একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টারের নতুন সিলেবাস অনুযায়ী সংস্কৃতের পদ্যাংশের অন্তর্গত হল- ঋতুচর্যা চরক সংহিতা। আজকের এই পর্বে একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত-এর সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে, অত্যন্ত সহজ সরল্ভাবে বাংলা হরফে ও বাংলা ভাষায়, ঋতুচর্যা চরক সংহিতার বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়েছে । শব্দার্থ, ও বঙ্গানুবাদ সহ সমস্ত বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উপস্থাপন করা হল।
Class 11 –এর ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে আজকের এই উপস্থাপনার আলোচ্য বিষয়- একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত | ঋতুচর্যা চরক সংহিতা ।
একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত | ঋতুচর্যা চরক সংহিতা
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কী
তপস্যা, উপবাস, ব্রহ্মচর্য, ব্রত দীর্ঘায়ু লাভের পথে পাথেয় স্বরূপ। রোগ, ব্যাথি নিরাময়ের উপায় অনুসন্ধানের ফলশ্রুতি হল আয়ুর্বেদ। ‘আয়ু’ শব্দের অর্থ হল জীবন এবং বেদ শব্দের অর্থ হল জ্ঞান। তাই আয়ুর্বেদ শব্দের অর্থ হল এমন জ্ঞান বা বিদ্যা যায় মাধ্যমে মানুষের আয়ু সম্পর্কে জানতে পারা যায়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের মাধ্যমে জানা যায় যে, কীভাবে মানুষ জীবন যাপন করলে সে সুস্থ দেহের অধিকারী হয়ে দীর্ঘজীবি হবেন।
উৎস
ভারতবর্ষে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সমৃদ্ধ আয়ুর্বেদ গ্রন্থে হল ‘চরক সংহিতা’। ‘চরক সংহিতার’ রচয়িতা কে তা নিয়ে পন্ডিত মহলে বিতর্ক রয়েছে। তবে বর্তমানে চরক সংহিতার যে গ্রন্থটি পাওয়া যায় তার প্রকৃত রচয়িতা হলেন ঋষি আত্রেয়ের শিষ্য অগ্নিবেশ। মহর্ষি অগ্নিবেশের রচিত এবং মহর্ষি চরক-এর প্রতি-সংস্কৃত ‘চরকসংহিতা’ থেকে ঋতুচর্যা কবিতাটি গ্রহিত । গ্রন্থটিতে রয়েছে আটটি স্থান, তার মধ্যে প্রথম স্থানটি হল সূত্রস্থান। এই সূত্রস্থানের ‘তস্যাশিতীয়ঃ’ নামক ষষ্ঠ অধ্যায় থেকে ‘ঋতুচর্যা’ নামাঙ্কিত অংশটি সংকলিত হয়েছে।চরক সংহিতার 8 টি স্থান ও 120 টি অধ্যায় আছে। আটটি স্থান হল –
১. সূত্রস্থান
এতে আয়ুর্বেদে শারীরিক ,মানসিক, দোষগুলির বিবরণ, খনিজ ও উদ্ভিজ দ্রব্য গুলি রোগ নিরাময়ের জন্য প্রয়োগ পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে।২.
২. নিদানস্থান
এতে বিভিন্ন রোগের প্রকারভেদ পর্যায় ও লক্ষণ আলোচিত হয়েছে।
৩. বিমানস্থান
এতে বিভিন্ন রোগে, বিভিন্ন উদ্ভিদে মূলের ভূমিকা আলোচিত হয়েছে।
৪. শরীরস্থান
এতে মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গে বিবরণ ও বৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে।
৫. ইন্দ্রিয়স্থান
এতে রোগের কারণ হিসাবে বিভিন্ন ইন্দ্রিয়ের ভূমিকা আলোচিত হয়েছে।
৬. চিকিৎসাস্থান
এতে বিভিন্ন রোগের কারণ ও তার প্রতিকার করা হয়েছে।
৭. কল্পস্থান
এতে দ্রব্য পুনবিচার করে গাছ থেকে ঔষধ তৈরির পদ্ধতি আলোচিত হয়েছে।
৮. সিদ্ধিস্থান
এতে দ্রব্যের সেব্য ও বিচার করা হয়েছে।
আচার্য চরক চিকিৎসক শস্ত্রের অনুস্মরণীয় নৈতিক আদর্শের যে মানদন্ড নির্ণয় করেছেন তা সর্বদেশে ও সর্বকালে শ্রদ্ধ্যার সঙ্গে পালনীয়।
ঋতুচর্যা শ্লোক অর্থ
হেমন্ত ঋতু
गोरसानिध्रुविकृतीर्वसां तैलं नवौदनम्।
हेमन्तेऽभ्यस्यतस्तोयमुष्णं चायुर्न हीयते ।।१।।
গোরসানিক্ষুবিকৃতীর্বসাং তৈলং নবৌদনম্।
হেমন্তেৎভ্যস্যতস্তোয়মুরং চায়ুর্ন হীয়তে ।।১।।
প্রথম শ্লোকের শব্দার্থ
- গোরসান্- দুগ্ধাদি গব্যরস
- ইক্ষুবিকৃতীঃ- আখের রস থেকে উৎপন্ন গুড়, চিনি
- বসাম্-ঘি
- তৈলম্ -তেল
- নব- নতুন
- ওদনম্ -চাল
- হেমন্তে -হেমন্ত কালে
- অভ্যস্যতঃ- যে ব্যক্তি আভাস করে
- তোয়ম্-জল
- উল্লম্ – গরম
- আয়ুঃ- জীবনকাল
- হীয়তে-ক্ষয়ং হয় না
বঙ্গানুবাদ
হেমন্তকালে দুধ, দই, গুড়, ঘি, নতুন চালের ভাত এবং গরম জলপান করার অভ্যাস যারা করে তাদের আয়ু ক্ষয় হয় না।
वर्जयेदन्नपानानि चातलानि लघूनि च।
प्रवातं प्रमिताहारमुदमन्धं हिमागमे ।।२।।
বর্জয়েদন্ন পানানি বাতলানি হিন লঘুনি চ।
প্রবাতং প্রমিতাহারমুদমন্থং বর্ত হিমাগমে।। ২।।
দ্বিতীয় শ্লোকের শব্দার্থ
- বর্জয়েৎ -বর্জন করা উচিত
- অন্নপানানি – খাদ্য-পানীয়সমূহ
- বাতলানি – বাত রোগ উৎপন্ন করতে পারে
- লঘুনি -হালকা খাদ্য
- প্রবাতম্-তাজা হাওয়া
- প্রমিতাহারম্- অল্প খাবার
- উদদমন্থং- জলে গোলা ছাতু
- হিমাগমে – শীতের আগমনে
- বর্ত- ত্যাগ করা উচিত
বঙ্গানুবাদ
শীতের আগমনে বাত রোগ উৎপন্ন করতে পারে, হালকা খাদ্য-পানীয়সমূহ, তাজা হাওয়া, অল্প খাবার এবং জলে গোলা ছাতু বর্জন করা দরকার।
শিশির ঋতু
हेमन्तशिशिरी तुल्यौ शिशिरेऽयं विशेषणम्।
रौक्ष्यमादानजं शीतं मेघमारुतवर्षजम् ।। ३ ।।
হেমন্তশিশিরৌ তুল্যৌ শিশিরেহল্পং বিশেষণম্।
রৌক্ষ্যমাদানজং শীতং মেঘমারূতবর্ষজম্।।৩।।
তৃতীয় শ্লোকের শব্দার্থ
- হেমন্তশিশিরৌ- হেমন্ত ও শীতকালে
- তুল্যৌ -সমান
- শিশিরে- শীতকালে
- অল্পম্-অল্প
- বিশেষণম্- বিশেষ পার্থক্য
- রৌক্ষ্য – বুক্ষভাব
- মাদানজং – আদানকালে
- মেঘমারূতবর্ষজম্ – মেঘ , বায়ু ও বৃষ্টি
বঙ্গানুবাদ
হেমন্ত এবং শিশির ঋতু সমতুল্য হলেও শীত ঋতুর কিছু বিশেষ বিশিষ্টতা আছে। আদানকালের ফলে শীত কালে বুক্ষভাব বেশি হয় । হেমন্ত অপেক্ষা শীত কালে মেঘ , বায়ু ও বৃষ্টির প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
तस्माद्वैमन्तिकः सर्वः शिशिरे विधिरिष्यते।
निवातमुष्णं त्वधिकं शिशिरे गृहमाश्रयेत् ।।४।।
তস্মাদ্ধৈমস্তিকঃ সর্বঃ শিশিরে বিধিরিষ্যতে।
নিবাতমুয়ং ত্বধিকং শিশিরে গৃহমাশ্রয়েৎ।।৪।।
চতুর্থ শ্লোকের শব্দার্থ
- তস্মাৎ- তাই
- হৈমন্তিকঃ- হেমন্তকাল সম্পর্কিত
- সর্বঃ- সকল
- শিশিরে- শিশির
- বিধিঃ- নিয়ম
- ইষ্যতে- পালন করা উচিত
- নিবাতম্- বায়ুশূন্য
- অধিকম্- বেশি
- গৃহম্ – গৃহ
- আশ্রয়েৎ -আশ্রয় নেওয়া ভালো
বঙ্গানুবাদ
শিশির ঋতুতে হেমন্তকালের সকল বিধি পালন করা উচিত। কিন্তু শিশিরকালে (হেমন্তকালের থেকে) অধিক গরম এবং বায়ুশূন্য ঘরে আশ্রয় নেওয়া ভালো।
कटुतिक्तकषायाणि वातलानि लघुनि च।
वर्जयेदन्नपानानि शिशिरे शीतलानि च ।।५।।
কটূতিক্তকষায়াণি বাতলানি লঘুনি চ।
বর্জয়েদন্নপানানি শিশিরে শীতলানি চ ।।৫।।
পঞ্চম শ্লোকের শব্দার্থ
- কটুতিক্তকষায়াণি- ঝাল, তেতো ও কষা
- বাতলানি- বায়ুরোগ উৎপন্নকারী
- লঘুনি- হালকা
- বর্জয়ে- বর্জন করা উচিত
- অন্নপানানি- খাদ্য-পানীয়
- শিশিরে- শিশিরকালে
- শীতলানি- ঠান্ডা
বঙ্গানুবাদ
শিশিরকালে ঝাল, তেতো ও কষা জাতীয় খাদ্য , বায়ুরোগ উৎপন্ন করতে পারে এমন হালকা ও ঠান্ডা খাদ্য-পানীয়সমূহ বর্জন করা উচিত।
আরোও পড়ুন
- দানবীর কর্ণ নাট্যংশের শব্দার্থ ও বঙ্গানুবাদ | Sanskrit Class 11
- একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত | বৈদিক সাহিত্য | যজুর্বেদের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর
বসন্ত ঋতু
वसन्ते निचितः श्लेष्मा दिनकृद्भाभिरीरितः।
कायाग्निं बाधते रोगांस्ततः प्रकुरुते बहून् ।।६।।
বসন্তে নিচিতঃ শ্লেষ্মা দিনকৃস্তাভিরীরিতঃ।
কায়াগ্নিং বাধতে রোগাংস্ততঃ প্রকুরুতে বহুন্।।৬।।
ষষ্ট শ্লোকের শব্দার্থ
- বসন্তে- বসন্তকালে
- নিচিতঃ- বৃদ্ধিপ্রাপ্ত
- শ্লেষ্মা – কফ
- দিনকৃস্তাভিরীরিতঃ- সূর্যকিরণের দ্বারা প্রেরিত
- কায়াগ্নিম্- হজমশক্তি
- বাধত- বাধা দেয়
- রোগান্- রোগসমূহ
- প্রকুরুতে – উৎপন্ন করে
- বহুন্- অনেক
বঙ্গানুবাদ
হেমন্তকালে শরীরে সর্দি বা কফ জমে। কিন্তু বসন্তকাল এলে সূর্যের তাপে সর্দি বা কফ গলে গিয়ে হজম শক্তিকে বাধা দান করে, এর ফলে আমাদের অনেক রোগের সম্ভবনা দেখা দেয়।
तस्माद्वसन्ते कर्माणि वमनादीनि कारयेत्।
गुर्वम्लस्निग्धमधुरं दिवास्वप्नं च वर्जयेत् ।।७।।
তস্মাদ্বসন্তে কর্মাণি বমনাদীনি কারয়েৎ।
গুর্বম্নস্নিগ্ধমধুরং দিবাস্বপ্নং চ বর্জয়েৎ।।৭।।
সপ্তম শ্লোকের শব্দার্থ
- তস্মাদ্ – এই জন্য
- বসন্তে- বসন্ত কালে
- কর্মাণি- কাজ সকল
- বমনাদীনি- বমি ইত্যাদি
- কারয়েৎ- করাতে হবে
- গুর্বম্নস্নিগ্ধমধুরং – ভারী তেলযুক্ত মিষ্টি খাবার
- দিবাস্বপ্নং- দিনের বেলায় ঘুম
- বর্জয়েৎ – বর্জন করা উচিত
বঙ্গানুবাদ
এই জন্য বসন্ত কালে কফ কমানোর জন্য বমি ইত্যাদি কাজ করাতে হবে এবং ভারী, টকযুক্ত, তেলযুক্ত ,মিষ্টি খাবার ও দিনের বেলায় ঘুম ত্যাগ করতে হবে।
গ্রীষ্ম ঋতু
मयूखैर्जगतः स्नेहं ग्रीष्मे पेपीयते रविः।
स्वादु शीतं द्रवं स्निग्धमन्नपानं तदा हितम् ।।८।।
ময়ুখৈর্জগতঃ স্নেহং গ্রীষ্মে পেপীয়তে রবিঃ।
স্বাদু শীতং দ্রবং স্নিগ্ধমন্নপানং তদা হিতম্।।৮।।
অষ্টম শ্লোকের শব্দার্থ
- ময়ুখৈ- রবির কিরণের দ্বারা
- র্জগতঃ – জগত
- স্নেহং-রস পদার্থ
- পেপীয়তে- বারবার পান করে
- রবিঃ-সূর্য
- স্বাদু – সুস্বাদু
- শীতং – শীতল
- দ্রবম্- বস্তু
- স্নিগ্ধমন্ন- স্নিগ্ধ অর্থাৎ ঘি ও তরল জাতীয় খাদ্য-পানীয়
- তদা- তখন
- হিতম্- উপকার
বঙ্গানুবাদ
গ্রীষ্মকালে সূর্যের কিরণের দ্বারা জগতের রস শোষিত হয়। তখন সুস্বাদু , ঠান্ডা, স্নিগ্ধ অর্থাৎ ঘি ও তরল জাতীয় খাদ্য-পানীয় শরীরের পক্ষে খুবই হিতকর হয়।
घृतं पयः सशाल्यन्नं भजन् ग्रीष्मे न सीदति।
लवणाम्लकदृष्णानि व्यायामं च চ विवर्जयेत्.॥९॥
ঘৃতং পয়ঃ সশাল্যন্নং ভজন্ গ্রীষ্মে ন সীদতি।
লবণাম্নকটূয়ানি ব্যায়ামং বিবর্জয়েৎ।। 9 ।।
নবম শ্লোকের শব্দার্থ
- ঘৃতং- ঘি
- পয়ঃ- দুধ
- সশাল্যন্নং- শালি ধানের ভাত
- ভজন্- ভজন করলে
- গ্রীষ্মে- গ্রীষ্মকালে
- ন সীদতি – অসন্ন হয় না
- লবণাম্নকটূয়ানি- লবণ,টক,-কটু ( ঝাল)
- ব্যায়ামং- ব্যায়াম
- বিবর্জয়েৎ -বর্জন করা উচিত
বঙ্গানুবাদ
গ্রীষ্মকালে ঘি, দুধ এবং শালি ধানের ভাত যে ব্যক্তি ভজন করে সে ক্লান্ত হন না। গ্রীষ্মকালে লবণ-টক-কটু ( ঝাল)-গরম খাবারসমূহ এবং ব্যায়াম বর্জন করা উচিত।
বর্ষাঋতু
भूवाष्पान्मेघनिस्यन्दात् पाकादम्लाज्जलस्य च।
वर्षास्वग्निबले क्षीणे कुप्यन्ন पवनादयः ।।१०।।
ভুবাষ্পান্মেঘনিস্যন্দাৎ পাকাদম্লাজ্জলস্য চ ।
বর্ষাস্বগ্নিবলে ক্ষীণে কুপ্যন্তি পবনাদয় ।। 10 ।।
দশম শ্লোকের শব্দার্থ
- ভুবাষ্পাত- মাটি থেকে বাষ্প ওঠা
- মেঘনিস্যন্দাৎ- মেঘ বর্ষণের ফলে
- পাকাদি- পাক ক্রিয়া
- অম্লাজ্জলস্য- জলের অম্লতা
- বর্ষাস্বগ্নিবলে – বর্ষাকালে হজম শক্তি
- ক্ষীণে- দুর্বল হয়ে যায়
- কুপ্যন্তি- বেড়ে যায়
- পবনাদয়- বাত, পিত্ত ও কফ এই তিনটি দোষ
বঙ্গানুবাদ
বর্ষাকালে সূর্যের তাপে মাটি থেকে বাষ্প ওঠার, মেঘ বর্ষণের , পাকাদি কার্যসমূহের ফলে জলের অম্লতা বেড়ে যায়। হজম শক্তি কমে যাওয়ায় পবনাদি অর্থাৎ বাত, পিত্ত ও কফ-এই তিনটি দেখা দেয়।
व्यक्ताम्ललवणस्नेह वातवर्षाकुलेऽहनि ।
विशेषशीते भोक्तव्यं वर्षास्वनिलशान्तये ।। ११ ।।
ব্যক্তাঙ্গলবণস্নেহং বাতবর্ষাকুলেহহনি।
বিশেষশীতে ভোক্তব্যং বর্ষাস্বনিলশান্তয়ে।।১১।।
একাদশ শ্লোকের শব্দার্থ
- ব্যক্ত- সঠিকপরিমাণে
- অম্ললবনস্নেহ – অম্ল, লবণ অও স্নেহ জাতীয়
- বাত- বায়ু
- বর্ষাকুলেহহনি- বর্ষার অস্থিরতা
- বিশেষশীতে- বিশেষ করে
- ভোক্তব্যং- খাওয়া উচিত
- বর্ষাস্বনিলশান্তয়ে- বর্ষাকালে বায়ুকে শান্ত করার জন্য
বঙ্গানুবাদ
বর্ষাকালে বায়ু ও বর্ষার কারণে যে দিন অস্থির হয়ে ওঠে সেদিন বিশেষ করে শীতের কারণে বায়ুকে শান্ত করার জন্য সঠিকপরিমাণে টক, লবণাক্ত ও তেলজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।
শরৎ ঋতু
वर्षांशीतोचिताङ्गानां सहसैवार्करश्मिभिः ।
तप्तानामाचितं पित्तं प्रायः शरदि कुप्यति ।। १२ ।।
বর্ষাশীতোচিতাঙ্গানাং সহসৈবাকরশ্মিভিঃ।
তপ্তানামাচিতং পিত্তং প্রায়ঃ শরদি কুপ্যতি।।১২।।
দ্বাদশ শ্লোকের শব্দার্থ
- বর্ষাশীতোচিত- বর্ষাকালের শীতের অভ্যাস
- অঙ্গানাং- শরীর
- সহসৈব- হঠাৎই
- অকরশ্মিভিঃ – সূর্যরশ্মির তাপে
- তপ্তানাম – গরম হয়ায়
- আচিতং- জমে থাকা
- পিত্তং – পিত্ত
- প্রায়ঃ – প্রায়ই
- শরদি- শরৎকালে
- কুপ্যতি- কষ্ট দেয়
বঙ্গানুবাদ
বর্ষাকালের শীতে অভ্যস্ত হওয়ার পরেই যখন শরৎকাল এসে উপস্থিত হয় তখনি হঠাৎ সূর্যরশ্মির তাপে দেহ গরম হওয়ায় সঞ্চিত পিত্ত প্রায়ই কুপিত হয় ।
तथान्नपानं मधुरं लघु शीतं सतिक्तकम्।
पित्तप्रशमनं सेव्यं मात्रया सुप्रकाङ्क्षितैः ।। १३ ।।
তথান্নপানং মধুরং লঘু শীতং সতিক্তকম্।
পিত্তপ্রশমনং সেব্যং মাত্রয়া সুপ্রকাঙ্ক্ষিতৈঃ।। ১৩।।
শ্লোকের শব্দার্থ
- তথান্নপানং – এই কারণে পান করতে হবে
- মধুরং- মিষ্টি
- লঘু- হালকা
- শীতং- শীতল
- সতিক্তকম্ – তেতো রসযুক্ত
- পিত্তপ্রশমনং- পিত্ত প্রশনকারী
- সেব্যং- পান করা
- মাত্রয়া- সঠিক মাত্রায়
- সুপ্রকাঙ্ক্ষিতৈঃ- খিদে পেয়েছে এমন ব্যক্তি
বঙ্গানুবাদ
খিদে পেয়েছে এমন ব্যক্তিরা মিষ্টি, হালকা, ঠান্ডা, তেতো এবং পিত্তপ্রশমনকারী খাদ্য-পানীয় সঠিক মাত্রায় ভজন করবে।
शारदानि च माल्यानि वासांसि विमलानि च।
शरत्काले प्रशस्यन्ते प्रदोषे ম चेन्दुरश्मयः ।। १४ ।।
শারদানি চ মাল্যানি বাসাংসি বিমলানি চ।
শরৎকালে প্রশস্যন্তে প্রদোষে চেন্দুরশ্ময়ঃ।।১৪।
শ্লোকের শব্দার্থ
- শারদানি- শরৎকালে
- মাল্যানি- মাল্যধারণ
- বাসাংসি- জামাকাপড়
- বিমলানি- পরিষ্কার
- শরৎকালে- শরৎকালে
- প্রশস্যন্তে- প্রশংসার যোগ্য
- প্রদোষে- সন্ধ্যা বেলায়
- চেন্দুরশ্ময়ঃ- চাঁদের আলো
বঙ্গানুবাদ
শরৎকালে শারদীয় পুষ্পের মাল্যধারণ, পরিষ্কার জামাকাপড় পরা এবং সন্ধ্যার সময় চাঁদের আলো প্রশংসার যোগ্য।
Thanks For Reading: ঋতুচর্যা চরক সংহিতা | একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত
একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টারের আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পড়ুনঃ
- নুন কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণীর বাংলা
- কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র বিষয়বস্তু |একাদশশ্রেণী ইতিহাস দ্বিতীয় সেমিস্টার
- ম্যাকিয়াভেলির রাষ্ট্রচিন্তা সম্পর্কে লেখ | একাদশ শ্রেণীর ইতিহাস
- একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান | রাজনৈতিক তত্ত্বের মূল ধারণাসমূহ বড় প্রশ্ন উত্তর ।
- একাদশ শ্রেনী দর্শন | যৌগিক যুক্তির সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
- নিরপেক্ষ ন্যায়ের বৈধতা বিচার করো (Categorical Syllogism: Figure & Mood)& validity testing ।Class 11 Philosophy
- লর্ড কার্জনের শিক্ষানীতি আলোচনা করো | একাদশ শ্রেণী শিক্ষাবিজ্ঞান |