নতি লাভ করবে।
13. জাতি ও জাতীয় জনসমাজের মধ্যে পার্থক্য কী ?
উত্তরঃ জাতি ও জাতীয় জনসমাজের মধ্যে পার্থক্য-
- জাতি হল একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের অন্তর্গত একটি জাতি সমাজ। অপরদিকে, জাতীয় জনসমাজ হল একটি মানুষিক ধারণা। প্রকৃতপক্ষে, রাজনৈতিক চেতনার গভীরতা একটি জাতিকে জাতীয় জন সমাজে পরিণত করে।
- জাতির ধারণাটি সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক অপরদিকে জাতীয় জনসমাজের ধারণাটি মূলত সাংস্কৃতিক।
14. জাতির আত্মনিন্ত্রনের প্রবর্তক দুজন প্রবক্তার নাম লেখো।
উত্তরঃ জন স্টুয়ার্ট মিল, উইড্রো উইলসন এরা জাতির আত্মনিয়ন্ত্রনের সমর্থন করেছেন।
15. আন্তঃজাতিকতাবাদের দুজন প্রবক্তার নাম লেখ।
উত্তরঃ আন্তঃজাতিকতাবাদের দুজন প্রবক্তার ওপেন হাইম, গোল্ড স্মিথ।
16. জনসমাজ ও জাতির মধ্যে পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ জনসমাজ ও জাতির মধ্যে পার্থক্য
- জনসমাজের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক চেতনা থাকে না। কিন্তু জাতির মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা থাকে।
- জনসমাজের দুটি সূত্র হল ঐক্যবদ্ধ জনসমষ্টি ও রাজনৈতিক চেতনা। অপরদিকে, জাতির সূত্রটি হল জাতীয় জনসমাজ ও জাতীয়তা বোধ।
17. আত্মনিয়ন্ত্রণ বলতে লেলিন কী বোঝাতে চেয়েছেন।
উত্তরঃ লেলিনের মতে, আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার হল শ্রেণীহীন সমাজ গঠনের পদক্ষেপ । তিনি বলেছেন সর্বহারা শ্রেণীর আন্তজাতিকতাবাদের সঙ্গে সংগতি রেখে জাতির আত্মনিয়ন্ত্রনের প্রশ্নটিকে সর্বহারা শ্রেণীর শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামের হাতিয়ার হিসেবে দেখেছেন।
18. একজাতি, এক রাষ্ট্র বলতে কী বোঝো।
উত্তরঃ একজাতি, এক রাষ্ট্র এই তত্ত্ব অনুসারে প্রতিটি রাষ্ট্র হবে জাতি ভিত্তিক। এবং এক একটি জাতিকে নিয়ে গঠিত হবে এক – একটি রাষ্ট্রে। প্রতিটি জাতীয় জনসমাজ নিজস্ব সত্ত্বা ও জাতীয় বৈশিষ্ট্য রক্ষার স্বার্থে যখন স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠনের দাবী জানায় তখন তাকে আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার বলে এবং এই তত্ত্বটি প্রতিষ্ঠা হয় এক জাতি এক রাষ্ট্র এই নীতির দ্বারা ।
19. জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন ছিল।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাতীয়তাবাদকে মানবতার বিপরীত প্রান্তে দাঁড় করিয়ে এক অভিনব দৃষ্টিভঙ্গি গঠন করে ছিলেন। তাঁর মতে, জাতীয়তাবাদ হল একটি সংকীর্ন ধারণা। কারণ কোনো কোনো সময়ে তা মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে। মানবতা যেমন সমগ্র পৃথিবীকে আপন করে নিতে শেখায় সেখানে জাতীয়তাবাদ মানব মনে বিভেদ সৃষ্টি করে।
20. জাতি গঠনের দুটি উপাদান কী কী ?
উত্তরঃ জাতি গঠনের উপাদানগুলি হল – i. জাতিগত ঐক্য ii. ধর্মীয় ঐক্য।
21. জাতীয়তাবাদ কয় প্রকার ও কী কী ?
উত্তরঃ জাতীয়তাবাদ দুই প্রকার। যথা – i. আদর্শ জাতীয়তাবাদ ii. বিকৃত জাতীয়তাবাদ।
আদর্শ জাতীয়তাবাদ হল একটি ঐক্যবদ্ধ চেতনা অপরদিকে, বিকৃত জাতীয়তাবাদ হল সংকীর্ন চেতনা।
22. স্তালিন প্রবর্তিত জাতির সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ স্তালিন -এর মতে, জাতি হল ভাষাগত ঐক্য। ভৌগোলিক সান্নিদ্ধ, সমান অর্থনৈতিক অবস্থা এবং সাংস্কৃতিক ঐক্যের ভিত্তিতে গঠিত এবং ঐতিহাসিক বিবর্তনের মধ্য দিয়ে গঠিত এক স্থায়ী সমাজ।
23. ভারত কী একটি জাতি ?
উত্তরঃ ভারতকে জাতি বলা যায় না। কারণ ভারত হল একটি রাষ্ট্র। যেহেতু রাষ্ট্র গঠনের সমস্ত উপাদান, যেমন – নির্দিষ্ট ভূখন্ড, সরকার জনগণ ও সার্বভৌমত্ব প্রভৃতি রাষ্ট্রের গুণগুলো ভারতবর্ষে আছে।
24. “জাতীয়তাবাদ হল আন্তজার্তিকতার সংকট “ – উক্তিটি কার ? আন্তজার্তিক শক্তিকে কাপুরুষের স্বপ্ন কে বলেছেন ?
উত্তরঃ “জাতীয়তাবাদ হল আন্তজার্তিকতার সংকট “–এটি কার্ল মাক্স বলেছেন ।
“আন্তজার্তিক শক্তিকে কাপুরুষের স্বপ্ন “- বলেছেন মুসোলিনি।
25. বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা গ্রন্থটির লেখক কে ?
উত্তরঃ বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা গ্রন্থটির লেখক হলেন – সৌরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়।
26. ন্যাশানালিজাম গ্রন্থটির লেখক কে ?
উত্তরঃ ন্যাশানালিজাম গ্রন্থটির লেখক হলেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
27. নিজে বাঁচো অপরকে বাঁচতে দাও – এই নীতির মূল বক্তব্য কী ?
উত্তরঃ “নিজে বাঁচো অপরকে বাঁচতে দাও” –এই নীতিটি একটি আদর্শ জাতীয়তাবাদের নীতি। বিভিন্ন জাতির মধ্যে সংঘাতের পরিবর্তে সহযোগিতার সম্পর্ক গোরে তোলাই হল এই নীতির মূল বক্তব্য।
28. জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদ পরস্পর বিরোধী এই ধার নার দুজন সমর্থকের নাম লেখো।
উত্তরঃ জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদ পরস্পর বিরোধী এই ধার নার দুজন সমর্থক হলেন -মাৎসিনি, রাসেল, জিমার।
29. জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদ পরস্পর পরিপন্থী- এই ধারনার দুজন সমর্থকের নাম লেখো।
উত্তরঃ জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদ পরস্পর পরিপন্থী- এই ধারণার দুজন সমর্থক হলেন – অধ্যাপক ল্যাসকি, অধ্যাপক গার্নার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
30. জাতীয় জনসমাজ কাকে বলে ?
উত্তরঃ জনসমাজ থেকেই সৃষ্টি হয় জাতীয় জনসমাজ। একটি জনসমাজ যখন রাজনৈতিক চেতনায় উদবুদ্ধ হয়ে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে তখন তাকে জাতীয় জনসমাজ বলে।
31. জাতীয়তাবাদ বহু একটি নয় ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ জাতীয়তাবাদ ইতিহাসের পরিবর্তনের সাথে সাথে বহু রূপ ধারণ করেছে। যেমন – মানবধর্মী জাতীয়তাবাদ, উদার নৈতিক জাতীয়তাবাদ, ফ্যাসিবাদী জাতীয়তাবাদ, বামপন্থী জাতীয়তাবাদ, গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদ ও তৃতীয় বিশ্বের জাতীয়তাবাদ। জাতীয়তাবাদের পরিবর্তনের এই ইতিহাস থেকে বলা যায় জাতীয়তাবাদ এক নয় বহু।
Thanks For Reading : জাতি ও জাতীয়তাবাদ প্রশ্ন ও উত্তর একাদশ শ্রেণি সেমিস্টার 2 |
Read More Subject:
- একাদশ শ্রেনীর সংস্কৃত সেমিস্টার ২
- একাদশ শ্রেনীর ইতিহাস সেমিস্টার ২
- একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টারের বাংলা
- একাদশ শ্রেণির এডুকেশন সেমিস্টার ২
- একাদশ শ্রেণির দর্শন দ্বিতীয় সেমিস্টার প্রশ্ন উত্তর