সংস্কৃত বর্ণমালা | স্বরবর্ণ-ব্যঞ্জনবর্ণ

আজকের এই পর্বের আলোচনায় আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি । যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী সংস্কৃত বর্ণমালা  শিখতে  চাও আজকের এই উপস্থাপনা শুধুমাত্র তাদের জন্য । যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী সংস্কৃত স্বরবর্ণ,  সংস্কৃত ব্যঞ্জনবর্ণ, সংস্কৃত বর্ণমালার যুক্তাক্ষর শিখতে চাও , আশা করি তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ।

সংস্কৃতের ছাত্রছাত্রীরা ছাড়াও অন্য যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী সংস্কৃত ভাষা শিখতে ও  সংস্কৃত বর্ণমালা লেখা অভ্যাস করতে পুস্তুত তাদের সবার জন্য এই পর্বের বিশেষ উপস্থাপনা – সংস্কৃত বর্ণমালা

 

সংস্কৃত বর্ণমালা
সংস্কৃত বর্ণমালা

 

সম্-পূর্বক কৃ ধাতুর পর কর্মবাচ্যে ‘ক্ত’ প্রত্যয় যোগ করে সংস্কৃত শব্দটি গঠিত হয়। পাণিনি প্রভৃতি বৈয়াকরণ বিভিন্ন সূত্র রচনা করে যে ভাষাকে মার্জিত, শুদ্ধ ও পরিষ্কৃত করেছেন, সেটিই সংস্কৃত ভাষা।

সংস্কৃত বর্ণমালা স্বরবর্ণ

স্বরবর্ণ (১৩টি)

যেসকল বর্ণগুলি কারোর সাহায্য ছাড়া নিজে নিজেই উচ্চারিত হয়, সেগুলি স্বরবর্ণ।

অ- अ আ-आ ই-इ
ঈ-ई উ-उ ঊ-ऊ
ঋ-ऋ ৠ-ॠ ৠ-ॠ
ঌ-लृ এ-ए ঐ-ऐ
ও- ओ/ओ ঔ-औ

 

স্বরবর্ণ আবার দুই প্রকার। যথা- হ্রস্বস্বর ও দীর্ঘস্বর।

হ্রস্বস্বর: সংস্কৃত বর্ণমালায় যে সকল স্বরবর্ণ উচ্চারণে অল্প সময় লাগে, তাদের হ্রস্বস্বর বলে। যেমন-অ, ই, উ, ঋ, ৯ / अ , इ , उ , ऊ ,ऋ , ऌ

দীর্ঘস্বর:-  আবার সংস্কৃত বর্ণমালায় যে সকল স্বরবর্ণ উচ্চারণে একটু বেশি সময় লাগে এবং উচ্চারণেও দীর্ঘ হয় বলে, তাদের দীর্ঘস্বর বলে। যেমন –আ, ঈ, ঊ, ঋ্ঋ, এ,  ঐ, ও, ঔ / आ , ई , ऊ , ऋ , ए , ऐ , ओ, औ

সংস্কৃত বর্ণমালা ব্যঞ্জনবর্ণ

ব্যঞ্জনবর্ণ (৩৫টি)

যেসকল বর্ণগুলি নিজে নিজে উচ্চারিত হতে পারে না, স্বরবর্ণের সাহায্যে উচ্চারিত হয়, সেগুলি ব্যঞ্জনবর্ণ।

ক-क খ- ख গ-ग
ঘ-घ  ঙ- ङ চ-च
 ছ-छ জ-ज ঝ-झ
ঞ- ञ ট- ट ঠ- ठ
ড- ड ঢ- ढ  ণ- ण
ত- त থ- थ দ- द
ধ- ध ন- न প- प
ফ- फ ব- ब ভ- भ
ম- म য- य র- र
ল- ल ব- व শ- श
ষ- ष স- स হ- ह
 ড়- ड़ ঢ়- ढ़  য- य
হ- ऽ  ং-  ं  :- :

 

সংস্কৃত বর্ণমালায় ব্যঞ্জন বর্ণ চার ভাগে বিভক্ত । যথা –

1 ) স্পর্শ বর্ণ

2) অন্তঃস্থ বর্ণ

3) উষ্ম বর্ণ

4) অযোগবাহ বর্ণ

1 ) স্পর্শ বর্ণ

ক-বর্গ ক্, খ্, গ্, ঘ্, ঙ্ क् , ख् , ग् , घ् , ङ्
চ-বর্গ চ্, ছ্, জ্, ঝ্, ঞ্ च् , छ् , ज् , झ् , ञ्
ট-বর্গ ট্, ঠ্, ড্, ঢ্, ণ্ ट् , ठ् ,ड् , ढ् , ण
ত-বর্গ ত্, থ্, দ্, ধ্, ন্ त् ,थ् , द् , ध् , न्
প-বর্গ প্, ফ্, ব্, ভ্, ম্ प् , फ् , ब् , भ् , म्

 

2) অন্তঃস্থ বর্ণ

য্-य् ,  র্- र् ,   ল্-ल्   ব্ – व् – এই চারটি বর্ণকে অন্তঃস্থ বর্ণ বলে।

3) উষ্ম বর্ণ

শ্- श्  ষ্- ष् , স্-स् , হ্ – ह्- এই চারটি বর্ণকে উষ্ম বর্ণ বলে।

4) অযোগবাহ বর্ণ

(অনুস্বার) এবং (বিসর্গ) –  এই দুটি বর্ণকে অযোগবাহ বর্ণ বলে।

 

স্বরমাত্রা পরিচয়


স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ সংযোগ

 


যুক্তাক্ষর

যুক্তাক্ষর
যুক্তাক্ষর

 


সংখ্যা পরিচয়

সংখ্যা পরিচয়
সংখ্যা পরিচয়

Thanks For Reading : সংস্কৃত বর্ণমালা | স্বরবর্ণ-ব্যঞ্জনবর্ণ

আরও পড়ুন


 

Leave a comment