বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা

আজকের বাংলা রচনা পর্বে বিজ্ঞান মূলক যে রচনাটি আমরা উপস্থাপন করতে চলেছি তা হল – বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা | biggan ashirbad na abhishap rachana in bengali। এই রচনাটি ৮০০ টি শব্দে রচিত। এই রচনাটি যেসব ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনে লাগবে তারা হল –বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা class 10 | বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা class 9 | বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা class 12 | বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা pdf

তাছারা বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা -এই রচনাটি সংক্ষিপ্ত আকারে ছোটোদের জন্য দেওয়া হল । সংক্ষিপ্ত রুপটি যেসব ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনে লাগবে তারা হল – বিজ্ঞান  আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা class 4 | বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা class 7  | বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা class 8 | বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা class 5 | বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা class 6 | ছোটদের বাংলা রচনা।

 

বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা
বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা
Contents hide

বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা | বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা class 10/ 12

 

“এই শুদ্ধতায় শুনিতেছি তৃণে তৃণে ধুলায় ধুলায়

মোর অভেঙ্গ রোমে রোমে,লোকে লোকান্তরে

গ্রহে সূর্য্যে ‘তারকায় নিত্যকাল ধরে’

                      অণু পরমাণুদের নৃত্য কলরোল,।”       -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভূমিকাঃ-

দৃষ্টির আদি থেকেই জলে স্থলে মহাশূন্যে জমা হয়ে আছে অন্তহীন রহস্য। মানুষ বিস্ময়ভরা চোখে তাকিয়েছে সেই রহস্যের দিকে। চেয়েছে প্রকৃত সত্যকে উদঘাটন করতে। বিজ্ঞানী মগ্ন হয়েছেন সেই রহস্য ভেদ করার সাধনায়।বিজ্ঞানের সুদৃঢ় কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে আছে মানবসভ্যতা।

তবে এ কথাও সত্যি, এত ইতিবাচকতার পাশাপাশি বিজ্ঞান তার নেতিবাচকতা দিয়ে আমাদের জীবনকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। বহুক্ষেত্রেই বিজ্ঞান অভিশাপ রূপে আছড়ে পড়ছে। যে বিজ্ঞান আশীর্বাদ রূপে আসে , সেই আশীর্বাদই কিন্তু একদিন রূপান্তরিত হলো অভিশাপে। কল্যাণ নিল অকল্যাণের চেহারা।

 

মানুষের কল্যাণে বিজ্ঞান: 

“ধর্ম কারার প্রাচীরে বজ্র হানো। এ অভাগা দেশে জ্ঞানের অলোক আনো”

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের নানা স্তর অতিক্রম করেই সভ্যতার উন্নততর ক্ষেত্রে আমরা পৌঁছোতে পেরেছি।বিজ্ঞানই একদিন মানুষের স্বপ্নকে সার্থক করে তুলল। মানুষ চেয়েছিল পাখির মত নীল আকাশের বুকে পাখা মেলে উড়তে, সে উড়ল। চেয়েছিল পাতাল ফুঁড়ে মণিমাণিক্য তুলে আনতে, আনল। চেয়েছিল নদী-সমুদ্রের বুকে ভাসতে, ভাসল। মেঘের কোল থেকে ছিনিয়ে আনল বিদ্যুৎ। বন্দী করল উচ্ছ্বসিত জলপ্রবাহকে।প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রাম করার জন্য যে বিজ্ঞানের জন্ম, দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে সেই বিজ্ঞানের বিজয় রথ আজ সর্বত্রগামী। বিজ্ঞানবুদ্ধিই হয়েছে মানুষের পরম সহায়।তাই বিজ্ঞানসাধনা কল্যাণের সাধনা।

মানুষের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য-সমৃদ্ধি সাধনে, তার বৃহত্তর কল্যাণকর্মে অতন্দ্র ও নিরলস সেবায় তুলনাহীন নজির রেখেছে বিজ্ঞান।বিজ্ঞান মানুষের হাতে এনে দিয়েছে বিপুল ঐশ্বর্য সম্ভার। বিজ্ঞানই জীবনযাপনকে সমৃদ্ধ করেছে উপকরণ বৈচিত্র্যে। যুগে যুগে মানুষের ওপর ঝরেছে বিজ্ঞানের আশীর্বাদ।বিজ্ঞান মরুভূমির ঘুম ভাঙিয়েছে। বানিয়েছে নতুন শহর বন্দর। ধরিত্রীকে সাজাল তিলোত্তমা সাজে। জীবনযাপনে এলো বৈচিত্র্য।কারখানায় বাড়ল উৎপাদন। মাঠে-প্রান্তরে লাগল সবুজের শিহরণ।

নতুন নতুন যানবাহন সভ্যতাকে গতিময় করল। বিজ্ঞানই দূর-দূরান্তের খবর নিয়ে এলো মানুষের কাছে। জ্ঞানভাণ্ডারে জমল নানা মনীষীর সাধনার ধন। বিজ্ঞানের মন্ত্রেই বশ মেনেছে রোগ মহামারী। তার চিন্তাভাবনা, কামনাবাসনা, প্রয়াসপ্রচেষ্টা আজ মর্তসীমাতে কেবল বাঁধা নয়, মহাকাশের নীল যবনিকার ওপারে গ্রহ-গ্রহান্তরে প্রসারিত।

 

আশীর্বাদরূপী বিজ্ঞানের বহুগামিতা:

  ১. দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান:

বিজ্ঞানই প্রতিদিনের জীবনকে ভরিয়ে দিয়েছে নানা সার্থকতায়। প্রাত্যহিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান অপরিহার্য সত্য। আজকাল মানুষের ঘুম ভাঙার পর থেকে শুরু হয় জীবন দৌড়, সেই দৌড়ের প্রতি পদক্ষেপে বিজ্ঞান প্রবেশ করেছে।

২.  স্বাচ্ছন্দ্য ও অবসর-বিনোদনে বিজ্ঞান:

মানুষের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য-সমৃদ্ধি সাধনে, তার বৃহত্তর কল্যাণকর্মে অতন্দ্র ও নিরলস সেবায় তুলনাহীন নজির রেখেছে বিজ্ঞান। রান্নার গ্যাস, রেফ্রিজারেটার, কাপড় কাচার ওয়াশিং মেশিন, আবহাওয়ার দহন থেকে মুক্তির জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্রসহ বিজ্ঞানের বিভিন্ন যুগান্তকারী আবিষ্কার আমাদের ব্যাবহারিক জীবনের এমনই নানা কাজে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে। আবার, অবসর-বিনোদনের জন্যও টেলিভিশন তো আছেই, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোবাইল।বেতার ও দূরদর্শন দূরকে করেছে নিকট, অদৃশ্যকে করেছে পরিদৃশ্যমান।

৩. কৃষি শিল্পপ্রযুক্তি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিজ্ঞান:

কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানসৃষ্ট যন্ত্রের কৃপায় সফল হয়েছে সবুজ বিপ্লব। সেচ, উচ্চফলনশীল বীজ, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ওষুধের গুণে জমিতে কৃষি উৎপাদন বহুগুণ বেড়েছে। শিল্পক্ষেত্রে যন্ত্রদানবের আসুরিক শক্তিতে গড়ে উঠেছে অতুল বিভব।শিক্ষাক্ষেত্রে গ্রন্থকেন্দ্রিক নীরস কৃত্রিম শিক্ষা-পদ্ধতির অবসান হয়ে বিজ্ঞানসম্মত বাস্তবমুখী শিক্ষার দ্বার হয়েছে উদ্‌ঘাটিত। বৈদ্যুতিক শক্তি বা পারমাণবিক শক্তি- চালিত যানবাহন ও যোগাযোগব্যবস্থা জীবনকে করেছে গতিময়। বিজ্ঞানের এরকম কল্যাণকর কার্যকারিতা দেখলে, স্বাভাবিকভাবে মনে হয়, এত বড়ো আশীর্বাদ মানবজীবনে আর নেই।

অভিশাপ রূপে বিজ্ঞান:

যানবাহন, শিক্ষা-সংস্কৃতি-জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর অবদান অতুলনীয়। কিন্তু বীভৎস ধ্বংসলীলার দিকে তাকিয়ে কল্যাণকামী মানুষের সন্ত্রস্ত ও সন্দিগ্ধ চিত্তে একটি প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে বার বার-‘বিজ্ঞান অভিশাপ, না আশীর্বাদ?’

অভিশাপ রূপে বিজ্ঞানের কেয়েকটি দিক হল-

১. ধ্বংসকারী আগ্নেয় অস্ত্রের আবিষ্কারঃ

বিজ্ঞান মানুষকে দিল অমিত শক্তির সন্ধান। বিজ্ঞানী বসলেন সেই মহাশক্তির সাধনায়। সেই শক্তি-আরাধনায় বিজ্ঞান-তাপস পেলেন আরো বিস্ময়কর এক মহাশক্তির উৎস। নাম তার পরমাণু শক্তি। বিজ্ঞানী চেয়েছেন এই মহাশক্তিকে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে। কিন্তু মানুষের দুর্বৃদ্ধি একে ধ্বংসের কাজে লাগাল। পরমাণু শক্তিকে পরিণত করল আধুনিক সমরাস্ত্রে। জাপানের নাগাসাকি ও হিরোশিমার ওপর প্রথম বিস্ফোরণ ঘটল পরমাণু বোমার। এর ধ্বংসের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষ স্তম্ভিত হলো।

আজও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে নিহত হচ্ছে কত শত নিরীহ প্রাণ। চীন, কোরিয়া, ভিয়েৎনাম, আরব ও বিশ্বের বিভিন্ন রণাঙ্গনে চলেছে আধুনিক সমরোপকরণের নির্বাধ ব্যবহার। শোনা যাচ্ছে মহাকাশ যুদ্ধের হুঙ্কার। বিজ্ঞানকে তাই কখনও কখনও মনে হয় এক মহাধ্বংসের আতঙ্ক।

২. উন্নয়নের নামে ধ্বংসলীলাঃ

এ তো গেল প্রত্যক্ষ বিপদ। কিন্তু প্রতিদিন একটু একটু করে উন্নয়নের নামে যেভাবে আমরা নিজেদের ধ্বংস করছি, তার ভয়াবহতা আরও ভয়ংকর। স্বাচ্ছন্দ্যের নামে, গতিশীলতার নামে, শিল্পোন্নয়নের নামে আমরা আমাদের পরিবেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে কলুষিত করে তুলছি। প্রাণদায়ী প্রশ্বাস বায়ুর প্রতিটি কণায় আজ বিষ। উন্নায়নের ভয়াবহতা মাত্রা ছাড়িয়েছে। নানা ধরনের মারণ ব্যাধিকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আমরা। ইনটারনেট ও মোবাইল নির্ভর হয়ে মানবিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করছি , শিশুর শৈশব কেড়ে নিচ্ছে।

যান্ত্রিকতার অভিশাপঃ

বিজ্ঞানই যন্ত্রের স্রষ্টা। যন্ত্র হলো ঠিক আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের দৈত্যের মতন। আদেশ করলেই মুহূর্তের মধ্যে সেই যন্ত্রদানব অসাধ্য সাধন করতে পারে। আকাশ-বাতাস-মর্ত্যে তার অবাধ আধিপত্য। যন্ত্র ধীরে ধীরে মানুষের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে শাসনের অধিকার। নিষ্প্রাণ যান্ত্রিকতায় হৃদয়বৃত্তি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। হিংসা-স্বার্থপরতা-পরশ্রীকারতা জায়গা দখল করছে, আচ্ছন্ন করছে কৃত্রিমতা।তাই যান্ত্রিকতাও বিজ্ঞানের আর এক অভিশাপ।

উপসংহার:

বিজ্ঞানের নির্মাতা মানুষ। আমরা চাইলে যেমন একে কল্যাণময়ী কাজে ব্যবহার করতে পারে,  তেমনি আবার চাইলে সমূহ ধ্বংসের পথও তৈরি করতে পারি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, আমাদের সন্তান-সন্ততিদের জন্য কোন্ পৃথিবী আমরা রেখে যাব, তা নির্ণয় করার সময় আজ এসেছ, কিন্তু আর দেরি করলে সে সময় পেরিয়ে যাবে। মানুষের মধ্যে চলছে শুভ-অশুভ, সু-কু-এর নিরন্তর লড়াই। সেই প্রয়োগ-পদ্ধতিই নির্ধারণ করে বিজ্ঞান আশীর্বাদ, না অভিশাপ।

বিজ্ঞানের ধ্বংসলীলার জন্য মানুষই দায়ী। মানুষ যদি বিজ্ঞানকে মানব কল্যাণে প্রয়োগ করতো তাহলে বিজ্ঞান অভিশাপ না হয়ে আর্শিবাদ হতো। এই জন্য জনৈক কবি বিজ্ঞানের হয়ে দুঃখ করে বলেছেন-

“বিজ্ঞান বলে দোষ কি আমার,

কেন মিছে দাও গালি।

প্রয়োগের গুনে সুন্দর সুখে

তোমরা মাখাও কালি। ”

 

Thanks For Reading : বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা প্রবন্ধ class 9/10 / 12 


 অনুসরণে লেখা যায়:

১. মানুষের কল্যাণে বিজ্ঞান

২. মানুষের ধ্বংসে বিজ্ঞান

৩. সভ্যতার সমৃদ্ধি ও বিনাশে বিজ্ঞান


বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা class 7  | বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা class 8

ভূমিকা :

“ধর্ম কারার প্রাচীরে বজ্র হানো। এ অভাগা দেশে জ্ঞানের অলোক আনো”-

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সৃষ্টির আদি লগ্ন থেকে জলে স্থলে ও মহাশূন্যে জমা হয়ে আছে অন্তহীন রহস্য। মানুষ বিশ্বয়ে সেই রহস্যের দিকে তাকিয়েছে। এবং প্রকৃত সত্যকে জানতে চেয়েছেন। এরই ফলশ্রুতি হিসাবে বিজ্ঞান। তবে বিজ্ঞানের জরমাত্রার মধ্যেও রয়েছে ধ্বংস । তাই মানুষ বিজ্ঞান সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন – বিজ্ঞান আর্শিবাদ না অভিশাপ ?

বিজ্ঞান বনম মানুষ :

বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে নানা প্রথে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তাই কবি বলেছেন – “বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ, কেরে নিয়েছে আবেগ। ”  সুতরাং বিজ্ঞান আজ মানুষের মনোসত্য কেরে নিয়েছে। ।

মানব কল্যাণে বিজ্ঞানঃ

বিজ্ঞানই মানুষের স্বপ্নকে সার্থক করে তুলেছে মানুষ চেয়েছিল পাখির মতো নীল আকাশের বুকে উড়তে সে উড়ল। চেয়েছিল পাতাল খুঁড়ে মনিমান্যিক্য তুলে আনতে সে আনলো। চেয়েছিল সমুদ্রের বুকে ভাসতে সে ভাবলো। সুতরাং বিজ্ঞানই প্রাকৃতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জীবন মাত্রার বৈচীত্র আনলো। কালে কৃষিক্ষেত্রে এলো সবুজ বিপ্লব, কলকারখানার বাড়লো উৎপাদন, রোগ ব্যাধি হল নিরাময়, এমনকি শিক্ষাক্ষেত্রে গ্রন্থ কেন্দ্রিক শিক্ষার পরিবর্তে এলো নতুন শিক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়। তাই বিজ্ঞানই আমাদের জীবনকে নানা স্বার্থ কথায় ভরিয়ে দেয়।

বিজ্ঞানের অশুভ দিক :

“বাঘ বাঘকে খায়না”- কিন্তু বর্তমান যন্ত্র সত্যতায় বিজ্ঞান মানুষকে প্রকৃতির সুন্দর্যতাকে ধ্বংস করার কাজে লাগিয়েছে। মরনাস্ত্রের আবিষ্কার, নিত্য নতুন আনবিক শক্তির আবিষ্কার খাদ্য ও ঔষধে শুদ্ধতার অভাব প্রভৃতি মানুষকে ধ্বংসের কাছে নিযুক্ত করেছেন। হিরোসীমা ও নাগাশাকিতে পরমাণু বোঝায় ধ্বংসশীলা আজও বিশ্ব ভুলতে পারেনি। এমনকি আজও আমরা প্রায় প্রতিদিনই শুনতে পাচ্ছি সন্ত্রাসবাদের কথা, সেই সন্ত্রাসবাদ বিজ্ঞানকে হাতিয়ার করেছে। এইভাবে পৃথিবীর মানুষ, বায়ু, জল ও মৃত্তিকা সবই দূষিত।

উপসংহার :

বিজ্ঞানের ধ্বংসলীলার জন্য মানুষই দায়ী। মানুষ যদি বিজ্ঞানকে মানব কল্যাণে প্রয়োগ করতো তাহলে বিজ্ঞান অভিশাপ না হয়ে আর্শিবাদ হতো। এই জন্য জনৈক কবি বিজ্ঞানের হয়ে দুঃখ করে বলেছেন-

“বিজ্ঞান বলে দোষ কি আমার,

কেন মিছে দাও গালি।

প্রয়োগের গুনে সুন্দর সুখে

তোমরা মাখাও কালি। ”

Thanks For Reading : বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা class 7  | বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা class 8


বিজ্ঞান  আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা class 4| 5|ছোটদের বাংলা রচনা

সৃষ্টির আদি লগ্ন থেকে জলে স্থলে ও মহাশূন্যে জমা হয়ে আছে অন্তহীন রহস্য। মানুষ বিশ্বয়ে সেই রহস্যের দিকে তাকিয়েছে। এবং প্রকৃত সত্যকে জানতে চেয়েছেন। এরই ফলশ্রুতি হিসাবে বিজ্ঞান। বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে নানা প্রথে এগিয়ে নিয়ে গেছে। বিজ্ঞানই একদিন মানুষের স্বপ্নকে সার্থক করে তুলল। মানুষ চেয়েছিল পাখির মত নীল আকাশের বুকে পাখা মেলে উড়তে, সে উড়ল। চেয়েছিল পাতাল ফুঁড়ে মণিমাণিক্য তুলে আনতে, আনল।

তবে এ কথাও সত্যি, এত ইতিবাচকতার পাশাপাশি বিজ্ঞান তার নেতিবাচকতা দিয়ে আমাদের জীবনকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। বহুক্ষেত্রেই বিজ্ঞান অভিশাপ রূপে আছড়ে পড়ছে। যে বিজ্ঞান আশীর্বাদ রূপে আসে , সেই আশীর্বাদই কিন্তু একদিন রূপান্তরিত হলো অভিশাপে। কল্যাণ নিল অকল্যাণের চেহারা।বর্তমান যন্ত্র সত্যতায় বিজ্ঞান মানুষকে প্রকৃতির সুন্দর্যতাকে ধ্বংস করার কাজে লাগিয়েছে।

বিজ্ঞানের ধ্বংসলীলার জন্য মানুষই দায়ী। মানুষ যদি বিজ্ঞানকে মানব কল্যাণে প্রয়োগ করতো তাহলে বিজ্ঞান অভিশাপ না হয়ে আর্শিবাদ হতো।


 

আন্যান্য রচনা পড়ুনঃ 

১.তোমার প্রিয় কবি রচনা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২. ছাত্র জীবনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা রচনা

৩.মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চা প্রবন্ধ রচনা

৪.একটি গাছ একটি প্রাণ রচনা

৫.পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা

৬.আধুনিক জীবন ও বিজ্ঞান- প্রবন্ধ রচনা

৭.একটি নদীর আত্মকথা- বাংলা প্রবন্ধ রচনা


 

1 thought on “বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ রচনা”

Leave a comment