ক্ষমতা কাকে বলে| ক্ষমতার বৈশিষ্ট্য| উপাদান

প্রিয় পাঠক আজকের পর্বে  Class 12 Political Science- এর একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন আজকে আলোচনা করতে চলেছি। প্রশ্নটি হল- ক্ষমতা কাকে বলে ? এর উপাদানগুলি আলোচনা করো। Class 12 Political Science Notes যারা খুঁজছ তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ন। Class 12 Political Science Question Answer এর মধ্যে যে প্রশ্নটি আলোচনা করা হল তা হল- ক্ষমতা কাকে বলে| ক্ষমতার বৈশিষ্ট্য| উপাদান

ক্ষমতা কাকে বলে  এর উপাদানগুলি আলোচনা করো।
ক্ষমতা কাকে বলে এর উপাদানগুলি আলোচনা করো।

 

ক্ষমতা কাকে বলে ? এর উপাদানগুলি আলোচনা করো।

ক্ষমতা কাকে বলেঃ

রাষ্ট্রের আসল হাতিয়ার হল শক্তি। শক্তির দ্বারাই আন্তর্জাতিক  ক্ষেত্রে একটি দেশে নিজের স্থান করে নেয়। আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরিপেক্ষিতে একটি রাষ্ট্র কর্তৃক অন্যান্য রাষ্ট্রের আচরণকে তার ইচ্ছা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করার সামর্থই হল ক্ষমতা। সুতরাং, ক্ষমতা বলতে অন্যকে এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করার সামর্থকে বোঝায় যার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ কারি তার ইচ্ছামতো কাজ করতে অন্যদের বাধ্য করে।

ক্ষমতার উপাদানঃ

শক্তি রাজনীতিবিদ ই . এইচ কার ক্ষমতার কতগুলি উপাদানের উল্লেখ করেছেন। এগুলি হল –

ভৌগোলিক অবস্থান:

একটি দেশে সাময়িক শক্তি ভৌগোলিক পরিবেশের দ্বারা প্রভাবিত হয়। যেমন – ভারতের উত্তরে হিমালয় পর্বত পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণে সমুদ্র থাকার ফলে ভারতের নিরাপত্তা অনেক বেশি । শুধু তাই নয় ভৌগোলিক কারণে একটা দেশে জনগণের শারীরিক স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায়।

জনসংখ্যা:

একটি দেশের জনগণের সংখ্যাকে বলা হয় মানব সম্পদ। মানব সম্পদ হল জাতীয় ক্ষমতার অন্যতম সম্পদ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে যদি রাষ্ট্রের ক্ষমতা বাড়ত তাহলে কিউবার চেয়ে ভারতে ক্ষমতা বৃদ্ধি পেত।

  ভূ – প্রকৃতি:

ভূ – প্রকৃতির উপর একটি দেশের ক্ষমতা নির্ভর করে । ভূ – প্রকৃতি অনূকূল হলে বৈদেশিক বা শক্তিকে প্রতিহত করা যায়। তাছাড়া ভূ – প্রকৃতি অনুকূল হলে ব্যবস্থা -বানিজ্য বৃদ্ধি পায়, ক্ষুদ্র মাঝারি শহর বন্দর গড়ে ওঠে। এর ফলে একটি দেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটে।

জলবায়ু :

ক্ষমতার সাথে জলবায়ু সম্পর্কযুক্ত। নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের মানুষবেশি পরিশ্রমী । তাই এই জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত দেশগুলি শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়।

কূটনীতি: 

আন্তর্জাতিক শক্তি বিশেষজ্ঞ মর্গেন থার্ড কূটনীতিকে ক্ষমতার অন্যতম উপাদান বলেছেন। একমাত্র কূটনীতি ক্ষমতার মাধ্যমে ক্ষমতার উপাদানগুলিকে সাফল্য এর সাথে প্রয়োগ করা সম্ভব হয়।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন: 

জাতি ও শক্তি অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর নির্ভরশীল, অর্থনৈতিক উন্নয়ন একটি দেশের পরিকাঠামো বদলে দেয়। এতে মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়।

 সরকারের প্রকৃতি:

ক্ষমতার ব্যপারে সরকারের ভূমিকা থাকে। গণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী সরকারের ভূমিকা কখনো এক হতে পারে না।

নেতৃত্ব: 

কূটনীতি ও সরকারকে পরিচালনা করার জন্য চাই রাজনৈতিক নেতৃত্ব। যেমন ভারতে নেহেরুর নেতৃত্ব , কিউবাতে  ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্ব,  রাশিয়ার লেলিনের নেতৃত্ব।

 আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মর্যাদার: 

আন্তর্জাতিক অবস্থান একটি দেশের শক্তি সামর্থের অন্যতম শর্ত। যেকোনো শক্তি জোটের সদস্য হয়ে একটি দেশ শক্তিশালীরাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। পাশাপাশি একটি দেশে আন্তজার্তিক মর্যাদা বৃদ্ধি পায় পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে।

 জাতিয় চরিত্র: 

বিভিন্ন সামাজিক উপাদান এবং জাতীয় চরিত্র দেশের জনগণের সামরিক চেতনা বৃদ্ধি সহায়ক।

উপসংহারঃ

পরিশেষে বলা যেতে পারে যে, কোনো একটি দেশের জাতীয়-ও শক্তি কতখানি তা বিচার করার সময় কেউ কেউ বিশেষ কোনো একটি উপাদানকে এইরূপ শক্তি নির্ধারণকে আসনে বসিয়ে অন্যান্য উপাদানের গুরুত্বকে কার্যত অস্বীকার করেন।

Thanks for Reading- ক্ষমতা কাকে বলে| ক্ষমতার বৈশিষ্ট্য| উপাদান।


প্রশ্ন উত্তর:

১. ক্ষমতা কাকে বলে?

উত্তর-  ক্ষমতা বলতে অন্যকে এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করার সামর্থকে বোঝায় যার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ কারি তার ইচ্ছামতো কাজ করতে অন্যদের বাধ্য করে।

২. ক্ষমতার বৈশিষ্ট্য কি কি?

উত্তর-

  • ভৌগোলিক পরিবেশ।
  • জাতীয় চরিত্র
  • আন্তজার্তিক মর্যাদা
  • জলবায়ু

৩. রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব কি?

উত্তর- ক্ষমতা বলতে অন্যকে এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করার সামর্থকে বোঝায় । আর কর্তৃত্ব হল আদেশ প্রদান , সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনি অধিকার।


আরো পড়ুন:-


 

Leave a comment