গল্পসাহিত্যে পণ্ডিত নারায়ণ শর্মার ভূমিকা

সংস্কৃত গল্পসাহিত্যে পণ্ডিত নারায়ণ শর্মার অপরিসীম ।  আজ এই পর্বে আমরা গল্পসাহিত্যে পণ্ডিত নারায়ণ শর্মার ভূমিকা আলোচনা  করতে চলেছি ।

আশা রাখি , আমাদের এই উপস্থাপনা B.A Sanskrit –এর ছাত্রছাত্রীদের এবং WBBSC class -11 এর ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে খুবই উপযোগী হতে চলেছে।

গল্পসাহিত্যে পণ্ডিত নারায়ণ শর্মার ভূমিকা আলোচনা করো |

গল্পসাহিত্যে পণ্ডিত নারায়ণ শর্মার ভূমিকা আলোচনা করো |

গল্পসাহিত্যে পণ্ডিত নারায়ণ শর্মার ভূমিকা আলোচনা করো |

গল্পসাহিত্যের ইতিহাসে এখনও যাদের নাম মানুষের মন মন্দিরের সুপ্রতিষ্ঠিত, তাদের মধ্যে উল্লেখ্য হলেন পণ্ডিত নারায়ণ শর্মা। পঞ্চতন্ত্রের অনুসরণে ‘হিতোপদেশ’ তাঁরই এক উল্লেখযোগ্য লেখনি। পন্ডিত নারায়ণ শর্মা, রাজা ধব্বল চন্দ্রের সভাকবি ছিলেন। গ্রন্থের শেষে লেখক আত্ম পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন –

“শ্রীমান ধবল চন্দ্রো ইসৌ জিয়াৎ মান্তলিকা রিপুন্‌। 

মেনায়ং সংগ্রহো যত্নাৎ লেখয়িত্বা প্রচারিত।। ”

কিন্তু এই অংশটুকুতে লেখকের আত্ম পরিচয় সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। আর একটি শ্লোকে দেখা যায় –

“মিত্রলাভঃ সুহৃদ্ভেদ বিগ্রহঃ সম্বিরেব চ 

      পঞ্চতন্ত্রাৎ তথান্যস্মাদ্‌ প্রস্থানাদাকৃষ্য লিখ্যতে। ”    

তবে এতেও লেখকের আত্মজীবনী সম্পর্কে কিছুই লেখা নেই। তবে পন্ডিতেরা মনে করেন যে, ইনি মাঘ পরবর্তী কবি। বিভিন্ন গবেষণা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর পন্ডিতেরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, পন্ডিত নারায়ণ শর্মা সম্ভবত নবম অথবা দশম শতাব্দীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর গ্রন্থে রাজনীতি, অর্থনীতি, এবং সমাজনীতি যেভাবে পরিবেশিত হয়েছে সেই নিরিখে তাঁকে মধ্যযুগেরই কবি বলে ধরা যেতে পারে। যাই হোক, তাঁর রচিত ‘বীরবরোপাখ্যানম’ এক বিংশ শতাব্দীতেও সমান জনপ্রিয়। সুতরাং নারায়ণ শর্মা যে একজন কালজয়ী লেখক, একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।


প্রশ্ন উত্তরঃ

১. পন্ডিত নারায়ণ শর্মা কে ছিলেন ?

উত্তরঃ পন্ডিত নারায়ণ শর্মা, রাজা ধব্বল চন্দ্রের সভাকবি ছিলেন।

২. পন্ডিত নারায়ণ শর্মার উল্লেখযোগ্য রচনা কোনটি ? 

উত্তরঃ পন্ডিত নারায়ণ শর্মার উল্লেখযোগ্য রচনা ‘হিতোপদেশ’ ।


 

আরো পড়ুন – 


 

Leave a comment