একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষাবিজ্ঞান নতুন সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় , শিক্ষাক্ষেত্রে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদানগুলি আলোচনা করো । ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর একজন বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক , এবং বাংলা গদ্যের জগতের এক পরিচিত নাম । ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়। বাংলার প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদান অপরিসীম।
আজ WBCHSE Class 11-এর Education নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চলেছি , এই থেকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি আলোচনা করবো, তা হল- প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো ।
আমরা সহজ ও সংশ্লিষ্ট ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্বরূপ বিষয়গুলি উপস্থাপন করে থাকি । যা তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে খুবই সহায়ক হবে ,বলেই আশা রাখি । পরবর্তীতে একাদশ শ্রেণীর আরও অন্যান্য বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ সব NOTES পেতে darsanshika.com পেজটিতে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে ।
প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো।
প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদানঃ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির দৈন দশা দূর করার জন্য তৎকালীন বড়োলাট লর্ড ডালহৌসির কাছে যে প্রতিবেদন পেশ করেছিলেন তার সুপারিশ গুলি হল –
(i) শিক্ষার মাধ্যমঃ
স্কুলগুলিতে মাতৃভাষার মাধ্যমে পাঠদানের কথা বলা হয়। সমাজের সর্বস্তরে শিক্ষার আলো পৌঁছানোর জন্য তিনি মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষাদানের সুপারিশ পেশ করেন।
(ii) পাঠ্যসূচীঃ
প্রারম্ভিক লেখাপড়া ও গাণিতিক হিসাব, ভূগোল, ইতিহাস,পাটিগণিত, জ্যামিতি, প্রকৃতি বিজ্ঞান, নীতিবিজ্ঞান, শরীরতত্ত্ব, রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত হবে।
(iii) মডেল স্কুলঃ
বিদ্যাসাগর তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মডেল স্কুল পরিচালনা করেন। প্রত্যেক স্কুলে একজন প্রধান পন্ডিত ও দুজন সহকারী পন্ডিত থাকবেন।
আরোও পড়ুনঃ
- Related Post:
- স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা দর্শন সম্পর্কে আলোচনা করো |Class 11 Education
- শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজা রামমোহন রায়ের অবদান আলোচনা করো | Class 11 Education
- শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারে বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো | Class 11 Education
(iv) পরিদর্শন ব্যবস্থাঃ
পরিদর্শন ব্যবস্থা দুটি করে জেলা একজন পরিদর্শকের অধীনে থাকবে। তিনি ১৮৫৫ সালে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন এই সহকারী স্কুল পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
(v) প্রশাসন ব্যবস্থাঃ
বিদ্যালয়গুলির প্রশাসনের উদ্দেশ্যে সার্কেল প্রথা চালু হয়।বিদ্যাসাগর দক্ষিণ বাংলার সার্কেলের পরিদর্শকের নিযুক্ত হন ।
(vi) পাঠ্যপুস্তকঃ
প্রাথমিক শিক্ষার উপযোগী বহুপুস্তক তিনি রচনা করেন। তাঁর রচিত বর্ণ পরিচয়-প্রথমভাগ, দ্বিতীয় ভাগের মধ্যে দিয়েই শিশুর শিক্ষার সাথে পরিচয় ঘটে । এছাড়াও তিনি প্রাথমিক শিক্ষার উন্নতির জন্য ঋজুপাঠ-প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ভাগ , ব্যাকরণ কৌমুদি , কথামালা , প্রভৃতি পুস্তক রচনা করেন ।
(vii) শিক্ষক শিক্ষণঃ
শিক্ষক শিক্ষণের জন্য নরম্যাল স্কুল স্থাপনের কথা বলা হয়।ছাত্র জীবন শেষ করে বিদ্যাসাগর ১৮৪১ খ্রীঃ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে প্রধান পন্ডিত হিসাবে নিযুক্ত হন। এই কলেজে অধ্যাপক থাকাকালীন তিনি উদার ও সংস্কৃতি পরায়ণ ইংরেজদের সান্নিধ্যে আসেন।
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন এবং কলেজের বিভিন্ন সংস্কার মূলক কাজে নিজেকে নিযুক্ত করেন। যেমন – সহজ সরল বিজ্ঞানের সাহায্যে সংস্কৃতির উন্নতি এবং প্রাচীন জ্ঞানের সাথে আধুনিক জ্ঞানের সমন্বয়।
একাদশ শ্রেণীর অন্যান্য আরো বিষয় পড়ুনঃ
- একাদশ শ্রেণী বাংলা | নুন কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর |
- একাদশ শ্রেণী বাংলা | তেলেনাপোতা আবিষ্কার বড় প্রশ্নউত্তর |
- দানবীর কর্ণ | একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত |Sanskrit class 11
- দানবীর কর্ণ পাঠ্যাংশের 2 নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর | Sanskrit class 11
- একাদশ শ্রেণী দর্শন | যুক্তি বিজ্ঞানের প্রকৃতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর ।
- একাদশ শ্রেণী দর্শন | বচন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর |
প্রশ্নউত্তরঃ
১. কত খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ স্থাপিত হয় ?
উত্তরঃ ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ স্থাপিত হয় ।
২. কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কেন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ?
উত্তরঃ ব্রিটিশ আধিকারিকদের দেশীয় ভাষায় শিক্ষিত করে তোলার উদ্দেশ্যে, বাংলা, সংস্কৃত, ও হিন্দির মতো ভাষার প্রশিক্ষণের জন্য ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ স্থাপন করা হয় । ১৮৪১ থেকে ১৮৪৬ সাল পর্যন্ত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের হেড পণ্ডিত ছিলেন।
৩. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কে প্রতিষ্ঠা করে ?
উত্তরঃ তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।